ঢাকা, ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

কলকাতার পথে প্রতিবাদে শামিল হতে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখে ঋতুপর্ণা

সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে

(১ মাস আগে) ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:৩৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন

mzamin

৪ সেপ্টেম্বর আরজিকর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আবার রাত জাগলো কলকাতা।  নানা জায়গার মতো শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে রাত দখল চলছিলো। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কিন্তু তারপর তার যা অভিজ্ঞতা হলো তা খুব একটা সুখকর নয়। শ্যামবাজারের কর্মসূচিতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে।ঘড়িতে তখন ৯টা। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন টলি তারকারা । মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান ঋতুপর্ণাও। গাড়ি থেকে নামতেই শোনা যায় ‘গো ব্যাক… গো ব্যাক’। তারপরও তিনি প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দ্রুত অভিনেত্রীকে গাড়িতে তোলা হয়। তাতেও পরিস্থিতি সামলানো কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। গাড়ি ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। এমনকি তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিনেত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে বোতল ছোড়া হয়। কোনওক্রমে এলাকা ছাড়েন ঋতুপর্ণা।

এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ভেবেছিলাম এত মানুষের প্রতিবাদ বৃথা যাবে না। আমিও সুবিচারের আশায় রয়েছি। জমায়েতে যোগ দিয়ে মোমবাতি জ্বালাই। কিন্তু, কিছু ক্ষণের মধ্যেই বদলে গেল ছবিটা। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লাম। আমার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অনেকে। চার পাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ। এতে কিছু মনে করেছি, এমন নয়। কিন্তু তার পর গাড়িতে জুতো ছোড়া হল। তখন আমি দরজা খুলে বলি আপনারা এমন করবেন না। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। কিন্তু কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আসলে আমার মনে হয়, কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় না রেখে, হুজুগে চলে গিয়েছিলেন জমায়েতে। বুঝতে পারছি, সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে, কলকাতার প্রতিবাদী চেহারার মধ্যে এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত।' 

এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শঙ্খ বাজিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। সেই নিয়ে কম ট্রোলডও হননি। জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী অভিনেত্রী কটাক্ষের মুখোমুখি হওয়ার পরে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। আর সেই ক্ষোভ থেকেই এদিনের এই বিক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

আপনাদের আরজি কর হাসপাতালে যা হয়েছে তাতে আমরা সমব্যথিত। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে যে দেশ অন্যের বিপদে আপরাধীকে সহয়তা করে, তার দেশেও এটা ছিল অবধারিত। ব্যবধানটা শুধু সময়ের।

এম.এস.এ বাবু
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:৫৬ অপরাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status