বাংলারজমিন
শহীদ সোহাগের পরিবার পেল ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র
জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
৯ জুলাই ২০২৫, বুধবারঢাকায় গণভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লংমার্চ চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের গোলামীপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া (২১)। ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট। একই ঘটনায় সোহাগের ছোট ভাই শুভ মিয়াও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এর দীর্ঘ এক বছর পর তার পরিবারের পাশে দাঁড়াল সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জুলাই অভ্যুত্থান শাখা থেকে শহীদ পরিবারের জন্য প্রদত্ত ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবেদনশীল অনুষ্ঠানে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুন নূর শহীদ সোহাগের মা রোকেয়া বেগম এবং ভাই বিল্লাল মিয়ার হাতে সঞ্চয়পত্রের চেকটি তুলে দেন। সঞ্চয়পত্র গ্রহণের সময় কান্নাভেজা কণ্ঠে রোকেয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। আজ সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। টেকা দিয়ে দুঃখ মুছা যায় না। আমার চাদরের মানিকের জন্য সবাই দোয়া করবেন। অনুষ্ঠানে ইউএনও মুশফিকুন নূর বলেন, শহীদ সোহাগের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
একজন শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব এবং সম্মানের বিষয়। আমি ও আমার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শহীদ সোহাগের আত্মত্যাগ ও তার পরিবারের প্রতি এই সহায়তা শুধুই অর্থনৈতিক নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রতীক, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেমের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করবে।
উল্লেখ্য, শহীদ সোহাগ মিয়ার পরিবার আন্দোলনের পর থেকে চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছিল। তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতির অংশ হিসেবে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে নগদ ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেছে। সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদের বাড়ি সংস্কারের জন্য ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শহীদ পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।