ঢাকা, ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

‘মব ভায়োলেন্সে’ ভয়-উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

(৬ ঘন্টা আগে) ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘মব ভায়োলেন্সে’ ভয়-উদ্বেগ। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় এক বছর পরও দেশ জুড়ে গণপিটুনি, সংঘবদ্ধ হামলা, গোষ্ঠী সহিংসতার ঘটনা ঘটছে; যা নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাভাবিক শান্ত সামাজিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমেই বেড়ে চলছে ‘মব ভায়োলেন্স’। হামলা-সহিংসতা ও গণপিটুনিতে মারা যাচ্ছে মানুষ। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি, বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থাও কমে যাচ্ছে। তাই মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই শুরু পর্যন্ত দেশে গণপিটুনির ঘটনায় অন্তত ৯৪ জন নিহত হয়েছে। আসক মনে করে, এ ধরনের সহিংসতা বিচারহীনতার কারণে বাড়ছে এবং সমাজে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে প্রকাশ্যে মা ও দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির সহিংসতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে উদ্বেগ বাড়ছে। মুরাদনগরে রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তারকে (২২) তাদের বাড়ি থেকে রাস্তায় নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের আরও একজন নারী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রকাশ্যে এমন হত্যাকা- দেশ জুড়ে ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

ঘটনায় আসক উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমন বর্বর হত্যাকা- শুধু আইনের শাসনের পরিপন্থী নয়, এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে নিরপেক্ষ ও প্রমাণনির্ভর তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে আহত নারীর নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

আসক আরও জানায়, গণপিটুনি বা ‘মব সন্ত্রাস’ প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। সরকারের দায়িত্ব এখনই জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে এ ধরনের সহিংসতা রোধ করা এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মাধ্যমে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অন্যথায় এ সহিংসতার দায় রাষ্ট্রের ওপরই বর্তাবে এবং সমাজে উচ্ছৃঙ্খলতা প্রশ্রয় দেবে। চলমান এ সহিংসতা রুখতে রাষ্ট্রকে এখনই কার্যকর, কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

গত বুধবার রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা থানার ওসিসহ ৩০ জনকে আহত করে এবং ওসির কক্ষসহ চারটি কক্ষ ভাঙচুর ও সরকারি মালপত্র লুট করে। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বালুমহালের ইজারাদারের লোকজন অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের সময় আটক দুই ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়। এর জেরেই ইজারাদার, সাবেক বিএনপি নেতা চপল হোসেনের নেতৃত্বে থানায় হামলা চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চপল হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে।

পুলিশও রেহাই পাচ্ছে না মব ভায়োলেন্স থেকে। আসামি ছাড়িয়ে নিতে এবং নানা দাবিতে থানা ও পুলিশের যানবাহনে হামলা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, গত ১০ মাসে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪৭৭টি মামলা হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪১টি, সেপ্টেম্বরে ২৪, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৪, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭, মার্চে ৯৬, এপ্রিলে ৫২ এবং মে মাসে ৬২টি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, মব বা গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের কাজ হচ্ছে অপরাধ ঘটলে তার ব্যবস্থা নেওয়া। অপরাধীদের বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিলে হবে না। তাই জনগণকে সচেতন হতে হবে। হেফাজতে থানায় আসামির মৃত্যু বিষয়ে পুলিশকেও হতে হবে সতর্ক ও সংযত।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা নিষ্পত্তির একমাত্র পথ সংবিধান ও আইনি প্রক্রিয়া। বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে যেকোনো অপমানজনক ও সহিংস আচরণ শুধু ব্যক্তির অধিকারই লঙ্ঘন করে না, তা একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে তার বিচার করতে হবে। বিচার ছাড়া মব বা জনতার হাতে আইন তুলে নেওয়ার ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর দৃষ্টান্ত। এ ধরনের আচরণ দেশের আইনি কাঠামো, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ।

একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা হলে তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, অভিযোগের প্রমাণ ছাড়াই এভাবে সুরাহা করার প্রবণতা জাতীয় ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। গত সরকারের আমলেও এ ধরনের প্রচুর অপরাধ হয়েছে। চারদিকে অভিযোগের বন্যা। এ অভিযোগ বন্যার প্রতিফলন হলো মব ভায়োলেন্স। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে এর একটা সুরাহা করার জন্য লোকজন মাঠে নেমে যায় এবং ভুলে যায় যে তারা এ অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে নিজেরাই অপরাধী হয়ে উঠছেন এবং অপরাধমূলক কাজ করছেন।

যেকোনো ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ডিএমপির সব থানায় এ বিষয়ে আবারও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার সেনা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কাউকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর যদি কেউ জামিন পেয়ে যায়, তাহলে সেনাবাহিনীর কিছু করার থাকে না।

যেকোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স, গণপিটুনি, সহিংসতা সবকিছুই সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতাকে জানান দেয় বলে মত ব্যক্ত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে মব ভায়োলন্সে যেভাবে বেড়েছিল, সেখান থেকে এখনো যদি একই রকমভাবে চলতে থাকে, সেটা অবশ্যই হতাশাজনক। সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কথা বললেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ সেভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর বা দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এই জাতীয় অপরাধ প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। ফলে সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে আরও সোচ্চার হতে হবে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর খরব যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভালো’ শুল্কছাড়ের আশায় বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। কোনো কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তির কাছাকাছি চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। কোনো কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তির আলোচনায় নতুন জটিলতাও তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পাল্টা শুল্কের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠক হতে পারে ৯ জুলাই। বাংলাদেশের বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বৈঠকটিতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) সঙ্গে গতকাল (৩ জুলাই) একটা বৈঠক করেছি। আমরা এখনো আশা করছি, ভালো একটা শুল্কছাড় পাব। আমাদের দিক থেকে কাঠামোগত ও শুল্কগতভাবে যত কিছু ছাড় দেওয়া সম্ভব, অর্থনীতির সক্ষমতা বিবেচনায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করেছি।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘৯ জুলাই আরেকটি বৈঠক আছে। ভালো ফল পাব আশা করছি। ৩ জুলাইয়ের বৈঠকে ইউএসটিআর আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, ছাড় পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিযোগীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকব না।’

যুগান্তর

‘আসন সমঝোতার নিশ্চয়তা চায় মিত্র দলগুলো’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত নয়। তবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনি সময়সীমা টার্গেট করে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। সে লক্ষ্যে আসনভিত্তিক এলাকায় মাঠেও নেমেছেন নেতারা।

তবে বিগত সময়ে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র দল ও জোটনেতাদের অনেকেই নিজের আসন নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় পড়েছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও নির্বাচনি আসন নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তায় তারা। এজন্য এখনই বিএনপির কাছ থেকে ‘আসন সমঝোতার’ নিশ্চয়তা চায় মিত্ররা। অন্ততপক্ষে মৌখিক আশ্বাস পেলেও নির্বাচনি আসনে তারা কাজ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মিত্র দলগুলোর একাধিক শীর্ষ নেতা।

যদিও বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে পরীক্ষিত মিত্র দলগুলোকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে চায়। সেক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে বেশকিছু আসন ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে দলটি। আর যুগপৎ আন্দোলনের নেতারা চান ‘সম্মানজনক’ আসন। পাশাপাশি উচ্চকক্ষ কিংবা ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকারেও থাকতে চান। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে মিত্রদের আসন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে অনেকটাই নীরবে। বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে মিত্রদের চলমান ধারাবাহিক বৈঠকেও এ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার পর হতে পারে আসন ভাগাভাগি। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হলে তো এই প্রক্রিয়া হবে। আমরা সে জায়গায় এখনো আসিনি। যখনই নির্বাচনি কার্যক্রম, তফশিল ঘোষণা হবে-এ বিষয়গুলো উঠে আসবে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘মব সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ দেশ’। খবরে বলা হয়, অনেকের কাছে সেদিন শুভ সকাল হলেও এই পরিবারের তিনজনের কাছে সকালটি ছিল অশুভ। কে জানত গ্রামের একদল লোক তাঁদের পিটিয়ে মৃত্যুপথের যাত্রী হিসেবে পাঠিয়ে দেবে এই জগৎ থেকে। গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়িতে মা এবং তাঁর ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মোবাইল ফোন চুরির জেরে প্রকাশ্য পিটুনিতে প্রাণ হারান খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৮) এবং মেয়ে জোনাকী আক্তার (৩২)।

নিহত রাসেল মিয়ার স্ত্রী মীম আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এমন ঘটনা শোনার পরও আমি বিশ্বাস করতে পারিনি মানুষ মানুষকে এভাবে পিটিয়ে মারতে পারে।’ ঘটনার পর কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) নাজির আহমেদ খান বলেছিলেন, কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করার কথা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

গত রবিবার ভোরে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড কারখানায় ১৯ বছরের যুবক শ্রমিক হৃদয়ের জীবনপ্রদীপ নিভেছে পিটুনিতে। চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। থানায় হত্যা মামলার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শুকতার বাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে হৃদয় কারখানায় মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।

সমকাল

‘কৃষকের গোলা খালি হওয়ার পর চড়ছে চালের বাজার’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভরা মৌসুমে যখন দাম কমে যাওয়ার কথা, তখনই চালের বাজার উল্টো পথে। রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে হঠাৎ কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন জাতের চালের দাম। এতে সাধারণ ভোক্তা যেমন চাপের মুখে পড়েছেন, তেমনি হতাশ কৃষকরাও। এখন চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী দেখে অনেক কৃষক মনে করছেন, তারা ঠকেছেন। এ পরিস্থিতিতে আবারও সামনে এসেছে ‘সিন্ডিকেট’ ও ‘করপোরেট দখল’।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, রেকর্ড চাল উৎপাদন হলেও কৃষক ও ভোক্তা এর সুফল পাচ্ছেন না। কারণ, ধান যখন কৃষকের হাতে থাকে, তখন দাম কম থাকে। ব্যবসায়ীদের হাতে যাওয়ার পর চালের দাম বাড়িয়ে তোলা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট চালের প্রায় ৫৫ শতাংশ বোরো মৌসুমে উৎপাদন হয়। ফলন ভালো হলে সরবরাহ বাড়ে, আর বাজারে দাম কমে। এ বছর বোরোতে রেকর্ড ২ কোটি ১৪ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে।

কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বোরো উৎপাদন ১৫ লাখ টন বেশি হয়েছে। তবু বাজারে চালের দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরু বা মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা দরে। এ ছাড়া মাঝারি (বিআর-২৮) মানের চালের কেজি ৫৮ থেকে ৬৩ টাকা, মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহে সরু ও মোটা চালের কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত দর বেড়েছে। এ ছাড়া মাঝারি (বিআর-২৮) মানের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৭ শতাংশ পালটা শুল্ক প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাতে ওয়াশিংটনে ইউএসটিআর-এ (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়)-এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) ব্রেন্ডান লিঞ্চ।

বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো প্রকার সমঝোতা না হওয়ায় তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা উদ্বেগে দিন পার করছেন। তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইত্তেফাককে বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক।

প্রসংগত, চলতি বছরের ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কথা বলে বেশ কয়েকটি দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন। এর আওতায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়, ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫৩ শতাংশে। কোনো প্রকার সিদ্ধান্তে না এলে ৯ জুলাই এ শুল্কহার কার্যকর হবে। আগামী ৮ জুলাই চূড়ান্ত সময়সীমার মাত্র একদিন আগে আবারও আলোচনায় বসবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।

বণিক বার্তা

‘ঝুঁকিতে পড়তে পারে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মসংস্থানের সন্ধানে প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ দেশ ছাড়েন। তবে বিদেশে জনশক্তি রফতানির সম্ভাবনাময় এ খাত ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে আসছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ, কর্মক্ষেত্রে অপরাধে জড়ানো, আইন না মানা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানব পাচারসহ নানা কারণে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করেছে অনেক দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া সিন্ডিকেট বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশী কর্মী নেয়া বন্ধ করেছে প্রায় এক বছর। ভিসা থাকলেও নির্ধারত সময়ের পর দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বাংলাদেশীদের। দেশটির সরকার নতুন করে এসব কর্মীকে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও নতুন সংকট তৈরি করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩৬ বাংলাদেশীকে আটকের ঘটনা।

এ অভিযোগ শুধু নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগই নয়, বরং বাংলাদেশী শ্রমিকদের প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা। ফলে মালয়েশিয়ায় পুনরায় শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের প্রবেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল বলেন, ‘জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশী দলটি সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সেলগুলোকে অর্থ পাঠাত।’ তিনি জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ওই ৩৬ বাংলাদেশীকে আটক করা হয়। তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে খালিদ ইসমাইল বলছেন, ‘বাংলাদেশীদের ওই চক্রটি অন্য বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে থেকে সদস্য বাড়াচ্ছিলেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে “‍উগ্রবাদী মতাদর্শ” ছড়াচ্ছিলেন। পুলিশের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়া স্টার লিখেছে, ‘গেরাকান মিলিটান র‍্যাডিকাল বাংলাদেশ’ বা ‘জিএমআরবি’ নামে পরিচিত এ চক্র হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো অ্যাপে সদস্য সংগ্রহ এবং উগ্র মতবাদের প্রচার করে আসছিল।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জনের’ উদ্যোগ। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের শিক্ষাক্রম ‘পরিমার্জন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ‘পরিমার্জিত’ শিক্ষাক্রম তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই করা হচ্ছে। এ কাজে যুক্ত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তালিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্র বলেছে, ২০২৭ সালে পরিমার্জিত এ শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে। এ জন্য নানা কিছু যাচাইয়ের কাজ (অ্যাসেসমেন্ট) শুরু হয়েছে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ধাপে ধাপে তা অন্য শ্রেণিতেও চালু করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ইতিমধ্যে ‘নতুন স্বপ্ন ও পরিকল্পনার’ ভিত্তিতে সংশোধিত শিক্ষাক্রম তৈরির নীতিগত আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তি দায়, দরদ, ইনসাফ’ ইত্যাদি বিবেচনায় থাকবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়ে উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এ জন্য ‘বর্তমানের যে শিক্ষাক্রম তার থেকে মুক্তচিন্তা করতে হবে। সেটা যেন করা সম্ভব হয়, তার জন্য নিজেদের ও অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা এবং জাতীয় ঐকমত্যের বোধ হয় একটা প্রয়োজন রয়েছে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘জিরো টলারেন্সে বিএনপি’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজধানীর মহাখালীর একটি মদের বারে গত মঙ্গলবার রাতে যুবদল নেতা মনির হোসেন ভিআইপি রুম না পাওয়ায় কর্মীদের নিয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় নারীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে এলে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য মনিরকে সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি এবং প্রাথমিক সদস্যপদও প্রত্যাহার করে নেয় যুবদল। নেতা-কর্মীদের তার সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক ছিন্ন এবং মনিরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

শুধু মনির হোসেন কিংবা যুবদল নয়-মূল দল বিএনপি থেকে শুরু করে প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন শৃঙ্খলা রক্ষায় দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কারণ হিসেবে দলটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশে বিএনপির কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়। ফলে দেশে-বিদেশে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণ্ন হতে থাকে। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তাই শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ইমেজ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে বিএনপি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জিরো টলারেন্স। অপরাধ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সারা দেশে বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ৪-৫ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দেশের বৃহত্তম এই রাজনৈতিক দলটি। অপরাধে জড়ালে কোনো ছাড় নয়, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির শীর্ষনেতা। জানা যায়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের পর বিএনপি পুরোপুরি নির্বাচনি আমেজে রয়েছে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

নবীজীর সাহাবীদের নিয়ে কটূক্তি/ মৌলভীবাজারে নারী আইনজীবী আটক

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status