বাংলারজমিন
ঝিনাইদহ পৌর মার্কেট থেকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২২, রবিবার
ঝিনাইদহ শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণসহ জামানতের টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঝিনাইদহে পৌর মার্কেটের প্রায় দুইশ’ ব্যবসায়ী ও তাদের পারিবারের সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- হাসিবুর রহমান পাপ্পু, সাব্বির আহম্মেদ জুয়েল, লাল মিয়া, মাজেদুল ইসলাম ও অলোক কর্মকার। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিকরা দাবি করেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট তৈরি করে তাদের কাছে বরাদ্দ দেয় ঝিনাইদহ পৌর কর্তৃপক্ষ। বরাদ্দ প্রদানের সময় তাদের সঙ্গে তিনশ’ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টাকা লেনদেনের চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক পৌররসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ একাধিক কাউন্সিলর। গত ৯ই মে বিকালে অবৈধ স্থাপনা হিসেবে পৌর মার্কেট উচ্ছেদ করে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে প্রায় ২৬ জন ব্যবসায়ী পথে বসেন। তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান পাপ্পুু জানান, ২০২০ সালের পহেলা আগস্ট তারিখে কার্যকর হওয়া চুক্তিনামার এক নং শর্তে বলা হয়েছে অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করা জামানতের টাকা পৌরসভার তহবিলে জমা থাকবে। কিন্তু ঘর উচ্ছেদের পর বর্তমান পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম ও সচিব নূর মোহাম্মদ ব্যবসায়ীদের সাফ জানিয়ে দেন ঘর বরাদ্দের কোনো জামানতের অর্থ পৌরসভার তহবিলে জমা হয়নি। ফলে তাদের জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। জামানতের টাকা পৌরসভায় জমা হলেই কেবল ব্যবসায়ীদের দাবি পূরণ সম্ভব হতো। হাসিবুর রহমান পাপ্পু বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেওয়া অর্থ পৌরসভার ফান্ডে জমা না দিয়ে কার্যসহকারী হাবিবুর রহমান হাবিব দুর্নীতি করেছেন। আমরা এই দুর্নীতির বিচার চাই। টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো দোকানমালিকদের নামে মামলা করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, তিনি পৌর মার্কেটের একটি ঘর এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা জামানত দিয়ে
নিয়েছিলেন। ঘর উচ্ছেদের ফলে তার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জামানতের টাকা, দোকানের ডেকোরেশন ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল বাবদ চার লাখ টাকা দাবি করেছেন। আপন ফার্নিচারের মালিক সাব্বির আহম্মেদ জুয়েল জানান, তাদের কাছে পৌরসভার যে ডকুমেন্ট রয়েছে তাতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের টাকা দিতে বাধ্য। টাকা ফেরত না দিলে ব্যবসায়ীরা আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান।