বাংলারজমিন
চিতলমারীতে টমেটো চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
প্রতিকূল পরিবেশ ও বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে সংগ্রাম করে এ বছর টমেটো চাষে সাফল্য এনেছেন চাষিরা। বর্তমানে বাজার দর ভালো থাকায় বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখছেন অনেকে। এতে চাষিদের মধ্যে খুশির আমেজ ফিরে এসেছে। এ বছর এলাকার অধিকাংশ আবাদি-অনাবাদি জমিতে ব্যাপকভাবে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
জানা যায়, উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ আবাদি-অনাবাদি জমি ও চিংড়ি ঘেরের পাড়ে ব্যাপকভাবে টমেটো চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন। চাষিরা জানান, এ বছর টমেটোর ফলন খুবই ভালো হয়েছে। বাজার দরও বেশ আশানুরূপ। বর্তমানে বাজারে কাঁচা টমেটোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখানে টমেটো কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। প্রতিদিন দেশের নানা স্থানে ট্রাকযোগে চালান হচ্ছে এসব টমেটো। ঢাকার ব্যবসায়ী হারুন শেখ জানান, এলাকার সবজি ও টমেটোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রাজধানীতে। এসব টমেটো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। পুরো মৌসুমে এখান থেকে শত শত ট্রাক টমেটো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়ে হচ্ছে। কৃষকরা জানান, এ বছর অতিবৃষ্টিতে করলা-শসাসহ অন্যান্য সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেলেও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দর বেশ ভালো। অন্যান্য বছর এ সময়টায় টমেটোর মণ ১৩’শ থেকে ১৪’শ টাকা দরে মণ বিক্রি হতো। কিন্তু এ বছর আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে । প্রতি মণ টমেটো ২ হাজার থেকে ২২’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত-আল মারুফ জানান, এ বছর উপজেলায় মোট ৮’শ ২৫ হেক্টর জমিতে হাইটম, বিজলী, লাভলী ও বিউটিফুল জাতের উচ্চ ফলনশীল টমেটো আবাদ করা হয়েছে। এখানকার চাষিরা নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে সংগ্রাম করে দারুণ টমেটো আবাদ করেছেন। এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন তারা। ৬০ কোটি টাকার টমেটো বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সার্বিকভাবে কৃষি অফিস থেকে চাষিদের পরামর্শ প্রদান ও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।