অনলাইন
নতুন সংবিধান প্রণয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া
স্টাফ রিপোর্টার
(২২ ঘন্টা আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ৫:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া পার্শ্ববর্তী দেশে এই প্রক্রিয়ায় ৮-৯ বছর সময় লেগেছে, তাই বাংলাদেশেও তাৎক্ষণিকভাবে নতুন সংবিধান বাস্তবায়ন করতে বহুদিন লাগতে পারে। রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন এবং সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোট কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সংবিধান সংস্কার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠন বিষয়ে নাগরিক সমাজের ৭ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, জাতীয় সংসদই সংবিধান প্রণয়ন করে। নতুন সংবিধান তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদই পরিচালক হিসেবে কাজ করবে এবং প্রয়োজনে ৭২- সালের সংবিধানে সংশোধনী আনবে। তিনি আরও বলেন, নতুন গণপরিষদ গঠনের পর তারা কাজ শুরু করলে অন্তত ২-৩ বছর সময় লাগতে পারে। এই সময়ের জন্য কি আমরা ৭২-এর সংবিধান মেনে চলব, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা এবং কিছু সংস্কার জাতীয় সংসদ পরিবর্তন করতেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ থাকা নিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা জনপ্রিয় দাবি। আমারও দাবি। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদে বললে তো হবে না, যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ থাকতে হবে । পৃথিবীর আর কোন কোন দেশে এটা আছে বের করেন। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদ কোথাও নাই আসলে। ভারত বলেন, যুক্তরাজ্য বলেন কোথাও নাই। দুই মেয়াদ সমাধান না। সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাটা কমিয়ে নেওয়া।
জুলাই সনদ সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরেই নিয়েছি, সবাই জুলাই সনদের ওপর অনেক কিছুতে একমত হবেন। হয়ত এমনও হতে পারে জুলাই সনদের মৌলিক কিছু জিনিস রাখা যেতে পারে। উচ্চ কক্ষের ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে নিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধান বিচারপতি অসীম ক্ষমতা, তিনি দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তিনি উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং সংসদের কিছু মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এবং আলোকচিত্র শিল্পী ড. শহিদুল আলম।
পাঠকের মতামত
He is a big impediment to reform. He should be removed immediately from the interim government.