অনলাইন
অভিযোগ আমলে না নিলে দেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করে দেবে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ৩১ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ৭:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৮ অপরাহ্ন

সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না।
তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব সেবা বন্ধ থাকবে। আমরা প্রথমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে জানাব যে তারা (সোশ্যাল মিডিয়া) আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে এই অপরাধ এবং গুজব চালাতে দিচ্ছে এবং এগুলো প্রতিরোধে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রথমে কয়েকবার বলা হবে। প্রয়োজনে আমরা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও বলব, যেন মনে না হয় যে এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইনের বিধান হলো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া। তারা আমাদের অভিযোগের তদন্ত করছে না। আমরা এখন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগণকে তাদের উদাসীনতা সম্পর্কে জানাব, যেন বাধা (সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ) দেয়া হলে দায় সরকারের ওপর না পড়ে, বরং তাদের ওপরই বর্তায়।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশে ফেইসবুক ইউটিউব বন্ধ করা উচিত। কারণ বাংলাদেশীরা অযথা সময় ও অর্থ নস্ট করে,এগুলো বন্ধ হলে কিছুটা হলেও মানুষের ব্যয়ের পরিমাণ কমে যাবে। তবে আইনের শাসন এবং ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে, সার্বিকভাবে আমরা ঘুষ, দুর্নীতি এবং বিবিধ অপরাধে নিমজ্জিত।তাই শাসকগোষ্ঠীর কাছে জোর আবদার জানাই আপনারা সৎ হোন, সততার সাথে কল্যাণকামিতার দেশ পরিচালনা করেন দেশের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
তাহলে কি বুঝে নিতে হবে যে দেশে কোন অন্যায় কাজ চলছে। আর রাষ্ট্রের কতিপয় কর্মকান্ডের বিরোধিতা মানে এই নয় যে যে তারা দেশের শত্রু বা দেশ বিরোধি। মানসিকতা পরিবর্তন করা উচিত।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এত আবুল না যে, আপনারা বললেই তারা আপনাদের কথা বিশ্বাস করবে। কারণ তারা ইতিমধ্যেই ভালভাবেই জানে আপনারা কত বড় মিথ্যুক
একবারে রাজতন্ত্র কায়েম করলেই হয়
দারুণ হবেগো ব্যাপারটা। আমার দেশ উত্তর কোরিয়ার মত উন্নত হবে।
সরকার বিরোধী নয়, বরং ভারত বিরোধী প্রচারনা বন্ধ করতেই এই তোড়জোড়।
অচিরেই অনলাইন পত্রিকায় মন্তব্য করাও বন্ধ করে দিবে। দেশে উত্তর কোরীয়ার কিম এর মতো শাসন চলবে।
যত তাড়া তাড়ি পারেন সব কিছু জয়বাংলা করে দেন।
বন্ধ করে দেখান। ক্যামনে চালান লাগে, আমরা জানি।
গতকালকে একটা খবর দেখলাম যে প্রাত্তন পুলিশ প্রধান বেঞ্জির হাজার কোটি টাকা সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। এই খবর বাংলাদেশ কালের কন্ঠে উঠেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে এসেছে। তাহলে সরকার কি বলবে এ খবর গুজব? এ খবর প্রচার হবার পর সরকার এখন সোশ্যাল মিডিয়ার পিছনে লেগেছে। কারণ সরকার জানে বেনজিরের ঘটনা সত্য।
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিবে?!?! হাহাহাহাহা ফেসবুক অফিসে দৈনিক ইত্তেফাক রাখে, ওনারা তাই ঐটা পড়ে জানতে পারবে এই নির্দেশ! হাহাহা
এখানে আমার মনে হয় ফেসবুকে সরকার বিরুদী যে পোস্ট গুলো হচ্ছে এটা সরকার পছন্দ করছে না তাই হয়তো আমাদের সরকার রাগের বসিভুত হয়ে এখন ফেসবুক ইউটিউব বন্দ্ব করে দিবেন
ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলে ভাল হয়, ভাল কাজে ব্যবহার হয় কম। ৮০-৯০ এর দশকে মানুষ কত শান্তিতে ছিল। ডাব/মাছ চুরি করলেও কেউ টের পেতনা, আর এখন ঘটনা ঘটতে বাকি সাথে সাথে ফেসবুকে ছবি সহ।