ভারত
ধর্ষণকারীর আবেদনও বিবেচনা করবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট?
বিশেষ সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০৭ অপরাহ্ন

যার চার দেয়ালের জেলের অন্ধকার সেলে দিনরাত কাটানোর কথা ছিল, যার যাবজ্জীবন জেলের মেয়াদ আজাদির অমৃত মহোৎসব এর কল্যাণে মুকুব হয়ে গেছে, সেই রাধেশ্যাম সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে। ধর্ষক এই ব্যক্তি তার আবেদনে ফের তাকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। আবেদনে রাধেশ্যাম লিখেছে, এরা এই মামলার সংশ্লিষ্ট কেউ নয়, এরা রাজনীতিবিদ। এদের আবেদনে যেন কর্ণপাত না করা হয়। এই রাধেশ্যাম কে? গোধরা দাঙ্গার সময় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের একজন। সেদিন বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি এই নরপিশাচরা, তারা ১১ জন মিলে হত্যা করে বিলকিস বানোর পরিবারের সাতজনকে। আছড়ে মারা হয় বানোর তিন বছরের শিশুকন্যাকেও। সেই এগারো জনের দলে এই রাধেশ্যামও ছিল। এবার স্বাধীনতার পঁচাত্তর পূর্তিতে গুজরাট সরকার এদের যাবজ্জীবন সাজা থেকে মুক্তি দেয়। এদের মুক্তি উপলক্ষে লাড্ডু বিতড়িত হয়। এদের আবার জেলে পাঠানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। ধর্ষক রাধেশ্যাম এই মামলার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে গেছে। দাবি, এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কারও আর্জিতে সুপ্রিম কোর্ট ফের যেন তাদের জেলে না পাঠায়। রাধেশ্যাম জানিয়েছে, যারা তথাকথিত ধর্ষকদের ফের জেলে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে তারা কেউ বিলকিস বানোর আত্মীয়স্বজন নয়, এই মামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। তাদের আর্জি কেন বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট? ভারতের সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থা তাহলে কী এক ধর্ষকের মামলা গ্রহণ করবে। রাধেশ্যাম বোধহয় ভুলে গেছে একটি বস্তুর কথা- বিবেক। ভারতবর্ষের বিবেক কী ঠান্ডাঘরে চলে গেছে!