অনলাইন
পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতা নিয়ে মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশের কড়া সমালোচনা ভারতের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ দিন আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সহিংসতা নিয়ে মন্তব্য করার জন্য বাংলাদেশের কড়া সমালোচনা করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক মন্তব্য’ এবং ‘ভন্ডামিপূর্ণ আচরণ’ বলে অভিহিত করেছে। সেইসঙ্গে ভারত বাংলাদেশকে সেখানকার সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছে। মুর্শিদাবাদে সংঘটিত সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, আমরা ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য সকল পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এরই প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের মন্তব্য সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সমান্তরাল করে দেখানোর একটি ছদ্মবেশী ও ছলনাপূর্ণ প্রয়াস, যেখানে এই ধরনের অপরাধীরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, মুর্শিদাবাদে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে তার উপদ্রুত এলাকা সফর স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল জঙ্গিপুরের থানা এলাকা জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কিন্তু ৮ এপ্রিল উমরপুরে ৫,০০০ জনতা জাতীয় সড়ক ১২ অবরোধ করলে তা সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশের উপর ইট, লোহার রড, ধারালো অস্ত্র এবং আগুন বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সরকারি যানবাহনকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
পাঠকের মতামত
মরলে শহীদ হবা আর বাঁচলে হবা গাজী তো আক্রমণ কর
বাংলাদেশের মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দির পাহারা দেই তার বিনিময়ে আজ ভারতের হিন্দুরা মুসলমানদের মসজিদ ঘুরিয়ে দেয় এটা কি কাপুরুষতা নির্লজ্জতা মীর জাফরী আর তাদের প্রতিমার সাথে বেইমানি হতে পারে না
দাদাদের চোখে ঝাল মরিচ এবং কানে গোবরে ঢাকা, তাই চোখেও দেখে না, কানেও শোনে না। ভারতে মুসলিম নির্জাতন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
আমরা ভারতীয় মুসলমানরা শান্তিতে নেই, আপনি একটা ব্যাগ বহন করলে, তাতে সন্দেহের চোখে দেখা হয়, গরুর মাংস মনে করে অনেককে হেনস্তা করা হয়েছে, একটু শান্তিতে বাঁচতে চাই
আসল ভন্ড তো ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার।
গুজরাটে মুসলিম নিধন শুরু থেকে ভারতে কথায় কথায় মুসলিম হত্যা,নির্যাতন, মাদ্রাসা, মসজিদ, মুসলিম মানুষের বাড়ি ভাংচুর চলছে। দাদা আপনারা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। বাংলাদেশের হিন্দু ভাইয়েরা স্বসম্মানে বসবাস করছেন। ভারতের মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করুন। চোর না শোনে ধর্মের বানী, চোরের মায়ের আবার উচু কন্ঠ।
উচিত কথায় দাদা বেজার
দাদা বাবুর গায়ে আগুন জ্বলে উঠেছে কেন ইন্ডিয়ার সংখ্যা লোগো কি মানুষ না।
ভারতের মুসলমানরা ফিলিস্তিনি মুসলমানের মতো নির্যাতনের শিকার
আসলে ভারতের লজ্জা শরম বলতে কিছু নাই। ওরা নাক কান কাটা। ওদের দেশে ফ্রিজে গরুর গোস্তো রাখলে, ব্যাগে বহন করলে মুসলমান পিটিয়ে মেরে ফেলে আর গুজরাটের কসাই উপাধি তো মুসলমান হত্যা করেই পেয়েছে। তোমরা আমাদের দেশে এসে হিন্দুদের সাথে কথা বলে দেখ ওরা কতো ভালো আছে। তোমরা গতকালও মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছ।
বর্নবাদী,সাম্প্রদায়িক ভারতের কুৎসিত মুসলিম নিধন, মসজিদ মাদ্রাসা ধ্বংসের মচ্ছবকে সারা বিশ্বে উন্মোচনের সময় এসেছে। ওরা ইসরায়েলের মত কুৎসিত মুসলিম নিধনকারী দেশ।মুসলিম বিশ্বের নিকট এর নিন্দা জানানোর আহ্বান জানানো উচিৎ!!
এখন কেমন লাগে? অসৌজন্যমূলক আচরণ? আগে বাংলাদেশের প্রতিটি বিষয়ে মন্তব্য না করলে ভাত হজম হতো না।
ধন্যবাদ ডক্টর ইউনুস প্রশাসনকে ভারতকে এভাবেই জবাব দিতে হবে।
বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্তা অনেক বেশি খারাপ! শেষ কথা কম বা বেশি কোনটাই সমর্থন যোগ্য নয়।
মনে হচ্ছে আয়নার দিকে তাকিয়ে এই মন্তব্যগুলো করেছে!! নিজেদের বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচারে কোন অসুবিধা নেই, আর যেই বাংলাদেশ সত্য তুলে ধরলো, ব্যস! লেগে গেল!!!
আমরা তোদের মতো মিথ্যার বেশাতি করি না। তোরাতো রাতকে দিন আর দিনকে রাত বলে প্রচার করিস। বাংলাদেশে আমরা শান্তেই আছি সব ধর্মের মানুষ। কেবল তোরাই নিজের স্বার্থে মিথ্যা প্রচারনা করিস।
চোরের মার বড় গলা।
সাংবাদিক সমাজের প্রতি সবিনয় অনুরোধ আপনারা দেশের পাশে দাড়ান ভারতের প্রপাগান্ডার জবাব দেন কলমের দারা, শুধু সরকারকে কাঠগড়ায় দাড় করবেননা, শুধু সরকারকে প্রশ্ন করে ভারতের চোখে দোষী প্রমাণ করার চেষ্টা করবেননা, ভারতের মুসলমানদের উপর নির্যাতন গুলো মিডিয়ায় যথাযথ ভাবে প্রমানসহ সত্যিটা তুলে ধরেন, তাহলেই সেটা হবে সমুচিত জবাব কারন আপনাদের কোনো ভয় নেই
ভারতের মুসলমানরা সুখে নেই। হিন্দু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের কারনে। ভারত একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। একের পর এক মোদী সরকার ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ আইন করে মসজিদ ভাঙার পর মন্দির করছে, মুসলিমদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
ঘর শাসন করতে গিয়ে পাড়া শাসন করা ভারত সরকারের সহজাত পুরনো অভ্যাস।
বাহ! কী বিচিত্র! ভারত রাতদিন চব্বিশঘন্টা বাংলাদেশের কথিত হিন্দু নির্যাতনের ধুয়ো তোলে, আর বাংলাদেশ ভারতের বাতব পরিস্থিতি তুলে ধরলেই হয়ে যায় ভণ্ডামি! কী বিচিত্র ভারত!
ভারতে উগ্র হিন্দুমৌলবাদ বন্ধ করতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলিম সহ সব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তার বাংলাদেশের আহবান যদি অপ্রয়োজনীয় ও লোকদেখানো হয়। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের উতকন্ঠা একেবারেই অপপ্রচার।
আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা’বিষয়ে তোমাদের উদ্বেগের,মন্তব্যকেও আমরা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি।
মতামত নেই।
বাংলাদেশের এক মন্তব্যতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে ইন্ডিয়া। মনে রাখতে হবে, অত্যাচারী চিরকালই ভীরু ও তাদের প্রথম অস্ত্র উঁচু স্বরে মিথ্যা কথা বলা।
আর কত নির্বুদ্ধিতা দেখাবে ভারত ??
ভারতকে বলি তোমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামের আগে একটা টাইটেল আছে সেটা মুসলিম নির্যাতন হত্যার জন্য "কষাই" অর্থাৎ কষাই মোদী।
এই স্টেটমেন্টের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত ভারতকে আমাদের দেশের ব্যাপারে ভারত যেন অযথা নাক না গলায়। ভারতের ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয় আর তাদের মন্তব্য খুব প্রয়োজনীয়?
দেখলেন তো? তেনারা কইলে তো আন্নেরা পুতু পুতু কইরা বক্তব্য দেন।
সত্য খুবই অপ্রিয়। আমরাও আপনাদের উদ্বেগ অপ্রোজনীয় মনে করি।