অনলাইন
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল
বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত পাঠালো ভারত
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:০৪ অপরাহ্ন

ভারতীয় স্থলবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চারটি বাংলাদেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় ফেরত পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো রপ্তানিকারক বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ফেরত যাওয়া পণ্যের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লি.। এর আগে গত মঙ্গলবার জারি করা সার্কুলার কাস্টমসের মাধ্যমে কার্যকর হওয়ায় বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য করার এই পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় কোনও দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তি হয়েছিল। মঙ্গলবার ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এক প্রজ্ঞাপনে সার্কুলারটি ‘অবিলম্বে’ বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এই চিঠির আলোকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘ভারত সরকার তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবেন বলে আমরা আশা রাখছি।’
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আমিনুল হক আনু বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বেনাপোল থেকে চারটি রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত গেছে।’ এতে রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস তৃতীয় দেশের পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। এতে ওইসব পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছে না।’ তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশে যেমন হাসিনা হঠাও আন্দোলন করে হাসিনাকে হঠিয়ে দিয়েছিল জনগণ, তেমনি মোদি বর্জনও সম্ভব হবে।
Seven sisters laughing