বাংলারজমিন
এবার খৎনায় ভুল, অতিরিক্ত রক্তপাত: মেডিকেল অফিসারকে বদলি
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
(৯ মাস আগে) ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১১ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শিশুর খৎনায় ভুলে লিঙ্গের সামনের অংশে বাড়তি কাটায় অতিরিক্ত রক্তপাতের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে’কে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। একই সাথে শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো: যোবায়েরকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য হলেন মেডিকেল অফিসার ডা.শাহাদাত হোসেন।কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি জানার পর স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা.মো.মহিউদ্দিন এবং তিনি নিজে (সিভিল সার্জন) আজ সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে দেখতে যান। এ সময় তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিশু ও তার বাবাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে অভিযোগর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওইদিন দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে’কে তাৎক্ষণিক সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্বাস্থকেন্দ্রে শাস্তিমূলক বদলি আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের আজ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশু আল নাহিয়ান তাজবীব (৭) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন বাদলের ছেলে। সে বসুরহাট পৌরসভা এলাকার চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা অভিযোগ করেন, বুধবার সকাল ১১টার দিকে ছেলেকে খৎনা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশ প্রহরীসহ তিনজন চিকিৎসকের কথা বলে শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে জরুরি বিভাগে নিয়ে নিজেরাই খৎনা করাতে থাকেন।
এ সময় শিশুটির বাবা আবারও চিকিৎসকের খোঁজ করলে তারা নিজেদের এ বিষয়ে অভিজ্ঞ দাবি করেন। এদিন সকালে তারা আরো দুই শিশুর খৎনা করেছেন উল্লেখ করে তাকে (শিশুটির বাবাকে) আশ্বস্ত করে সেখান থেকে বের করে দেন।
এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে তার বাবা সেখানে গিয়ে শিশুর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে দেখেন বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনায় শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকের সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে এর দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মোহাম্মদ সেলিম মানবজমিনকে জানান, শিশুটি এখন সুস্থ আছে। খৎনার সময় তার একটু বেশি রক্তপাত হয়। যা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও এতে শিশুটির স্বজনরা ঘাবড়ে যান। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বুঝলাম না দুজনই তো হিন্দু, উনারা খাতনা করাবেন কেন? ডাক্তার যদিও হয়ও রিলিজিয়াস বিষয়ে তো নিজের রিলিজিয়নের লোক দিয়েই করানো উচিৎ।
আসলে এগুলো কি হচ্ছে? এটি কি ভুল নাকি ইচ্ছে করে? আর খৎনা একটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশাসনের অংশ কিন্তু হিন্দু ডাক্তার কেন খৎনা করাচ্ছে। এটি কারো নির্দেশ পালন করছে?
সরকারি চাকরিতে বদলী স্বাভাবিক। শাস্তির বদলে তাকে পূণরায় ভুলের সুযোগ দেওয়া হলো না তো?
স্যাকমো ( SACMO- senior assistant community medical officer) রা চিকিৎসক না, সরকারি হেলথ কমপ্লেক্সে কিভাবে তারা এই অপারেশন করার পারমিশন পেল ? এই ক্ষেত্রে তো SACMOর ও এসিস্ট্যান্ট অপারেশন করেছে । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (UHFPO) কিছুতেই এই অনিয়মের অভিযোগ এড়িয়ে যেতে পারেন না । বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা তাহলে কাদের হাতে ??