ভারত
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তা ছাড়াই কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৭ অপরাহ্ন
মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে কয়েক হাজার ভারতীয় সেনা প্রাণ দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনার যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এর পর থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালন করছে ভারতের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড। এই উপলক্ষে প্রতিবছরই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এবং সেনা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। গত বছরেও প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তা এই বিজয় দিবস উপলক্ষে পালিত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশকে ছাড়াই বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। সূত্রের খবর, সেনা কর্তৃপক্ষের তরফে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে আমন্ত্রনের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। তাই এবছর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছাড়া পালিত হচ্ছে বিজয় দিবস। গত শনিবারই এই উপলক্ষ্যে উৎসবের সূচনা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ইস্টার্ণ কমান্ডের প্রধান মেজর জেনালের মোহিত শেঠ ও প্রবীণ সাংবাদিক মানস ঘোষ। বিজয় দিবসে ফোর্ট উইলিয়ামের গেটে স্মারক স্তম্ভেব দুই দেশের সেনাকর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পার্ঘ দিতেন। এরপর ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণরা তাদের স্মৃতিচারণ করতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারাও ভারতের প্রবীণ সেনাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভাব বিনিময় করতেন। এবার সেই সৌহার্দ্যরেও ছবিটি থাকছে না। তবে যথারীতি ভারতীয় সেনারা সম্মানের সঙ্গে বিজয় দিবসের নানা কর্মসুচি নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এই সব চুদুর বুদুর আর ন চলিবু। এবার বাংলাদেশ তার দোস্ত-দুশমত চিনে নিয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল এম এ জি ওসমানী কোথায় ছিলেন? তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ভারত গত ৫৪ বছর ধরে আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলছে। জেনারেল ওসমানী যে হেলিকপ্টারে আরোহণ করেছিলেন তাতে একটি গুলি লেগেছিল। এতে হেলিকপ্টারের লেজ ভেঙে যায়। জেনারেল ওসমানী তার হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। মূল পরিকল্পনাকারী কারা, কেউ জানে না। স্পষ্টতই, এটা পাকিস্তানিদের ছিল না।
ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবস তা তাদের , এটি বাংলাদেশের বিজয় দিবস না। এই সত্যটা ভারত এতদিন পর বুঝতে পারলো, ধন্যবাদ। মা’র চেয়ে মাসির দরদ বেশী হতে পারে না।
আমাদের বিজয় তাদের সাথে পালন করবো কেন? আমাদের বিজয় আমাদের; পালনও করবো আমাদের মত করে?