অনলাইন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত দেড় শতাধিক
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার রাতভর দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দেড় শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি। পরে রাত পৌনে ৩টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা প্রায় ১ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে বিএম কলেজের আশেপাশে তখনও হামলা-পাল্টা হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডে একপক্ষ বাড়ি দখল করতে দলবল নিয়ে গিয়েছিল বিএম কলেজের সমন্বয়ক পরিচয় দেয়া মোস্তাফিজুর রহমান রাফি। সেখানে তারা বাড়ির মালিকদের উপর হামলা করে। এসময় হামলার শিকার হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোয়া। খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলার কারণ জানতে চায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের উপরও হামলার চেষ্টা করেন রাফি। এঘটনায় থানায় জিডি করেন জোয়া। পরে রাত ১০টায় ববির দুই শিক্ষার্থীকে নগরীর বটতলা এলাকায় বেধড়ক মারধর করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। সহপাঠীদের মারধরের খবর পেয়ে রাত ১২টা নাগাদ ববির শিক্ষার্থীরা একটি বাসে করে সেখানে গেলে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সেই বাসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও চালকসহ ১৫-২০ জনকে আহত করে। সহপাঠীদের মারধর করার খবর পৌঁছালে বাস-ট্রাক বোঝাই হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে দূরে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় জড়ো হয়। সেখান থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার হেঁটে তারা বিএম কলেজে গিয়ে হামলা চালায়। হামলার প্রথম পর্যায়ে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টা হামলা চালানোর চেষ্টা করলেও পারেননি। এরপর বিএম কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর তাণ্ডব চালায় ববি শিক্ষার্থীরা।
বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, বেশ কয়েকদিন যাবত এক মহিলা কলেজে এসে সমন্বয়কদের সহায়তা চাচ্ছিলেন তার বাড়ি দখল করা হয়েছে জানিয়ে। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর ওই মহিলার বাড়িতে তার প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য যান। তবে বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়া জোয়াকে গালাগাল করে। পরে তিনি তার বন্ধুকে ফোন করলে তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাস ভরে ঘটনাস্থলে এসে বিএম কলেজের সমন্বয়কের উপর হামলা চালায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ডক্টর উন্মেষ রয় জানান, হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক বলেন, 'বাস, প্রশাসনিক ভবন, হোস্টেল ও কলেজের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর হয়েছে। তবে কতজন ছাত্র আহত হয়েছেন, তা এখনো জানতে পারিনি।'
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ঘটনায় পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ একসঙ্গে কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।
দেশে কি পুলিশ নাই? সব সমস্যার সমাধান পুলিশ করবে না স্বমনয়করা করবে? তাহলে তাদের অফিসিয়ালি ক্ষমতা দেয়া হোক।আসলে বেশি বাড়াবাড়ি ভালোনা
প্রশাসন থাকতে সে কেন সমন্বয়ক এর কাছে গেলো জমি দখলের সমস্যা নিয়ে?
ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব বিপ্লব পরবর্তী ছাত্রদের কিছু অংশের এহেন সংঘর্ষ সংঘাতে লিপ্ত হওয়া তাদের আকাশচুম্বী ইমেজের জন্য আত্মঘাতী। সমন্বয়কের কাজ কি অনন্যার বাড়ী দখল কিংবা বেদখল মুক্ত করা! দেশে এখন নতুন মুক্ত পরিবেশে স্বাধীন আইন আদালত বিচার বিভাগ আছে। এমন সময়ে ছাত্রদের এই সংঘর্ষ স্বৈরাচারী সরকারের হেলমেট বাহিনী তথা ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির দুঃসহ সৃতিই জাগিয়ে তুলবে! যা কারও কাম্য নয় ২য় স্বাধীন দেশে।
একজন মহিলা গেছেন সমম্বয়ের কাছে বাড়ি দখল হয়ে গেছে বাড়ি উদ্ধার করতে হবে ভালো কথা। ছাত্ররা কেন যাবে গুন্ডামি করার জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তারা দেখবে। তোমরা সাহায্য করতে পারো।