অনলাইন
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন
নতুন দল বুধবার, নেতৃত্বে এক ঝাঁক জামায়াতের ছাত্র
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন এই দলের হাল ধরার কথা তথ্য ও সম্প্রচার-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের দায়িত্বে থাকা ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলামের। তার আগে দু'টি ঘটনা নজর কেড়েছে।
প্রথমত, দু'ভাবে ভাগ হয়ে যাওয়া কোটা-বিরোধী ছাত্ররা টানা আলোচনার পরে নতুন দলের বিভিন্ন পদে যে সব নেতাদের নাম চূড়ান্ত করেছেন, তাদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা। দ্বিতীয়ত, এই দল গঠনের আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু মাঝারি পর্যায়ের সমন্বয়ক একটি নতুন ছাত্র সংগঠনও তৈরি করছেন। কালই আত্মপ্রকাশ করতে পারে নতুন এই ছাত্র সংগঠন। তবে নতুন ছাত্র সংগঠনটি নতুন ওই দলটির শাখা হবে কি না, তা এখনই বলতে পারছেন না নেতারা।
রাজনৈতিক ভাষ্যকারেরা গোড়া থেকেই বলে আসছেন, স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধিতার কলঙ্ক নিজেদের মুখ থেকে কিছুতেই তুলতে না-পেরে জামায়াতে ইসলামীই পেছন থেকে কোটা-বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে আনকোরা দলটি তৈরি করছে। কারণ, এখন নির্বাচন হলে সাংগঠনিক শক্তির বিচারে বহু যোজন এগিয়ে থাকা বিএনপি অনায়াসে ক্ষমতা দখল করবে। তাদের ঠেকাতে অন্য ইসলামি দলগুলিকে নিয়ে জোট গড়ার চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারেনি জামায়াত। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের নতুন দলটির আর যাই হোক, স্বাধীনতা-বিরোধিতার কলঙ্কটি থাকবে না। বিএনপি-র শাসন মানুষ আগে দেখেছে। এ বারে তাঁরা নতুন দলকে সুযোগ দিতে পারেন। যুদ্ধাপরাধ আদালতে গণহত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল হকের প্রাণদণ্ড হলেও তা কার্যকর হয়নি। এই রাজাকার শিরোমণির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে মঙ্গলবার ইউনূসের দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছে জামায়াত।
যদিও নতুন দলের হবু নেতৃত্ব জামায়াত-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মানছেন না। জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের একটি ‘সামাজিক সংগঠন' গোটা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে নতুন দলের শাখা কমিটি তৈরি করছে। এই কমিটির নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারির দাবি, নতুন দল ডানপন্থা বা বামপন্থা— কোনও দিকেই ঝুঁকবে না। সাম্য, ন্যায় ও দেশপ্রেম হবে স্লোগান। তবে এই নাগরিক কমিটিতে রয়েছে এক ঝাঁক জামায়াত-অনুগত ছাত্রনেতা। নতুন দলে এঁদের দায়িত্বশীল পদ দেওয়ার জন্য নাগরিক কমিটির নেতৃত্ব বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তার পরে একটা সমঝোতাও হয়েছে। সেই সমঝোতায় আপাতত দলের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কমিটির বাইরের নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং আব্দুল হান্নান মাসউদ থাকছেন। নাহিদ হতে পারেন দলের আহ্বায়ক, মুখপাত্র হাসনাত, মুখ্য সংগঠক সারজিস। সদস্যসচিব হতে পারেন নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। কিন্তু দলে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আসতে পারেন আলী আহসান জোনায়েদ, যিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রাক্তন সভাপতি। আর এক ছাত্র শিবির নেতা আরেফিন মহম্মদ হিজবুল্লা জুলাই আন্দোলনে শিবিরের প্রধান ভূমিকা থাকার দাবি করে, এই সংগঠনের নেতাদের নেতৃত্বে আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। হিজবুল্লা ছাড়াও এক ঝাঁক জামায়াত-অনুগত নেতা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন।
ছাত্র নেতৃত্ব তাঁদের আন্দোলন ও দল তৈরিতে ছাত্র শিবিরের নেতাদের ভূমিকা স্বীকার করলেও বলছেন, এঁরা সবাই ওই দলের প্রাক্তন নেতা। রাজনৈতিক ভাষ্যকারেরা বলছেন, একবার জামায়াতে নাম লেখালে মৃত্যু ছাড়া বিচ্ছিন্ন হওয়া যায় না। সুতরাং ধরে নেওয়া যায়, শিবির নেতারা জামায়াতের নির্দেশেই নতুন দায়িত্ব পালন করছেন।
(প্রতিবেদনটি ২২শে ফেব্রুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা হয়েছে)
পাঠকের মতামত
যেহেতু আনন্দবাজারের চুলকানি শুরু হয়েছে, সেহে তু নতুন সংগঠন সঠিক পথেই আছে,কারো কাছে বিক্রি হয়নি,মানলাম জামায়াত স্বাধীনতা যুদ্ধ সমর্থন করেনি, কিন্তু তাদে কর্মকান্ড জনগনের কল্যাণেই হয়,সুতরাং তাদের সমর্থিত নতুন কোন দলও যদি এরা হয়, তবুও তাদের সাপোর্ট করব, সবচেয়ে বড়ো কথা, ভারত যাদের শত্রু মনে করবে আমরাই তাদেরকে সাপোর্ট করব।
আনন্দবাজার পত্রিকা কি লিখল বা না লিখল বাংলাদেশের জনগনের কাছেএর গুরুত্ব নাই তবে হেঁ ভারত মার্কা বাংলাদেশী যারা আছে তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশেও কিছু পত্রিকা আছে যারা আনন্দবাজারের সংবাদ প্রচার করে আনন্দবোধ করে।
আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট। জালেম। দেশদ্রোহী। দেশে এমন কোন অপকর্ম ছিলোনা যার পৃষ্ঠপোষকতা তারা করেনি। কোন ভালো কাজে তারা ছিলোনা। এ সত্য বাংলাদেশের মানুষ জানে। আর জামায়াতকে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী জানলেও তাদের সকল কাজ ছিলো জণগণের কল্যাণে। আর বাস্তবতা হলো এদেশ পাকিস্তান হওয়ার কোন সূযোগ নেই। কিন্তু ভারত হওয়ার সূযোগ আছে। যেহেতু জামায়াতকে ভারত তার শত্রু মনে করে, তাই সন্দেহাতীতভাবেই জামায়াত দেশ প্রেমিক। এই জালিমের নাগ-পাশ থেকে মুক্তির জন্য তাদের প্রতি এ জাতি কৃতজ্ঞ। তাদেরকে স্যালুট।
যদিও নিউজটি অ*সভ্য ভারতের হলুদ মিডিয়ার তবে এ নিউজের বাস্তবতা ১০০% সত্য। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ থেকে শুরু করে বহু সমন্বয়কও ধর্মব্যবসায়ী, ক্ষমতালোভী, রাজাকার জামায়াতের অনুগত। নতুন দল নিঃসন্দেহে জামায়াতের গোপন পদক্ষেপের একটি অংশ।
মোহাম্মদ ইসমাইল বুখা আমিও আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।
এ প্রতিবেদন সত্য হলে নতুন দলের ভবিষ্যৎ এখানেই শেষ।
India never wants political stability in Bangladesh. They treat Bangladesh as a State which has no sovereignty.
আনন্দবাজার সহ ভারতীয় মিডিয়া যাদের শত্রুতা করবে, তারাই বাংলাদেশের সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।
দলটি জামাত-শিবিরের বি,টিম। জামাত-শিবির নেপথ্যে থেকে দলটি পরিচালনা করবে এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।
Ananda Bazaar doesn't have time to think about Indian communal politics against Muslims, unfortunately they have allergies about Jamat Islami which is the best donor for Bangladeshi Hindu Community.
বাংলাদেশ নিয়ে আপনাদের এত চুলকানি কেন?
বাংলাদেশ নিয়ে আপনাদের এত চুলকানি কেন?
ভারতের এত জ্বালা কেন বাংলাদেশে কে কোন কোন দল করলে সেটা বাংলাদেশের জনগণের বিষয় বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের চুলকানি সবসময় থাকে
ভারত ছাড়া যেকোন দেশ বাংলাদেশের জন্য ভালো
শত ফুল, ফুটতে দেয়া হোক। জনগণ ইচ্ছা হলে ভোট দিবে, এটার নাম গণতন্ত্র।
ও তাইতো এতো জলে।
বৈষম্য বিরোধীদের কাঁধে ভর করে জামাত ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে
ভারত একটি নাপাক দেশ তারা কখনো ভালো মানুষের মূল্য বুঝতে সক্ষম হবে না।
দেশপ্রেমিক কোন সংগঠনের কথা শুনলে ভারতের গা জ্বলে।
Jamater gora B-Team, ata sobai jane. Manus ota boka na. Ai jonnoi Jamater ato lafa-lafi. Dekhi na ki hoy.............
ভারতের প্ররোচনায় জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সারির নেতাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ভারত কোনোদিনও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল এবং জামায়াতে ইসলামীকে মেনে নেবে না এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবের ও অন্যান্য ইসলামী দলগুলো। তাই ভারত, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা কোনো অবস্থাতেই ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক তা মানতে নারাজ।
একে-ই বলে জামায়াতী নাটক।
সতে্্যর জয়হবে ইনসাআল্লা
আমি মনে করি আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দেয়া উচিত। দেশের পতিতালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে বিধায় পতিতারা হোটেলে, বাসা ভাড়া করে পতিতা বৃত্তি করছে। আগে মানুষ পতিতালয়ে কম যেত কিন্তু এখন হোটেল, বাসাবাড়িতে বেশি যায়, কারন পতিতালয়ের চেয়ে হোটেল বাসা নিরাপদ। আওয়ামী লীগ নিষেধ করা হলে, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বিভিন্ন দলে যেয়ে নির্বাচন করবে, ভোট দেবে এটাই স্বাভাবিক। এটা দেশের জন্য কখনোই ভালো হবে না। আওয়ামী লীগের সকল অপরাধীদের বিচার করে শাস্তি দেয়া হউক। অপরাধীদেরকে নির্বাচন করতে না দেয়া হুউক। এটাই প্রকৃত গনতন্ত্র। এটা হলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী দেখা যাবে, চেনা যাবে। তা না হলে বিভিন্ন ভাবে দেশে সন্ত্রাসী কর্ম করবে। পুলিশের পক্ষে এটা সামাল দেয়া সম্ভব হবে না।
Welcome to Bangladesh. New Party
নতুন দলের আড়ালে ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামায়াত শিবির কে জাতী মেনে নেবে না।
Shall watch as to what they newly offers in politics .
আমরা স্বাগত জানাই নতুন নেতৃত্ব কে .................. নতুন রা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিক শুধু বাংলাদেশে নয় ।
আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট। জালেম। দেশদ্রোহী। দেশে এমন কোন অপকর্ম ছিলোনা যার পৃষ্ঠপোষকতা তারা করেনি। কোন ভালো কাজে তারা ছিলোনা। এ সত্য বাংলাদেশের মানুষ জানে। আর জামায়াতকে আমরা স্বাধীনতা বিরোধী জানলেও তাদের সকল কাজ ছিলো জণগণের কল্যাণে। আর বাস্তবতা হলো এদেশ পাকিস্তান হওয়ার কোন সূযোগ নেই। কিন্তু ভারত হওয়ার সূযোগ আছে। যেহেতু জামায়াতকে ভারত তার শত্রু মনে করে, তাই সন্দেহাতীতভাবেই জামায়াত দেশ প্রেমিক। এই জালিমের নাগ-পাশ থেকে মুক্তির জন্য তাদের প্রতি এ জাতি কৃতজ্ঞ। তাদেরকে স্যালুট।