অনলাইন
আইন উপদেষ্টা
বিচার না করে যদি নির্বাচন দেই, তাহলে মানুষের কাছে জবাব দেবো কীভাবে
স্টাফ রিপোর্টার
(২ দিন আগে) ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৪:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আমাদের কাছে জনগণের তো একটা আকাঙ্ক্ষা আছে, যেন আমরা বিচার করে যাই। বাংলাদেশে হাজারের বেশি তরুণ জীবন দিয়েছে, আর প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষ শারীরিকভাবে পারমানেন্টলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চোখ হারিয়েছে। তাদের যে বিচারের দাবি-এটা তো এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান আকাঙ্ক্ষা। সেক্ষেত্রে আমরা যদি কোনো বিচার না করে যাই, কোনো বিচার না করে যদি নির্বাচন দেই, মানুষের কাছে নিজের কাছে জবাব দেবো কীভাবে।’
বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয়। তবে আমাদের কথাবার্তার মধ্যে একটু অস্পষ্টতা থাকে, আমাদের সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা অন্যরকম কথা বলেন। তখন আমরা ক্যাটাগরিকালি বলেছি, যে যাই বলুক না কেন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বারবার যা রিপিট করেছেন, সেটাই আমাদের অবস্থান।’
নির্বাচন নিয়ে অন্য কেউ যদি বেফাঁস কথা বা অন্যরকম নিজস্ব বিবেচনাবশত কথা বলেন সেটাতে বিএনপি বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম থেকেই বলেছেন-ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আলোচনায় আমরা কয়েকটা বিষয় স্পষ্ট করেছি। একটা হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে জুন, মানে আমরা যে ইচ্ছে করে দেরি করে মে বা জুন মাসে নির্বাচন করব, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
‘তারা জানতে চেয়েছেন যে, সংস্কার যদি হয়ে যায় এত দেরি করার মানে কী। তখন আমরা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছি, জুলাই চার্টার প্রণীত হলেও যে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা, নীতিগত ব্যবস্থা সেগুলো গ্রহণ করতে মাঝে মাঝে সময় লাগে’ উল্লেখ করেন আসিফ নজরুল।
পাঠকের মতামত
সঠিক কথা বলেছেন।
তা বিচার কবে করবেন? বিচার করার ইচ্ছা কি আদো আপনার আছে? বিচার শেষ হতে ১০ বছর লাগলে কি ১০ বছর থাকবেন? ক্ষমতায় থাকার মজা কি অনেক বেশি?
রাজনৈতিক দলগুলি শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে -দেশ বা জনগণ এর কথা চিন্তা করে না যেমনটি এখনকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করছে। এই দলগুলি তো already tested -এরা অতীতে কি ভাবে দেশ চালিয়েছে দেশের মানুষ খুব ভালো করে দেখেছে। ফাও, "দেশের জন্য " / "জনগণ এর জন্য" বুলি আওড়াবে কিন্তু আদতে নিজেদের পকেট ভারী করবে। এদেরকে কোনো সৎ বা সুস্থ মানুষ কি ভাবে বিশ্বাস করবে? দয়া করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে কাজ করতে দিন। ১৫-১৬ বছর তো "ধৈর্য ধরে " ছিলেন , তাইনা? এক্সট্ৰা ৬ মাসে আর কতই বা loss হবে আপনাদের?
বিএনপিকে বলি আপনারা ১৬ বছরেতো নির্বাচন আদায় করতে পারেন নি। আজ এত তাড়াহুড়ো কেন ? ইউনুস সাহেবকে মাত্র ৬ মাস সময় দিন না।
উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করেছি। গনহত্যার বিচার ও সংস্কারের আগে কোন নির্বাচন চাই না।
আসিফ নজরুল স্যারের সাথে আমি সহমত করছি এবং রাষ্ট্র সংস্কার করে তারমধ্যে অন্যতম একজন দুই বারের বেশী প্রধানমন্ত্রী নয় এগুলো নিশ্চিত হওয়ার পরই নির্বাচন হোক।
বিচার করতে কত বছর লাগতে পারে জনাব? আইন-আদালত বিচার চলমান প্রক্রিয়া। বিচার কাজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমাধা করে যেতে হবে, এই দিব্যি আপনাদের কে দিলো? আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে! এই সত্যটা যতটুকু সম্ভব বিশ্বাসযোগ্য পর্যায় রেখে যান!
নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র হবে এর গ্যারান্টি নেই “আমরা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন দেখেছি—যেগুলোতে নির্বাচন ছিল, কিন্তু গণতন্ত্র ছিল না
বাংলাদেশের মানুষও চায় হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার হোক, আবার কোন সরকার যেন ফ্যাসিষ্টে পরিণত না হয় যথা সম্ভব সেই ছিদ্রগুলো বন্ধ হোক।
ড. ইউনুস সরকার আরও অনন্ত ৫ বছর চাই। বিএনপি আর আ লীগ একই। লুটেরা চাঁদাবাজ দল।
সঠিক কথা বলেছেন উপদেষ্টা মহোদয়। দেশের মানুষ নির্বাচন চায় না সংষ্কার এবং বিচার তারপর নির্বাচন।
Salute to you. Please keep strict to your words.