বাংলারজমিন
আদালতে স্বীকারোক্তি
যমজ ২ শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন মা
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
(৪ ঘন্টা আগে) ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৭:৫৪ অপরাহ্ন

শ্রীনগরে পাঁচ মাসের যমজ দুই শিশু কন্যাকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন তাদের মা। বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের সামনে শান্তা আক্তার (২৪) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী এলাকার একটি পুুকুর থেকে লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার এসআই সালমান জানান, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শান্তা আক্তার স্বীকার করে পারিবারিক কলহের জেরে সে সন্তানদেরকে ঘরের নিচের পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছিল। শান্তার বরাতে পুলিশ জানায়, প্রায় দুই বছর আগে তার সাথে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামের সোহাগ শেখের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে সোহাগ তার বাক প্রতিবন্ধী ছোট ভাই মুমুনকে জড়িয়ে শান্তাকে সন্দেহ করতে থাকে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। সন্তান হওয়ার আগে শান্তা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। বাবার বাড়িতে থেকে হাসপাতালে লামিয়া ও সামিহা নামে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। সন্তানদের বয়স ৫ মাস হলে সোহাগ শেখ প্রায় ১০ দিন আগে তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু সন্তানদের চেহারার সঙ্গে তার চেহারার মিল নেই কেন এই প্রশ্ন তুলে ফের কলহ শুরু করে।
পুলিশ জানায়, দু’টি কন্যা সন্তান হওয়ায় সে কটু কথা বলে।
সর্বশেষ গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে বাজার ও সন্তানদের জন্য দুধ এনে দিতে বললে সোহাগ জানায়, সে দায়িত্ব নিতে পারবে না। এতে শান্তা মানসিক কষ্টে অনেক কান্নাকাটি করে। একপর্যায়ে ঘরের পেছনের দরজা খুলে প্রথমে সামিহাকে ও পরে লামিয়াকে ফেলে দেয়। পরে তাদের বাড়ি থেকে কয়েক বাড়ি দুরে গিয়ে দূর সম্পর্কের এক আত্নীয়কে জানায়- তার মেয়েদেরকে সোহাগ শেখ পানিতে ফেলে দিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুকুরে নেমে দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা খান জানান, এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় মামলা হয়েছে। শিশু দু’টির মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
পাঠকের মতামত
Very sad. There was no trust each other. Father
১৬৪ ধারার জবান বন্ধী পুলিশ জোর জবস্তি ভয় ভীতি এবং নির্যাতন করে আদায় করে , এই ১৬৪ ধারা শেষপর্যন্ত আদালতে টিকেনা - প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করতে হবে ।