অনলাইন
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ: আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৫ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার, ১২:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গাইলে চলন্ত নৈশ কোচে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় ডাকাত দলের আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার দুজন হলেন আবদুল আউয়াল (৩০) ও নুরুন্নবী (২৬)। এ নিয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামি গ্রেপ্তার হলো। আজ দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারী ও বাসযাত্রীদের সামনে এই দুজনকে হাজির করা হবে। তাঁরা শনাক্ত করবেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের একটি খাবার হোটেলে যাত্রাবিরতি করে। সেখান থেকে যাত্রা শুরুর পর তিন দফায় যাত্রীবেশী কয়েক জন ডাকাত বাসে উঠে।
এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের এক সদস্য রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে লুট করা ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রাজা মিয়া টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের বাস সার্ভিস ঝটিকা পরিবহনের একজন চালক।
পুলিশ জানায়, বাস ডাকাতির শুরুতে রাজা ঈগল পরিবহনের বাসটির চালককে সরিয়ে নিজে বাসটি চালানোর দায়িত্ব নেন। পরে ভোররাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় যাত্রীসহ বাসটি ফেলে দিয়ে ডাকাতির মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।
পাঠকের মতামত
These criminal should be executed publicly.
চোরের শাস্তি হাত কাটা। বাদশার বাদশা ৭আকাশ ও জমিনের মধ্যস্থ সব কিছুর স্রষ্টা হাকিমেরও হাকিম আহকামুল হাকিমিনের হকুম পালন করে দেখুন কেমন যাদুর মত কাজ হবে। আরব দেশগুলোতে গিয়েছ দখুন প্রমাণ পাবেন কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি রাস্তায় পড়ে থাকে।
নজিরবিহীন দ্রুততার সাথে বাসের ডাকাতির ও ধর্ষণের নরপিশাচগুলোকে পুলিশ ধরে ফেলেছে। পুলিশের এমন চৌকস সফলতা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মাঝে মাঝে দেশের যেসব নাগরিক নিখোঁজ হয়ে গেছেন তাঁদের খুঁজে বের করতে পুলিশ ব্যর্থ কেনো? যারা বলে থাকেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় একদল মানুষ গুম হয়ে গেছে তাঁদের কথাই কি ঠিক? ডাকাতরা ডাকাতি করে তো আর সর্বসাধারণের সামনে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করেনি যে সহজেই তাঁরা ধরা পড়েছে। বরং ডাকাতির পর তাঁরা পালিয়ে গেছে গোপন জায়গায়। পুলিশ বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তাঁদের খুঁজে বের করেছে। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা পরিবার থেকে নিখোঁজ হয়ে আছেন তাঁদের খুঁজে বের করতে পুলিশের কি কোনো কলাকৌশল নেই?
এদের কঠোর শাস্তি চাই। সারাজীবন তারা এটা মনে রাখে। আমরা তাদের কঠোর শাস্তি না দিলে অগণিত ঘটনা ঘটবে। চালক ও সুপারভাইজারকে তদন্ত করতে হবে। কেন তারা হাই রোডে যাত্রী নিয়েছিল।
Good job. Police track robbers and arrested 3.