অনলাইন
জন্মসূত্রে আর নয় মার্কিন নাগরিকত্ব
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪২ অপরাহ্ন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন হিসাবে বিবেচিত। ট্রাম্প ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তবে তার বিজয় অভিবাসী দম্পতিদের উদ্বেগে ফেলেছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসী ভারতীয়দের সন্তানরাও আগামী দিনে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে না। অফিসিয়াল ট্রাম্প-ভ্যান্স প্রচারাভিযানের সাইটে পোস্ট করা পরিকল্পনাটির বাস্তবায়নের জন্য একদিনের মধ্যেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট । শুধু অবৈধ অভিবাসীদের জন্যই এটি মাথাব্যথার কারণ নয় বরং খসড়া নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “আমেরিকায় জন্মালেই কোনও শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। সন্তানের পিতামাতার মধ্যে যেকোনও একজনকে মার্কিন নাগরিক হতে হবে। অথবা থাকতে হবে গ্রিন কার্ড। তবেই তাদের সন্তানরা আগামী দিনে আমেরিকার নাগরিক হতে পারবে।'
ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি রাজীব এস খান্না টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন -'এটি প্রায় নিশ্চিতভাবে মার্কিন সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে।' পদক্ষেপের বৈধতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অভিবাসন অ্যাটর্নি গ্রেগ সিসকিন্ড বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনত দম্পতিদের সন্তানদের বাদ দিতে এতদূর যায় কিনা তা আমাদের দেখতে হবে।’
২০২২ সালের মার্কিন জনগণনা অনুযায়ী, আমেরিকায় ৪৮ লক্ষ ভারতীয় বসবাস করেন। তার মধ্যে ১৬ লক্ষই জন্মগ্রহণ করেছে মার্কিন মুলুকে। ট্রাম্পের নয়া নীতি অনুযায়ী, তারা কেউই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ তাদের পিতামাতা মার্কিন নাগরিক নন বা তাদের গ্রিন কার্ড নেই। H-1B ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অনেকেই কয়েক দশক ধরে ব্যাকলগে আটকা পড়েছেন। কর্মসংস্থান-ভিত্তিক গ্রিন কার্ডের জন্য বার্ষিক লক্ষ্য ১৪০,০০০ সেট করা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে কোনও দেশই কর্মসংস্থান বা পরিবার-ভিত্তিক বিভাগে মোট গ্রিন কার্ডের সাত শতাংশের বেশি পেতে পারে না।
এই নিষেধাজ্ঞা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কর্মসংস্থান ভিত্তিক বিভাগে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রভাবিত করতে পারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া দ্বারা উদ্ধৃত ক্যাটো ইনস্টিটিউটের অভিবাসন অধ্যয়নের পরিচালক ডেভিড জে বিয়ারের একটি সমীক্ষা দেখায় যে, ভারত থেকে কর্মসংস্থান ভিত্তিক গ্রিন কার্ড ব্যাকলগ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এক মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। যদি মৃত্যু এবং বার্ধক্যের মতো কারণগুলি বিবেচনা করা হয় (যা এই ব্যক্তিদের ব্যাকলগ পরিসংখ্যান থেকে বাদ দিতে পারে) গ্রিন কার্ডের জন্য কাউকে ৫৪ বছর থেকে ১৩৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। এই বিভাগে অপেক্ষারত প্রায় ৪.১৪ লক্ষ ভারতীয় গ্রীন কার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে এবং ভারতীয় পরিবারের এক লক্ষেরও বেশি শিশুর নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করে যাবে (২১বছর বয়সে) এবং তাদের ভিসা আর বৈধ থাকবে না। তারা গ্রিন কার্ডের সারি থেকে বাদ পড়বে।
সূত্র : ইকোনমিক টাইমস
এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশীরা লাইন ধরে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। কারন হিসেবে তারা বলছেন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী আগ্রাসন বন্ধ হবে।
Good .very good decision
ভারতীয় দের মত বাংলাদেশের সব হিন্দু Trump কে ভোট দিয়েছে —- শুধু মাত্র মোদীকে বন্ধু বলায়।
বাংলাদেশ কে বিপদে ফেলার জন্য ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে ভারতীয়রাই সবার আগে ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। আসলে অন্যের জন্য কবর খুঁড়লে কখনো কখনো নিজেকেই সেই কবরে পড়তে হয় এটা তারই প্রমাণ।
আপনিই বলুন'না একটা মানুষ কদিন থাকে ? যেতে হবে সবাইকে। আজ বা কাল। এটা নিশ্চিত। আপনি যত কিছু করুন না কেন এই পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হবে। সুতরাং একজন মানুষ সে যে কোন দেশেই থাকতে পারে। নাকি জংগলে থাকলে ভালো। হায়রে মানুষ। যার দম ফুরাইলে খতম। যে কোন দেশে থাকতে পারে এমন পাসপোর্ট করুন। প্রত্যেকটা দেশের মালিক আলাদা হলে সমস্যা হবেই। কিসের পৃথিবী। ভাগ্য ভালো যে একটা মানুষের আয়ু ৫০০/১০০০ বছর করা হয় নাই।এরা কি করবে। হায়রে মূর্খ হতভাগ্য মানুষ। একটা মানুষের স্থায়ী পাসপোর্ট আছে এ পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার। আর কিছুই নেই। গ্রীন পাসপোর্ট। খালি হাতে এসেছি খালি হাতে গেলাম। ধন্যবাদ।
THANK YOU TRUMP FOR TAKING NICE ACTION AGAINST ILLEGAL IMMIGRANTS.
That’s why I love Trump, I’ve voted him and I know Trump will Fix it. The game isn’t over yet, Let’s make America great again.
ভারতীয়রা ট্রাম্পকে সমর্থন দিল। আর সেই ট্রাম্পই ভারতীয়দের য়ে করে দিল। ইশ কি দুঃখ!
Nice & Appropriate initiative. Hail Mr Trump God Bless
ভারতীয়রা তো খুব জোরেশোরেই ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। এখন তাদের কি হবে?
মোদী ট্রামপ ভাই ভাই! বাংলাদেশীরাও এই আইনে বিপাকে পড়বে।
Nice initiative. Hail Mr Trump
এই কারনেই ট্রাম্প চাচা-কে ভোট দিয়েছি। পূর্ণ সমর্থন জানাই।
মোদীর " জিগরী দোস্ত " ট্রাম্প - এই নীতি চালুর মাধ্যমে সুচতুর মোদীকে সবচেয়ে বেশী হতাশ করেছে।
এবার বুঝুক প্রবাসীরা যারা ভোট দিয়েছিলো ট্রামপকে।
Good initiative
মোদি - হাসিনার সমর্থকেরা দলে দলে ট্রাম্পকে ভোট দিল শুধুমাত্র অন্ধ দলীয় সমর্থনের জন্য। এখন লও ঠেলা! এ যেন নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভংগ।
আসতে না আসতেই দুঃখ সংবাদ।