ভারত
আসামে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও প্রকাশ্যে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৯ অপরাহ্ন
আসামে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও প্রকাশ্যে গরুর মাংস পরিবেশন ও খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার আসাম মন্ত্রিসভায় গৃহীত এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগের এই সংক্রান্ত আইনের পরিধি বাড়িয়ে প্রকাশ্যে গোমাংস খাওয়াই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগের গোমাংস কেনাবেচা সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছিল কোনও হিন্দু ধর্মস্থানের আশপাশে গোমাংস খাওয়া বা পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। জানা গেছে, ২০২১ সালের ক্যাটেল প্রিজারভেশন আইনে সংশোধনী এনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিরোধী দল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গো মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে এই ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিজেপি অবশ্য গরু রক্ষার পক্ষে সবসময় প্রচার চালিয়ে এসেছে।
We eat Delicious beef , they eat Cow Dung . I am glad they don't eat Beef otherwise Price would have gone up ( 1.4 billion eater )
ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হলে ধর্মের দোহাই দিয়ে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ হবে কেন? আসামের মুসলিমদের গরুর মাংস খেতে দিতে হবে।
যারা গরুর চামড়া পায়ে পড়তে পারে তাদের গরুর মাংস খাওয়া কি, না খাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে ? বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে মোদি বিসর্জন দেওয়ার লক্ষ্যে মোদি এই পাগলদের লেলিয়ে দিয়েছে ! ওরা পূজাও করেনা, মন্দিরের কাছেও ঘেসেনা আর ধর্ম নিয়ে চর্চা ও করেনা কিন্তু পাগমালি করে জীবন বন্দুকের সামনে বিলিয়ে দেয়। ওরা মানুষ নয় অমানুষ। তবে জীব হত্যা না করাই ভাল, সেটা শুধু গরুর ক্ষেত্রেই নয় ! অন্যান্য প্রাণীকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তাহলে ওরা জুতা পরবে কীভাবে, ঢোল পিটাবে কিভাবে, বেল্ট, পার্স, ব্যাগ ব্যবহার করবে কীভাবে? এসব গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি
গরুর গোস্ত নিষিদ্ধ করে তো এখন গরুর গোবর এবং মুতু খাবে ! তাহলে আমরা তা বিনা শুল্কে পাঠাতে পারি !!
হিন্দুমৌলবাদ কে বয়কট করা এখনই এখনই সময়। এরা হিন্দুধর্ম ব্যাবসায়ী।
আহা!ওরা বন্য গরুর গৃহপালিত স্ত্রী জাতকে 'মা' ডাকে । কেহ কেহ এর মল মূত্র পবিত্র জ্ঞান করে খায়। অন্য দিকে জন্মদাত্রী লক্ষ্য লক্ষ্য মা রাস্তায়, বৃদ্ধা আশ্রমে নয়তো নিষিদ্ধ পল্লীতে মানবেতর জীবন যাাপন করেন। তাদের সন্মানের বালাই নেই। আপনগৃহে বসবাসকারি মায়েদের মল মুত্রকে দিব্য জ্ঞান করে খায় না কেন? কি বিস্ময়কর বৈষম্য?
চরম হিন্দুত্ববাদী ভারতের এই ধর্ম নিরপেক্ষতার নমুনা। অথচ বাংলাদেশের হিন্দুদের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের সীমা নাই।