ভারতে খাদ্য সামগ্রী, পেট্রোপণ্যে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি আট বছরে সর্বোচ্চ, টাকার দাম আরও কমেছে

বিষয়টি আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যে যথেষ্ট। ভারতে খাদ্যসামগ্রী ও পেট্রোপণ্যের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৭.৮ শতাংশ। এক খাদ্যসামগ্রীতেই মুদ্রাস্ফীতি ৮.৪ শতাংশ। ২০১৪ সালের মে মাসে আচ্ছা দিন অনেওয়ালা হ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই আট বছরে পাইকারি বাজারে এই পরিমান  মুদ্রাস্ফীতি আর দেখা যায়নি। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মুদ্রাস্ফীতি এত ভয়ঙ্কর হয়েছে। 

বিশ্বে সরবরাহ ঘাটতি এবং গমের আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ভারতীয় বাজারে। সেন সেক্স থিতু হয়েছে ৫২ হাজার ৯৩০ পয়েন্টে যা ১১৩০ পয়েন্ট কম এবং যার পরিমান ২.১ শতাংশ। ডলার এর সাপেক্ষে টাকারও অবমূল্যায়ন হয়েছে। এক ডলার কিনতে এখন ব্যয় হয় ৭৭ টাকা ৬৩ পয়সা। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি রুখতে কদিন আগে তাদের রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। জুনে আবার রেপো রেট বাড়ানো ছাড়া তাদের হাতে আর কোনও অস্ত্র নেই।

ফলে, জিনিষপত্রের দাম আরও বাড়বে। জনজীবন আরও কঠিন হবে।