বাংলারজমিন
সিলেটে ২৫ বাগানের কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন
চায়ের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার
চা উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বাড়লেও চায়ের নিলামমূল্য তার চেয়েও বেশি মাত্রায় কমেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের ২৫টি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে চা শিল্পের সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে তারা জানিয়েছেন এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে চা বাগানগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। রোববার সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুফতি মো. হাসান। এসময় তারা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হচ্ছে- কেজিপ্রতি চায়ের নিম্নতম মূল্য ৩৫০-৪০০ টাকা নির্ধারণ করা। লিখিত বক্তব্যে মো. হাসান বলেন, অন্যান্য শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের তুলনায় চা নিলামমূল্য উৎপাদন মূল্যের চেয়েও কম। বাগানের ব্যবহৃত রোগবালাই দমনে ওষুধ, সার এবং বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে কিন্তু নিলামমূল্য তারচেয়েও বেশি মাত্রায় কমেছে। ভালোমানের চা ২২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব দামে বিক্রি হচ্ছিলো যা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। বর্তমানে নিলামমূল্য ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা থেকে নেমে ১০০ টাকা ১১০ টাকায় এসেছে। এমনকি ১০০ টাকার নিচেও নিলামে বিক্রি হচ্ছে।
চায়ের এই নিলামমূল্য দিয়ে লাভের প্রশ্নই উঠে না, উৎপাদন খরচ বহন করাই কোনোভাবে সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সেগুলো হলো- কেজিপ্রতি চায়ের নিম্নতম মূল্য ৩৫০-৪০০ টাকা নির্ধারণ করা, ভালোমানের চা নিলামে বিডিং’র মাধ্যমে বেশি দর পেতে পারে, দেশের বাইরে থেকে চোরাই পথে চা আসা বন্ধ করতে হবে, পঞ্চগড় এলাকায় চা উৎপাদনের মান এবং আইন ও বিধিসম্মতভাবে চা বাজারজাত করতে হবে, ছোট বাগানকে প্যাকেজিংয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা দিতে হবে যাতে কল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে, প্যাকেজিংয়ের নিম্নতম পরিমাণ বর্তমানে ২৫ ভাগ থেকে ৫০ ভাগ করতে হবে, ভালো প্যাকেটজাত চা বা টি ব্যাগ রপ্তানি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে, চা বাগানকে বহুমুখী আয়ের উৎস সৃষ্টিকল্পে চা পযর্টন স্থাপনের সুযোগ দিতে হবে, কৃষি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের হার কমাতে হবে ও শর্তাবলী সহজ করতে হবে, বি. কে. বি. ঋণ পরিশোধ করার সিডিউল রি-স্ট্রাকচার করার সুযোগ থাকতে হবে, রুগ্ণ, ছোট বা যেসব ছোট বাগানের উৎপাদন কম সেসব বাগানকে ৫ বছরের জন্য ট্যান্ড তাদের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ দিতে হবে এবং বাগানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইন রক্ষাকারী বাহিনীর ত্বরিত ব্যবস্থাও নিতে হবে, বিশেষ করে বাগানের জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- মো. খসরুজ্জামান, শফিকুল বারী, সৈয়দ মহিউদ্দিন, সাহেদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী, নোমান হায়দার চৌধুরী, আজম আলী, রুকন উদ্দিন খান, সজল সোসেক গমেজ প্রমুখ।