অনলাইন
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে আইনের সংশোধনীতে উদ্বেগ জাতিসংঘের
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সুযোগ সম্বলিত আইনের সংশোধনীতে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের ৫৯তম মানবাধিকার পরিষদে উত্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়। হাইকমিশনারের অফিস প্রচারিত বিবৃতিতে ভলকার তুর্কের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। সেখানে ইরান–ইসরায়েল সংঘাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ঘটনা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, আমি অনুপ্রাণিত বোধ করছি যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জনের পথে রয়েছে। সংস্কার, অবাধ নির্বাচন বিশেষ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি পরিবেশ তৈরির লক্ষ্য তারা অর্থবহ সংলাপের মধ্যে রয়েছে। এ পথেই তাদের এগিয়ে যাওয়ারার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। অবশ্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন আনা এবং এ–সংক্রন্ত সব কর্মকাণ্ড নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এটা অন্যায্যভাবে সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমবেত হওয়ার স্বাধীনতাকে সীমিত করবে। সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার (সংগঠন) যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অধ্যাদেশের আলোকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি ও বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধের অভিঘাত স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সুনামির গতিতে আঘাত করবে। এর ফলে ক্যারিবিয়ান দেশগুলো এবং উন্নয়নশীল ছোট দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশের বড় রপ্তানি খাত রয়েছে, সেসব দেশের ওপর এর প্রভাব হতে পারে বিপর্যয়কর।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপের বিষয়ে ভল্গার তুর্ক চুপ কেন?
জার্মানিতে নাৎসি দলকে আবার রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাতে পারে জাতিসংঘ ।
গত ১৬ বছর জাতিসংঘের উদ্বেগ কোথায় ছিল যখন গোটা জাতির উপর একটা ডাকাত দল চেপে বসে ছিল? আর কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হচ্ছে না। সন্ত্রাসী, লুটেরা, চোর, ভোট চোর ও খুনিদেরকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। অতএব এখানে উদ্বেগের কিছু নেই।
বাংলাদেশের দল নিষিদ্ধের চেয়ে দ্বৈত নাগরীকত্ব বাতিল করা অত্যন্ত জরুরী বিষয়, দ্বৈত নাগরীকত্ব থাকাতে রাজনীতিক সহ সব শ্রেনীর দোষী ব্যক্তিরা আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে দেশে অপরাধ করে টাকা পয়সা পাচার করে বিদেশের মাটিতে বসে বিলাসী জীবন যাপন করছে আর বিদেশ থেকে বসে বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দ্বৈত নাগরীকত্ব বাতিল না হলে এসকল সমস্যা হবেনা।
বিএনপি রাজাকার ভাই ভাই এ দেশে আওয়ামী লীগের স্থান নাই।
আওয়ামী সব ধংস হোক, দেশ প্রেমিক রাজাকাররা মুক্ত থাকুক।