অনলাইন
সহযোগীদের খবর
মাঠ গোছাচ্ছে দুই দল
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
যুগান্তর
‘মাঠ গোছাচ্ছে দুই দল’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যূনতম সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চায় দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। একই দাবি জামায়াতে ইসলামীরও। ইতোমধ্যে দুই দলের নেতারা দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠও গোছাচ্ছে দল দুটি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনি আসনে এখন সক্রিয়। নেতারা জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয়। ঐক্য ও শান্তির বার্তা দেওয়ার সঙ্গে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে নির্বাচনি প্রচারণার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। দলের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নীতিনির্ধারকদের মতে, প্রার্থী নির্ধারণে প্রাধান্য পাবেন বিগত নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় প্রার্থী, যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং ছাত্রদল থেকে উঠে আসা নেতারা। তবে একক নাকি জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে, তা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর চূড়ান্ত হবে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে জামায়াতের দুই ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রথমত, জামায়াত নিজেরাই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের সময় যখন আসবে, তখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করবে, তার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাজেই এককভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে, তা এখনই বলার সুযোগ নেই।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক অধিকার, নারীবিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কারে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা।
এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের কথাও বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে সরকার। তবে সেটি সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘ঢাকায় বায়ুদূষণ বাড়ছেই’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, বেলা ১১টা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি (যক্ষ্মা) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, বহির্বিভাগ রোগীর ভিড়ে ঠাসা। একটি চেয়ারও খালি নেই। দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শীত আসতেই রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালটিতে। কেউ এসেছেন যক্ষ্মা নিয়ে, কেউ হাঁপানি বা অ্যাজমা নিয়ে, কেউ শ্বাসকষ্ট নিয়ে।
টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়শা আক্তার প্রথম আলোকে বললেন, ঢাকার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তার সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক নিশ্চয়ই আছে। দূষণ বেড়ে যাওয়ার এ সময়ে রোগীও বাড়ে।
যক্ষ্মা হাসপাতালে যখন রোগীর ভিড়, বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানাচ্ছে, বিগত সাত দিন ঢাকার বায়ুমান ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। শুষ্ক মৌসুমে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা প্রায়ই ১ নম্বরে থাকে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে রাত পৌনে ৯টায় বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে দূষণের দিক দিয়ে ঢাকা ছিল তৃতীয়। শীর্ষে ছিল পাকিস্তানের লাহোর, দ্বিতীয় ভারতের নয়াদিল্লি।
আইকিউএয়ারের ২০২৩ সালের বছরভিত্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণ বেশি বাংলাদেশে। এ তালিকায় ১ নম্বরে বাংলাদেশ। এরপর রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, তাজিকিস্তান ও বুরকিনা ফাসো। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ১ নম্বরে ছিল ভারতের নয়াদিল্লি। এরপর রয়েছে ঢাকা, বুরকিনা ফাসোর ওয়াগাডুগু, তাজিকিস্তানের দুশানবে ও ইরাকের বাগদাদ।
বাংলাদেশ ও রাজধানী শহর ঢাকায় বায়ুদূষণের সমস্যাটি নতুন নয়। বছর বছর বায়ুর মানের অবনতি হচ্ছে। আইকিউএয়ারের হিসাবে, ২০১৬ সালে ঢাকার বায়ুমান সূচক ছিল ১৫০, যা ২০২৩ সালে ১৭১-এ উঠে যায়। মানে হলো বায়ুদূষণ বেড়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী সরকারের আমলে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা জোর দেওয়া হয়নি। নামকাওয়াস্তে অভিযান চালানো, কিছু চিঠি–চালাচালি, কয়েকটি গাড়ি দিয়ে পানি ছিটানো এবং নির্মল বায়ু প্রকল্পের নামে নানা অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়া তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকার বায়ুদূষণকারী বহু পুরোনো যানবাহন ঢাকায় চলতে দিয়েছে ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’। নিম্নমানের জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। উন্নয়নকাজ চলার সময় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো পদক্ষেপও দেখা যায়নি।
প্রথম আলোর আরেকটি খবরে বলা হয়, ‘আ.লীগের ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ব্যাংক খাত’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে লুটপাট সবচেয়ে বেশি হয়েছে ব্যাংক খাতে। এরপর ছিল ভৌত অবকাঠামো। এ দুটিসহ মোট চারটি খাতে এই সময়ে বেশি লুটপাট হয়েছে। বাকি দুটি খাত হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং তথ্যপ্রযুক্তি।
বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য ঋণ কেলেঙ্কারি, প্রতারণা, ভুয়া ঋণ ও ঋণের অপব্যবহারের বিভিন্ন ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় মদদে ব্যাংক দখলে সহায়তা করা হয়েছে। ব্যাংক খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ লুট করা হয়েছে, তার বড় অংশই পাচার হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। আগামীকাল রোববার এই প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর ২৮ আগস্ট দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন হয়। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি: এই নভেম্বরে রোগী আড়াই গুণ বেশি’। খবরে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে। এবার নভেম্বর মাসেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বছরের প্রায় ৩২ শতাংশ রোগী। আগের বছর এই সময় আক্রান্ত হয়েছিল ১২.৬৭ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় রোগী বেড়েছে আড়াই গুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর সংক্রমণ চূড়ায় উঠে যায়।
গত বছর জুলাই থেকে অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সারা বছর রোগী পাওয়া যাচ্ছে।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯০ হাজার ৯৭৭ জন। এর মধ্যে নভেম্বরের ২৯ দিনে ভর্তি ২৮ হাজার ৯৭৭ জন, যা মোট রোগীর ৩১.৯১ শতাংশ।
আগের বছর একই সময়ে আক্রান্ত হয় ৪০ হাজার ৭১৬ জন, যা মোট রোগীর ১২.৬৭ শতাংশ। দেশে সারা বছর ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলেও মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসকে ধরা হয় ডেঙ্গুর প্রকোপের মৌসুম। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকাল হওয়ায় এই সময় রোগী থাকে খুব কম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার কালের কণ্ঠকে বলেন, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা ও ভাইরাস দুটিই সারা বছর থাকছে।
এ কারণে বছরের কোনো মাসই ডেঙ্গুমুক্ত থাকছে না। তিনি বলেন, ‘এবার ডিসেম্বরে শীতের মধ্যেও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সংক্রমণ কমে আসার পাশাপাশি মৃত্যুও কমে আসবে। আমাদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা তার প্রজনন এবং বসবাসের জন্য নতুন নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম।’
সমকাল
‘নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ে ওষুধের দাম’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জীবন রক্ষাকারী অর্ধশতাধিক ওষুধের দাম আবারও বেড়েছে। গত তিন মাসে কোনো কোনো ওষুধের দাম ১১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মের তোয়াক্কা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যপণ্য কিনতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ এ ধাক্কা সামলাতে খাদ্যপণ্যে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন।
দীর্ঘমেয়াদে পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে দেখা দেবে পুষ্টি ঘাটতি। নিম্ন ও মধ্যবিত্তকে ওষুধের বাড়তি দাম চুকাতে হবে প্রাণের মূল্যে! যদিও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কিছু ওষুধের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
জানা যায়, অত্যাবশ্যকীয় ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে সরকার। এর বাইরে যত ওষুধ বাজারে রয়েছে, বেশির ভাগ উৎপাদক কোম্পানির ঠিক করা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে এর জন্যও কিছু প্রক্রিয়া মানতে হয় কোম্পানিগুলোকে। নতুন দরের যুক্তিসহ অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করতে হয়। সরকার আমদানি কাঁচামালের সোর্স কান্ট্রি, দর, মানসহ বিভিন্ন বিষয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে যাচাই শেষে সমন্বয় করে।
কিন্তু ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এ নিয়ম মানেনি কোম্পানিগুলো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাজারে দাম কার্যকর করে তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বড় বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সরকারকে চাপে রাখে। যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের সক্ষমতা না থাকায় অধিদপ্তরও মেনে নিতে বাধ্য হয়।
এমনিতেই মানুষ তাঁর উপার্জনের বড় অংশ নিজের কিংবা পরিবারের চিকিৎসায় ব্যয় করছে। গত তিন মাসে ওষুধভেদে ১০ থেকে ১১০ শতাংশ দাম বেড়েছে, গড়ে যা ২৯ শতাংশ। হঠাৎ দামের লাফে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসিতে অন্তত ৫০টি ওষুধ বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এসব ওষুধের মধ্যে আটটির দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ১১, ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ২২ ও ৯টি ওষুধের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১১০ শতাংশ। বৃদ্ধির তালিকায় থাকা ২১টি ওষুধ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের।
এ ছাড়া এসিআই, এরিস্ট্রো ফার্মা, সার্ভিয়ার ফার্মা, ইউনিমেড ইউনিহেলথ, ড্রাগ ইন্টার ন্যাশনাল, বীকন ফার্মা ও নুভিস্তা ফার্মার বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে। বৃদ্ধির তালিকায় যেমন শিশুর সর্দি-কাশির সিরাপ রয়েছে; তেমনি রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, ভিটামিন, ব্যথা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ওষুধ।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘সংকটে কারিগরি শিক্ষা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষক সংকট, উপকরণের অভাব, অনুন্নত কারিকুলামসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের কারিগরি শিক্ষা। বিপুল জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষায় সরকার বিশেষ জোর দিলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হয়নি। ২০১২ সালে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার্থী হবে ২০ শতাংশ। ২০২৪ সালে বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীর হার ১৬ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক কারিগরি শিক্ষার সংজ্ঞা ও বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় এটি মূলত ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক যুগেও লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও অর্জিত হয়নি। বিভিন্ন পলিটেকনিক, মনোটেকনিক এবং কারিগরি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক পদের ৭০ শতাংশই শূন্য আছে। এছাড়া জনশক্তি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যুরোর অধীন কারিগরি প্রতিষ্ঠানেও প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এক শিফটের শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে দুই শিফট। অনেক প্রতিষ্ঠানে ল্যাবরেটরি সংকট। আবার ল্যাব থাকলেও নেই যন্ত্রপাতি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা আরো নাজুক।
৩৮৭ বেসরকারি পলিটেকনিকের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ২৫টি ছাড়া অন্যগুলো নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মালিকরা সার্টিফিকেট বিক্রির দোকান খুলে বসেছেন। শিক্ষায় অনুন্নত কারিকুলাম ও পুরোনো কোর্স থাকায় পড়ালেখা সম্পন্ন করেও চাকরির বাজারে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ে বিদেশে চাহিদা থাকলেও শিক্ষার মান উন্নয়নে আশাতীত কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।
বেকারত্ব দূরীকরণে উন্নত দেশের আদলে দেশের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুই জন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইত্তেফাককে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে এখন প্রতি তিন জন বেকারের মধ্য এক জন উচ্চশিক্ষিত। তারা বিএ কিংবা এমএ ডিগ্রি নিয়েও শোভন চাকরি পাচ্ছেন না। গত পাঁচ বছরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এমন বড় ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা ৪ লাখ থেকে ৮ লাখে উন্নীত হয়েছে। অর্থাত্ মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে ‘বিএ-এমএ’ ডিগ্রিধারী বেকার বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ। এর মূলে রয়েছে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব না দেওয়া।
উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান ও জার্মান প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তারপরও দেশ দুটি আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় (জাপান) ও পঞ্চম (জার্মান) শক্তি। জাপান ও জার্মানির বিস্ময়কর উন্নতির প্রধান সোপান হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। কারিগরি শিক্ষার হার জাপানে ৭৩ শতাংশ ও জার্মানিতে ৭১ শতাংশ । শিক্ষার কারিকুলামও আধুনিক তথা চাহিদা মাফিক এবং মান খুবই উন্নত। আরো অনেক দেশের উন্নতির প্রধান সোপান কারিগরি শিক্ষা। পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, চীন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়নের মূলে কারিগরি শিক্ষা। সেই অবস্থান থেকে এখনো অনেক দূরে বাংলাদেশ।
নয়া দিগন্ত
আইনজীবী সাইফুল হত্যা নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে খুনে জড়িতদের চেহারা।’। খবরে বলা হয়, ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। এতে দেখা যায়, সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক যুবক কোতোয়ালি থানাধীন এসি দত্ত লেনের নিলয় স্বজন ভবনের সামনে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তাকে ঘিরে ধরেন ২৫ থেকে ৩০ জন যুবক। তাদের মধ্যে একজনের পরনে কমলা রঙের গেঞ্জি, কালো প্যান্ট, মাথায় ছাই রঙের হেলমেট। রাস্তায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে কিরিচ দিয়ে কোপাতে থাকে এই হেলমেটধারী। লাল হেলমেট, ব্লু রঙের টি-শার্ট ও জিন্স পরা বঁটি হাতে আরেক যুবক ওই যুবককে কোপাচ্ছে। অন্য আরো তিন-চারজন তাকে পেটাচ্ছে।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের অদূরে কোতোয়ালি থানা-সংলগ্ন সেবক কলোনির স্বজন ভবনের সামনের রাস্তায় এভাবে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুলকে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। তার নিথর দেহ পড়ে থাকলেও লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে অন্যরা। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর ও রাজীব ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের একজন রয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। তার নাম শুভ কান্দি দাশ। তার বাড়ি পটিয়া উপজেলার ধলঘাটে।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা এডিসি কাজী মো: তারেক আজিজ জানান, ‘শুধু চন্দন দাস নন, হত্যাকাণ্ডে ২৫ থেকে ৩০ জন অংশ নেয়। প্রাথমিকভাবে ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী যুবকদের বেশির ভাগকেই পুলিশ শনাক্ত করেছে। হত্যায় অংশ নেয়া আটজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
বণিক বার্তা
‘২০২২ সাল থেকেই বাড়তে থাকে সরকার পতনের শঙ্কা, বেড়ে যায় অর্থ পাচারও’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক এক সভাপতি এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। শুধু বিজিএমইএর এ সাবেক সভাপতি নয়; দেশের দুই বড় অলিগার্কও সেখানে অবস্থান করছেন। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা থাকছেন দুবাইয়ে। কানাডায়ও আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা। সাবেক আমলা ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ এখন অবস্থান করছেন ভারতে। ২০২১ সালে র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসার পর থেকেই বিদেশে দীর্ঘসময় অবস্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। পাচারের মাধ্যমে স্তূপ করছিলেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
যেকোনো মুহূর্তে দেশ ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আতঙ্কে ভুগছিলেন তারা। দুই দেশের কূটনীতিতে ক্রমবর্ধমান অস্বস্তি তাদের এ আশঙ্কাকে আরো জোরালো করে তোলে। তারা ভয় পাচ্ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো হলে এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে দীর্ঘসময় টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে। এজন্য তারা প্রস্তুতি নিতে থাকেন স্বল্প সময়ের নোটিসে বাংলাদেশ ছাড়ার। এ কারণে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরপর পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। বিষয়টির সমর্থন পাওয়া যায় দেশের পণ্য আমদানি-রফতানির পরিসংখ্যান এবং রিজার্ভ স্থিতির গতিপ্রকৃতিতেও।
আর্থিক খাতের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকারের পতনের পর দীর্ঘসময় দেশের বাইরে পালিয়ে থাকতে হতে পারে বলে মনে করছিলেন অর্থ পাচারকারীদের অনেকেই। এ অবস্থায় অবৈধ-অপ্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলের পাশাপাশি আমদানি-রফতানিসহ বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করেও দেশের বাইরে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করতে থাকেন তারা।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Fire service & civil defence: High-risk job, low pay’ অর্থাৎ ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স: উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, কম বেতন’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তব্যরত অবস্থায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা যে বেতন পান তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
অন্যান্য বিভাগের মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের যোগ্যতা থাকলেও চার দশকে বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো উন্নত না হওয়ায় তারা কম বেতনে কাজ করেন।
কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে অগ্নিনির্বাপণ ও বাংলাদেশের শিল্প সম্প্রসারণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কমিশনের সুপারিশের পর এটি হালনাগাদ করা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘অস্থিরতা কমাতে চায় ঢাকা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
দেশ রূপান্তর
‘কলমের খোঁচায় নাই ২৭৪ নদী’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, দলিলপত্রে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থেকে নেওয়াশী ইউনিয়নে যাওয়ার রাস্তার পাশে ‘চামটা’ নদী; এখন ফসলের ও মাছের চাষ হয় নদীর বুকে। বিলুপ্তপ্রায় নদীটির চিহ্ন বহন করছে একটি নালা। তবে সরকারি কোনো সংস্থার খাতাপত্রে এর নাম নেই। খাগড়াছড়ির ‘ঠেগা’ নদীর নামও কোনো সরকারি সংস্থার তালিকায় নেই। জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন বা বিভাগীয় কমিশনারদের তালিকায় নদী দুটির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
বাদপড়া এসব নদীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন তালিকা হয়নি; উল্টো কলমের খোঁচায় মুছে যাচ্ছে অনেক নদীর নাম। একটি বা দুটি বা পাঁচটি নয়, অন্তত ২৭৪টি নদীর নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ দখল পাকাপোক্ত করতেই যাচাই-বাছাই ছাড়াই নদীর নাম চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এসব নদীর নাম বাদ দিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করলে দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই ছাড়া কোনো নদীর নাম বাদ না দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি নদীর নাম বাদ দিতে হলেও গণশুনানি আবশ্যক বলে মনে করেন তারা। জানা গেছে, দেশের নদনদীর সঠিক সংখ্যা নিরূপণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) একটি প্রকল্প নিয়েছে।
‘বাংলাদেশের নদনদীসমূহের তথ্যাদি হালনাগাদকরণ ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে নদীর তালিকা করা হচ্ছে। দেশের আট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তালিকা করা হয়েছে। তালিকা কমিশনারদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট নদী ৬৮৫টি।