অনলাইন
ঢাকায় ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান
দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে জোর দিলেন হাইকমিশনার, উপদেষ্টা চাইলেন সমতা
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৯:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। শনিবার সন্ধ্যার ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ। তিনি দুই দেশের সম্পর্কে ‘সমতা’ প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেন। ৩৬শে জুলাই খ্যাত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপড়েনের মধ্যে উভয়ের তরফে এমন ইতিবাচক বক্তব্য এলো। রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ২৫শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ঢাকাস্থ দেশটির হাইকমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা, সামরিক- বেসামরিক আমলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের প্রাতনিধি, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা ওই উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। বাংলাদেশের জনগণের আগামীর পথযাত্রার সাফল্য কামনা করে ভারত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক অগ্রাধিকার, স্পর্শকাতরতা ও পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় রেখে সম্পর্ক জোরদার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। দুই দেশের জনগণের কল্যাণে পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। এ সময় উপদেষ্টা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের জনগণ ও দেশটির সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, গত বছরের ৫ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দেখেছে বাংলাদেশ। নতুন বাস্তবতায় সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের চর্চার মধ্যদিয়ে মানুষ যাতে তার আকাক্সক্ষার অবাধ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে পারে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পাঠকের মতামত
ভারত যাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাক না গলায়, সেটাই বলে দেওয়া উচিত ছিল। তাদের পছন্দের কাউকে আমরা নির্বাচিত করব না। আমাদের নির্বাচিত সরকারকেই তাদের সমর্থন দিতে হবে।
ভারতের মিত্র আওয়ামী লীগের কে উপস্থিত ছিল?
অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত ছিলেন, সবার নাম নেই কেন?