অনলাইন
সহযোগীদের খবর
ট্রাইব্যুনালে নাশকতার শঙ্কা
অনলাইন ডেস্ক
(৩ ঘন্টা আগে) ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

দেশ রূপান্তর
‘ট্রাইব্যুনালে নাশকতার শঙ্কা’-এটি দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। খবরে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীদের বৈচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একে ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নাশকতার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানা গেছে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর শিশু একাডেমিসংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের কাছে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে ডিএমপি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঝটিকা মিছিল ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গভীর রাতে ও ভোরবেলায় ব্যানার নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নাশকতার ছক তৈরি করছে আওয়ামী লীগ এ অভিযোগও রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ঝটিকা মিছিলে যারা যোগ দিয়েছে বা নাশকতা সৃষ্টি করছে তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে। হাইকোর্টকেন্দ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার কার্যক্রম শুরু হলে হাইকোর্ট এলাকায় ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে দলটির নেতাকর্মীরা। তারপরও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ট্রাইব্যুনালসংলগ্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ বা নগরীতে ঝটিকা মিছিল করে যারাই নাশকতা করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মাদ তালেবুর রহমান। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর দেশ রূপান্তরকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যারাই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে, নাশকতা করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
ককটেল বিস্ফোরণ: গতকাল সকাল ৭টায় রাজধানীর শিশু একাডেমিসংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সোমবার ভোরে এ বিস্ফোরণ হয়েছে। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে, অবিস্ফোরিত অবস্থায় আরেকটি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ক আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।’
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার শুনানি হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও এ মামলার আসামি। শুনানি ছিল দুপুরে। আর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সকালে। গত ১ জুন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও মামুনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ছিল। সেদিনও একই জায়গায় (শিশু একাডেমিসংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে) ‘ককটেলসদৃশ পটকা’ বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছিল শাহবাগ থানা-পুলিশ। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর বলেন, ‘আগের বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার এবং ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নোট দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বলা হয়েছে, এ বিচার প্রক্রিয়া দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়; বিচারক, সাক্ষী ও বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার জন্য পরিস্থিতি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ট্রাইব্যুনালের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা, পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করা, সাক্ষী ও বিচারকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, আসামিদের আনা-নেওয়ার পথগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা প্রটোকল তৈরি করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
বৈচারিক এলাকায় ডিএমপির সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা: গত ১২ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হাইকোর্টের আশপাশের সব স্থানে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এর গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। গত ১৪ জুন বিজ্ঞপ্তি কার্যকরের নির্দেশনা ছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
ঢাবিতে ছাত্রলীগের মিছিল ও ককটেল উদ্ধার: রাজধানীর শাহবাগ ও কাঁটাবন মোড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মিছিল শেষে তারা শাহবাগ সড়কসংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেটের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঢাবির কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণ থেকে অবিস্ফোরিত ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী বিলায়েত শেখ বলেন, “ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ ‘জয় বাংলা’ এবং ‘শেখ হাসিনা’ সেøাগানে ঘুম ভেঙে যায়। আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে মিছিলটি শাহবাগ থেকে এসে বঙ্গবন্ধু হলের পকেট গেটে পৌঁছায়। পরে তারা বিভিন্ন গলিতে সরে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আমাদের হলের পকেট গেটের সামনে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।”
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর বলেন, ‘আমরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একটি মিছিল কাঁটাবন মোড় এলাকায় হতে দেখি। ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’
গতকাল সকালে কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে নিরাপত্তারক্ষীরা ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও শাহবাগ থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সকাল ৯টার পর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল ককটেলগুলো উদ্ধার করে।
ঢাবির সহকারী প্রক্টর (আইন অনুষদ) ড. এনামুল হক সজীব ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা সেখানে দুটি ওয়ানটাইম বক্সে ছয়টি ককটেল দেখতে পাই। একটিতে চারটি ও অন্য আরেকটি বক্সে দুটি ককটেল ছিল। পরে শাহবাগ থানায় জানালে তাদের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেগুলো উদ্ধার করে। কারা রেখে গেছে তা জানতে পারিনি। আজ এখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মোহাম্মদপুর ও মানিকগঞ্জে ঝটিকা মিছিল: গতকাল সকাল ৭টায় মোহাম্মদপুর কলেজ গেটের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন। তারা ‘শেখ হাসিনার বিচার মানি না মানব না’ ব্যানারে মুখে মাস্ক পরে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। গত রবিবার সকালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি রাইজিং ফ্যাক্টরির সামনে ঝটিকা মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে ওই এলাকার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক পেজে মিছিলের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দৌলতপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।’
প্রথম আলো
ইরান–ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘দুই পক্ষই অনড়, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে’। খবরে বলা হয়, পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যেতে অনড় ইসরায়েল ও ইরান। আন্তর্জাতিক মহলের সংযত থাকার আহ্বান আমলে নিচ্ছে না তারা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিরতিহীন হামলায় ইরানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ইরানের পাল্টা জবাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে ইসরায়েলও। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের আরও কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা।
গতকাল সোমবার ছিল ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের চতুর্থ দিন। এদিন ইরানের কেরমানশাহ শহরের একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে ইরানের কুদস ফোর্স ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কার্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায়। গতকাল রাতে ইরান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে রোববার রাতভর ব্যাপক সংঘাতে জড়ায় ইরান–ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ কাজেমিসহ দুই কর্মকর্তা নিহত হন।
চলমান সংঘাতে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ওই হামলা শুরুর পর থেকে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের ২০ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোকজন। আহতের সংখ্যা সহস্রাধিক। আর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হিসাবে চার দিনে ইরানের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন ইসরায়েলি।
যুগান্তর
‘জটিল সমীকরণে ভোট’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে ভোটের রাজনীতি। দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর এখন দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব-নিকাশও নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো।
বড় দল বিএনপি ভোটের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। তবে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে একসঙ্গে থাকা মিত্র দলগুলোকে নিয়ে সামনেও চলতে চায় দলটি। সেক্ষেত্রে মিত্রদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট বা সমঝোতা করার সম্ভাবনা বেশি বিএনপির। আবার জামায়াতও ইসলামপন্থি দলগুলো নিয়ে ‘নির্বাচনি ঐক্য’ গঠনের চেষ্টা করছে। তবে মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনসহ ৫টি ইসলামি দল অনেকটা সমঝোতার পথে। আবার এবি পার্টির সঙ্গে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের হতে পারে ‘অ্যালায়েন্স’। মতাদর্শিক দূরত্বের কারণে জামায়াতের সঙ্গে বড় ইসলামি দলগুলোর ঐক্য না হলে এনসিপিসহ ইসলামপন্থি কয়েকটি দলের সঙ্গে হতে পারে ‘সমঝোতা’।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘পাঁচ মাসে ১৫৮৭ হত্যা মামলা’। খবরে বলা হয়, দেশে খুনাখুনি বেড়েই চলেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের গত পাঁচ মাসের অপরাধসংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেশের বিভিন্ন থানায় এক হাজার ৫৮৭টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে হত্যা মামলা হয়েছিল এক হাজার ২৬৫টি। এই হিসাবে গত বছরের চেয়ে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩২২টি বেশি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
শতকরা হিসাবে তা বেড়েছে ২০ ভাগ। তথ্য বিশ্লেষণ করে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের হিসাব ধরে দেখা গেছে, দিনে গড়ে ১০ জন খুন হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে হত্যা মামলা হয় ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি, এপ্রিলে বেড়ে হয় ৩৩৬টি এবং মে মাসে তা আরো বেড়ে হয় ৩৪১টি। এই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে দেশে ৩১৭ জনকে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে দেশে গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে হত্যা মামলা হয়েছিল এক হাজার ২৬৫টি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে হয় ২৩১টি, ফেব্রুয়ারিতে ২৪০টি, মার্চে ২৩৯টি, এপ্রিলে ২৯৬টি এবং মে মাসে ২৫৯টি। এ হিসাবে গত বছরের একই সময়ে গড়ে মাসে হত্যার শিকার হয় ২৫১ জন করে। পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসের মামলায় আগের ২৫৫টি মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সমকাল
‘এ পর্যন্ত ১১৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১১ পুরুষ ও সাতজন নারী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অধীনে তাদের ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সর্বশেষ ঈদুল আজহার পরদিন ৮ জুন একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি ফেরত এসেছেন। গতকাল পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। তাদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি। ফেরত পাঠানোর আগের বিভিন্ন স্তরের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়াও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা জানান, সর্বশেষ ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়। ওই ফ্লাইটে নেপালের একই ধরনের কিছু যাত্রী ছিলেন। বাংলাদেশি ৪২ জনের মধ্যে ১৬ জনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত করার মতো কাগজপত্র ছিল না। ফলে তাদের গ্রহণ করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে পরিচয় নিশ্চিতে কাজ করেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। পরে তাদের গ্রহণ করে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খরব ‘ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ডেঙ্গু বেড়েছে তার আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ হারে। চলতি জুন মাসের প্রথম ১৬ দিন যত রোগী মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তা আগের মাসের আক্রান্তের চেয়ে বেশি। ঘন ঘন বৃষ্টি এবং বাতাসের আর্দ্রতার আধিক্য ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে। এবার লক্ষণীয় দিকটি হলো, রাজধানীর চেয়ে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গু বিস্তারের পরিমাণ অনেক বেশি। রাজধানীতে মশা নিধনে কিছুটা হলেও একটা ব্যবস্থা আছে; কিন্তু ঢাকার বাইরে তা-ও নেই। সার্বিকভাবে মশা নিধনে দুর্বল কার্যক্রমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলেন, ডেঙ্গু বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। অনেকের পরীক্ষায় নেগেটিভ আসছে, কিন্তু সে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এমন রোগীও পাওয়া যাচ্ছে। এটা আতঙ্কের বিষয়। দিন দিন ডেঙ্গুর আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসময় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সারা দেশে থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অর্ধশতাধিক, ঢাকা বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ৬ হাজার ২২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।
বণিক বার্তা
‘বর্ধিত ব্যাংক আমানতের ৮৭ শতাংশই ঋণ হিসেবে নিয়েছে সরকার’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশের ব্যাংকগুলোয় ২০২২ সালের জুন শেষে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে তা বেড়ে ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
সে হিসাবে এ সময়ের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, আড়াই বছরে বর্ধিত এ আমানতের ৮৭ শতাংশই ঋণ হিসেবে নিয়েছে সরকার। তবে সে অর্থ উৎপাদনশীল ও জনকল্যাণমূলক খাতে তেমন অবদান রাখতে পারেনি, বরং সরকারের ঋণের বোঝা আরো বাড়িয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সরকারের ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ত্রৈমাসিক ডেট বুলেটিন প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এতে দেখা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ১৭১ কোটি টাকায়। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে ১১ লাখ ৭ হাজার ৫১৩ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার।
আর স্থানীয় ঋণের মধ্যে ব্যাংক থেকেই নিয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক থেকে নেয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আড়াই বছরের ব্যবধানে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৪ কোটি টাকা বেড়েছে।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ভোটের তফসিলের আগে ডিসি পদায়ন’। খবরে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে মাঠ প্রশাসন ঠিক করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই ধারণা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, এমন ভাবনার কারণেই ২১ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) তিন মাস আগে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেও তাঁদের ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়নি। মাঠ প্রশাসনে রদবদলের কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না।
ডিসি পদায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একক কর্তৃত্ব বর্তমানে নেই। অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জনপ্রশাসন-বিষয়ক কমিটির মতামত ছাড়া মন্ত্রণালয় ডিসি পদে রদবদল করতে পারবে না। এই কমিটি পদোন্নতি পাওয়ার পরও ডিসিদের আগের পদে সর্বোচ্চ কত দিন বহাল রাখা হয়েছিল, সেই তথ্যও মন্ত্রণালয় থেকে নিয়েছে। মন্ত্রণালয় ডিসি রদবদলে তাকিয়ে আছে কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনেক বিষয় ঝুলে থাকলেও উপদেষ্টাদের ব্যস্ততার কারণে জনপ্রশাসন কমিটির সভা ঠিকমতো হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়কে আমলে নিয়ে ডিসি-ইউএনও পদে ব্যাপক রদবদল করা হবে। কারণ, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনসংশ্লিষ্ট মাঠ প্রশাসনের সব পদায়ন-বদলির একক এখতিয়ার থাকবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশে নির্বাচনি তৎপরতা জোরেশোরে শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল তা কেটে গেছে। বৈঠকে নির্বাচনি বার্তা পাওয়ার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ আসন গোছাতে মনোনিবেশ করেছেন। তারা বলছেন, পুরো দেশ রাতারাতি নির্বাচনি ট্রেনে উঠে পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম লেখাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্রকামী নির্বাচনমুখী সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা অভূতপূর্ব এই নির্বাচনি উৎসবে যোগ দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। এ ছাড়া আসন ভাগাভাগিসহ পর্দার আড়ালে নির্বাচনি নানা হিসাবনিকাশ ও সমঝোতার আলাপ সেরে নিতে অনেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাজই হচ্ছে নির্বাচনি প্রস্তুতি। নির্বাচনি প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রার্থী বাছাই শুরু হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, এরপরে আমরা মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাব। দলটির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, বৈঠকের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়াশা দূর হয়েছে। দেশবাসী এখন নির্বাচনি আমেজে রয়েছে।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লন্ডন বৈঠকের পর ‘রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে’- এমন বক্তব্যে প্রার্থীরা এলাকায় যোগাযোগ আরও বাড়িয়েছেন। বিএনপির মিত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা নড়াইল-২ আসনে ইতোমধ্যে হাটবাজার থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক করে চলছি। তবে লন্ডনে বৈঠকের পর থেকে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু তার আসনই নয়, গোটা দেশে এখন নির্বাচনি আমেজ তৈরি হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই হচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। বলতে পারেন নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে।’