অনলাইন
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ ঘন্টা আগে) ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ৪:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার জুনিয়র সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির জানান, আমার সিনিয়র জনাব ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যার ইবনে সিনা হাসপাতালে বিকাল ৪ টা ১০মিনিটে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন।
এর আগে গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২৬ই ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়মিত হন।
শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। ২০১৩ সালে জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়। একই বছরের ১৭ই ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান।
যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৭ই আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়াও ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। দলটির সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলও ছিলেন।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলে ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
পাঠকের মতামত
ইন্না-লিল্লাহ অইন্না ইলাইহি রজিউন
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। হে আল্লাহ সত্যের পক্ষে লড়াইয়ের তোমার এই অকুতভয়ী সৈনিক বান্দাকে তুমি জান্নাতে মেহমান হিসেবে কবুল করে নিও। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের, অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের সংগ্রামে অবিচল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এর বিদেহী আত্মার প্রতি জানাই আন্তরিক সালাম এবং স্যালুট। সেই সাথে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য রইল পরম সমবেদনা ও শুভকামনা ।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন। আমি মরহুম আব্দুল রাজ্জাককে বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
কুয়েতে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আমরা মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করেন এবং তাঁর পরিবার ও প্রিয়জনদের এই শোক সইবার ধৈর্য ও সান্ত্বনা দান করেন।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। তিনি অত্যন্তসহজ সরল ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহপাক উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকান দান করুন আমীন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন অগ্রসৈনিকের মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। হে আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন অত্যন্ত মেহেরবানী করে তোমার এ-ই বান্দাকে ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানিয়ে দিও।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
Innalillahi wa inna Ilaihi Rajiun. May Allah forgive him and grant him Jannbatul Ferdaus.
অবশ্যই তিনি একজন গুণীজন ছিলেন, আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের মেহমান করে নিন
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ মরহুমের জীবনের সব গুণাহ মাফ করে জান্নাতে সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। তিনি অত্যন্তসহজ সরল ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহপাক উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকান দান করুন আমীন।