ঢাকা, ১৫ মে ২০২৪, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বজমিন

প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করলেও তা গ্রহণ করবেন না ইমরান খান

মানবজমিন ডেস্ক

(২ মাস আগে) ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ১:৪০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:২০ পূর্বাহ্ন

mzamin

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো মিডিয়া থেকে চাপে পড়ে প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু এর বিরোধিতা করেছেন ইমরান খান নিজেই। পিটিআইয়ের মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট তাকে এমন কোনো ক্ষমা করলে তিনি তা গ্রহণ করবেন না। তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া প্রেসিডেন্ট এভাবে কাউকে ক্ষমা করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে মোট ৩১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। দ্য নিউজকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

পিটিআইয়ের তথ্য সম্পাদক রউফ হাসান বলেছেন, সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন পক্ষ থেকে ইমরান খানের ক্ষমার দাবি উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টকে ইমরান খান এমন কোনো অনুরোধ বিবেচনায় না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  তিনি এক্ষেত্রে জোর দিয়ে একটি বিষয় তুলে ধরেন। বলেন, যেকোনো আদালতের দেয়া যেকোনো শাস্তি ক্ষমা করে দেয়ার সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে প্রেসিডেন্টের। কিন্তু কখনোই এমন ক্ষমা মেনে নেবেন না পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা।

বিজ্ঞাপন
যদিও গত বছর তোষাখানা মামলায় ইমরান খানের শাস্তি স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট, তবু তোষাখানা সহ আলাদা তিনটি মামলায় তাকে দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্ত করেছে জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরো (এনএবি)। এর মধ্যে আছে সাইফার বিষয়ক মামলা বা কূটনৈতিক বার্তা বিষয়ক মামলা ও অনৈসলামিক উপায়ে বিয়ের মামলা। যথাক্রমে তোষাখানা, সাইফার মামলা এবং বিয়ের মামলায় ইমরানকে শাস্তি হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৪, ১০ ও সাত বছরের জেল। কিন্তু সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জেলবন্দি ইমরানকে ক্ষমা করে দেয়ার এক্তিয়ার আছে প্রেসিডেন্টের। ওই ধারায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শুধু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেয়া যেকোনো দণ্ড ক্ষমা, মওকুফ বা স্থগিত করতে পারেন।

তবে অনেক সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং আইন জানেন এমন মানুষ বিশ্বাস করেন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট যেকাউকে শাস্তি ক্ষমা, মওকুফ বা স্থগিত করতে পারেন। অন্যরা মনে করেন, প্রধান নির্বাহীর পরামর্শ ছাড়াই প্রেসিডেন্ট এই কাজটি করতে পারেন।  গত বছর আগস্টে ইসলামাবাদের একটি জেলা আদালত তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করার পর সিনিয়র আইনজীবী লতিফ খোসা বলেন, সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রেসিডেন্ট যেকোনো শাস্তি তার নিজের ক্ষমতাবলে বা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ক্ষমা করে দিতে পারেন। ক্ষমা করে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের যে ক্ষমতা আছে, তাতে কোনো বাধা নেই। সারাবিশ্বেই রাষ্ট্রের প্রধানদের যেকোনো শাস্তি ক্ষমা, লঘু করা, মওকুফ করার ক্ষমতা আছে।

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status