অনলাইন
ফাহাম আব্দুস সালাম
আপনাদের মধ্যে কি বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতাবোধ নাই?
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৩ অপরাহ্ন

আপনাদের মধ্যে কি বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতাবোধ নাই যে খোদাতালা কোন জাহেলিয়া থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন? সেই জাহেলিয়াতেই আপনারা ফিরে যেতে চান? এমনটাই বলেছেন লেখক, রাজনীতিবীদ ও জনপ্রিয় ইউটিউবার ফাহাম আব্দুস সালাম।
ফেসবুকে ভাইরাল ছাত্রদল কর্মীর এক স্ট্যাটাসকে উদ্দেশ্য করে লেখা ফাহাম আব্দুস সালামের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ছাত্রদলের একটি ছেলের স্ট্যাটাস দেখলাম ‘শিবির কোবানো জায়েজ ছিলো, আছে, থাকবে। ইনশাল্লাহ।’ সে ‘কোপানো’ লিখছে না কারণ জানে যে ‘কোপানো’ লিখলে ফেইসবুক, স্ট্যাটাস খেয়ে ফেলবে। কিন্তু ‘জায়েজ’ লিখতে তার কোনো আপত্তি নাই। নট ওনলি ছেলেটা একটা ভায়োলেন্ট অপরাধ করার আহবান জানাচ্ছে - সে এই ঘৃণ্য অপরাধকে ইসলাম দিয়ে জাস্টিফাই করার একটা চেষ্টাও করছে। সত্য যে ছেলেটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী না এবং তার আহবানে কেউ সাড়াও দেবে না। কিন্তু এই মানসিকতা আমাকে হতভম্ভ করে। আপনারা কি গত ১৫ বছর দেখেন নাই এই দেশে কী হয়েছিলো? আপনাদের মধ্যে কি বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতাবোধ নাই যে খোদাতালা কোন জাহেলিয়া থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন? সেই জাহেলিয়াতেই আপনারা ফিরে যেতে চান?
তিনি আরও লেখেন, আপনারা কি উন্মাদ হয়ে গেছেন? এটা ইমম্যাটেরিয়াল যে খুঁজে বের করা- দোষ কার? এই ধরনের বাংলাদেশী মারপিটে কখনোই এক পক্ষ দায়ী হয় না। তর্কের খাতিরে স্বীকার করে নিচ্ছি যে কুয়েটে শিবির/বৈষম্যবিরোধীরা ছাত্রদলকে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড করতে দেয় নাই। শুরুতে নিঃসন্দেহে তাদের দোষ ছিল। তাই বলে কি আপনারা সশস্ত্র হয়ে মারপিট করবেন? এই ভয়ের সংস্কৃতি তৈরী করেছিলো আওয়ামী লীগ। আপনারা কি এই দেশের মানুষকে, আপনার প্রিয় প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সেই জাহেলিয়ায় ফিরে নিয়ে যেতে চান?
আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের এই মানসিক বিকারের চিকিৎসা করুন। ভায়োলেন্স কোনো সমস্যার সমাধান না। সিভিলাইজড মানুষ কথা বলে, গুডউইল দিয়ে নিজেদের সমস্যা সমাধান করে। আপনারাও সেটা শিখুন। এটা পড়াশোনার চাইতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, রাজনীতির চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। কেন আপনাদের এতো রাগ যে মারপিট করে নিবৃত্ত হতে হয় - কখনো ভেবেছেন? এই মানসিক বিকার আপনাদের জীবনের প্রতিটা পর্বকে ধ্বংস করবে। মারপিট করে হেডাম দেখানো অসভ্য মানুষের কাজ। কথা বলে, কনফ্লিক্টের মধ্যে সভ্যভাবে বসবাস করার হেডাম আমরা দেখতে চাই।
তিনি লেখেন, গত ১৫ বছর ছাত্রদল ও বিএনপির হাজার হাজার কর্মী মানবেতর জীবন যাপন করেছে, অকল্পনীয় অত্যাচারের ভেতর দিয়ে গেছে। কবর গিয়েছিলো বেড়ে আর ঘর গিয়েছিলো কমে। আপনাদের জাহিল আচরণ এই দলের নেতাকর্মীদের সব আত্মত্যাগকে মাটি বানিয়ে ফেলে। আপনাদের অসংখ্য বড় ভাই, বাপ-চাচা গত ১৫ বছর জীবনের একটা বড় সময় ব্যয় করেছে আওয়ামী জাহেলিয়া ফাইট করতে। কারো গিয়েছে সংসার, কারো ঘর, কারো যৌবন আর কারো জীবন। তাদের মধ্যে শুধু বিএনপি ছিলো না। হেফাজত, দেশের সাধারণ মানুষ, বাম, জামায়াত - বহু মানুষ জীবনের একটা লম্বা সময় এই অত্যাচার সহ্য করেছে এবং ফাইট করেছে। বহু মানুষ অসময়ে চলে গেছে - আমাদের ছেড়ে। আপনাদের কি অন্তত কোনো রেস্পেক্টও নাই? সেই মাইরপিট-কোপাকুপিতেই আমরা ফেরত যাবো? এই দখলদারিত্বের মানসিকতা থেকে আমরা উত্তরণ করতে চাই। কোনো সরকার, কোনো প্রধানমন্ত্রী আপনার এই অসুখ সারাতে পারবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে বোঝার চেষ্টা করুন যে কোপাকুপি এবং মারপিট দিয়ে আপনার নিজের এবং আপনাদের দলের বিন্দুমাত্র লাভ হয় না।
এইসব weak men দের কাজ থেকে নিজেদের মুক্তি দেন।
পাঠকের মতামত
সবার মধ্যেই সচেতনতা ফিরে আসা খুবই জরুরি! ভাই ভাই হয়ে আপনারা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেকের ধারণা শিবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত একটি অংশকে গিলে ফেলেছে!
এতো ঘটনার মধ্যেও একমাত্র বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নামে কোন খারাপ কিছু শোনা যায় না। আলহামদুলিল্লাহ, ক্ষমতা পেলেও এই সংগঠন কোন খারাপ কাজ করবে না ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের রাজনীতি থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
beware of shibir
শত্রুকে দুর্বল ভাবলে পরাজয়ের বীজ নিজেই রোপন করে দেওয়া।
বিপ্লবেের গোলপোস্ট টা ক্রমেই দুরে চলে যাচ্ছেে, সংগ্রামির চেয়ে সভ্য হওয়া বেশি জরুরি।
ফাহাম ভাই আমি আপনার একজন ভক্ত। সময়োপযোগী লেখার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। সে কি ছাত্রদলের নেতা? সে কি সব ভুলে গেছে? নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে আখেরে লাভ কার সে কি বোঝাতে পারছে?
ওনারা কখনই ধোয়া তুলসী পাতা ছিলেন না বিগত আমলের করচা আজকের যুবসমাজ সহ অনেকের অজানা হলেও সবার না।
বিএনপির উচিত কুলাঙ্গার মুক্ত বিএনপি বানানো. বৈষম্য বিরোধীরা এখন নিজেইরাই বৈষম্যকারী সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা গত ৩ মাসে অনেক কমেছে . তাদের পাওয়ার দেখানোর রাজনীতি আওয়ামীলীগের চেয়ে ও ভয়াবহ ভাবে পতন হবে বিএনপির মারপিট করার দরকার নেই
বোধোদয় হোক, না হলে পরিনতির জন্য অপেক্ষা করুন।
খুব ভালো লিখেছেন, আপনারা একটু তারেক জিয়াকে বলেন আওয়ামীলীগ এর বি টীম থেকে ছাত্র দল যূব দল মুল বি এন পি কে। তারেক জিয়ার উচিৎ ড ইউনুস সরকার কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আওয়ামীলীগ এর মুল উথপাঠন করা। এতে শবার ছাইতে বেশী লাভবান হবে বি এন পি। তা হলে বি এন পি আওয়ামীলীগ এর মতই বিলুপ্ত হবে। বি এন পি আওয়ামীলীগ এর মত সাংগঠনিক শক্তিশালী দল নয়।
তারুন্যের একটা অদম্য গতি থাকে,থাকে বীরত্ব,যার ইতিবাচক প্রয়োগ সমাজকে বদলে ফেলে। বিগত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একটি বড় সংগঠন হিসাবে সামনের সাঁরিতে কতটুকু ভূমিকা রেখেছেন তা নির্মোহ ভাবে চিন্তা করে ভবিষ্যতের পথ চলেন। অহংকার ও দাম্ভিকতা দিয়ে কিছুই অর্জন করা যাবে না।
ওরা বাকশালীদেরও ছাড়িয়ে যাবে সন্দেহ নেই।
হাসিনার সরকার থেকেও যদি বিএনপি/ছাত্রদল শিক্ষা না নেয় এদের মতো বেকুব/অকৃতজ্ঞ আর কোন রাজনৈতিক দল হতে পারে না।
There is no diference between BNP and BAL.
Well said.
বিএনপিও আমিলিগের মত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।