বাংলারজমিন
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ফলাফলে বদলে গেল ৮ হাজার পরীক্ষার্থীর রোল
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার
এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে দেয়া রোল নম্বরটি খাতায় লিখেছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ফলাফল আনতে গিয়ে তারা জানতে পারেন তাদের প্রবেশপত্র ও রোল নম্বরটি বদলে গেছে। নতুন প্রবেশপত্র অনুযায়ী ফলাফল নিতে হয়েছে তাদের। ফলাফলের আগ মুহূর্তে প্রবেশপত্র বদলের এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে। অন্তত ৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে এমন পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ অসৎ উদ্দেশ্যে এমনটি করা হয়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ড বলছে, প্রযুক্তির ত্রুটির কারণে একই রোল নম্বর দু’জনের এসেছিল। এটি ফলাফল তৈরির আগ মুহূর্তে ধরা পড়ে। তাই সমন্বয় করতে গিয়ে নতুন রোল নম্বরে ফলাফল দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৬ জন শিক্ষার্থী।
এর মাঝে মাত্র ১৬ জন কৃতকার্য হয়েছেন। মানবিক শাখায় অংশগ্রহণকারী মোছা. কাকন আক্তার ও ইসরাত জাহান জেরিন দু’জনেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। শিক্ষার্থী কাকন আক্তার তার রোল নাম্বারে অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখেন, নিজের নামের পরিবর্তে সুসং দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের মাজাহরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। একই ঘটনা ঘটেছে ওই কলেজের ইসরাত জাহান জেরিনসহ ৫১ জন শিক্ষার্থীর। ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি কলেজই এমন ঘটনা ঘটেছে। ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজ উদ্দিন সুমন বলেন, এমন ঘটনা আমি আগে কখনো শুনিনি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এখন আমাদেরকে দায়ী করছে। অথচ এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. সামছুল ইসলাম বলেন, বোর্ডে ৮ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ডুপ্লিকেশন হয়েছে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। পরে সুক্ষ্মভাবে বিষয়টি তদারকি করে নতুন রোল নম্বর দিয়ে প্রবেশপত্র দেয়া হয়।
রোল নম্বর পরিবর্তনের সঙ্গে ফলাফলের কোনো সম্পর্ক নেই। ফলাফল সঠিক রয়েছে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল বলেন, নিজস্ব জনবল না থাকায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। প্রবেশপত্র পরিবর্তনের কারণে অকৃতকার্য হয়েছে এটি অমূলক। মফস্বলের কলেজগুলোতে শিক্ষার মানের কারণে অনেকে অকৃতকার্য হয়েছে। শহরের কলেজগুলোতে রোল নম্বর পরিবর্তন হলেও সেখানে পাসের হার অনেক ভালো। তিনি আরও বলেন, রেজাল্ট প্রস্তুত করা হয় রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে। রেজাল্টের জন্য রোল নম্বর প্রয়োজন নেই। যেগুলোতে সমস্যা হয়েছে সেগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে করা হয়েছে। সংশোধন করে এক মাস আগেই প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ফলাফল প্রস্তুত হয় এক সপ্তাহ আগে। রোল নম্বর পরিবর্তন হলেও রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন হয়নি।