অনলাইন
সবজি-মুরগির বাজার স্থিতিশীল, বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অনেক নিত্যপণ্য
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

বাজারে শীতকালীন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কিছুটা স্বস্তি এসেছে মাছের বাজারেও। তবে এখনো বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল, চিনি, আটা ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৫০, বরবটি ৮০, ধুন্দুল ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, শসা ৬০ থেকে ৭০, পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে এবং ধনে পাতা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা এবং জালি কুমড়া ৪০ টাকা। এদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০, দেশি পেঁয়াজ ১৩০, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ এবং কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০, কচুরমুখী ৭০ এবং গাজর ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মোটা চাল। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সবধরনের চালের দর কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছিল, এখনও সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি কিনতে খরচ হচ্ছে কমবেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনো আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।
বাজারে চাষের মাছের দাম কিছুটা কমেছে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি কিনতে এখনও গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।