পেশিশক্তির রাজনীতি চলবে না: আবু হানিফ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে পেশিশক্তির রাজনীতি চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। সোমবার রাতে শাহজাদপুরে মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মিছিলটি শাহজাদপুর কনফিডেন্স শপিংমলের সামনে থেকে শুরু হয়ে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
'পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা ‌ও দলের সভাপতি নুরুল হক নুর হত্যার উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে' এভ  মশাল মিছিলের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ ভাটারা থানা।
আবু হানিফ বলেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে মানুষ যখন কথা বলতে পারতো না, প্রতিবাদ করতে পারতো না। তখন হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি আমরা। এখন যদি কেউ মনে করে আমাদের দমাবে, তাহলে তাদের ভাবনা ভুল। 
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই দেশে দখলদারি চলবে ও চাঁদাবাজি চলবে না। নতুন বাংলাদেশে কোন পেশিশক্তির রাজনীতি চলবে না। 
তিনি বলেন, এখন রাজনীতি হবে যোগ্যতা এবং মেধার। এখন রাজনীতিতে নেতৃত্বে দেবে ভালো মানুষ। চাঁদাবাজ, দখলদার, দুর্নীতিবাজদের এই রাজনীতিতে ঠাঁই হবে না। কেউ যদি পেশিশক্তির রাজনীতি করতে চায় তাহলে তাদের পরিণতিও আওয়ামী লীগের মতো হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু হাসিনার পতন ঘটায় নাই, দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছে আমাদেরকে।
হানিফ বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে , রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হয় নাই। এখন সবকিছু সংস্কার করে দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে হবে।  দেশকে সংস্কার করতে হবে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দেশকে পুরোনো বন্দোবস্তোর দিকে নিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, শুধু একটা নির্বাচনের জন্যই কিন্তু গণঅভ্যুত্থান হয় নাই। আমাদের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য এই গণঅভ্যুত্থান। আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে। 
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম, সেই হিসেবে তারা আমাদের মিত্র। পটুয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং দশমিনা গলাচিপা উপজেলায় গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বুঝতে হবে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে ইন্ধন রয়েছে। বিএনপির এমন আচরণ জনগণ বিএনপি সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শুরু করবে।
গণঅধিকার পরিষদ ভাটারা থানার সভাপতি রাসেল আহমেদের সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদেরসহ সভাপতি আরিফুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, বাড্ডা থানার সাধারণ বিল্লাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ, রামপুরা সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর অপূর্ব প্রমুখ।