শেষের পাতা
শপথ কেবল একটা ফরমালিটি
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০২৫, শনিবার
শপথ কেবল একটা ফরমালিটি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। শুক্রবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে ‘শপথের’ আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকলেও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপি’র এই নেতা।
পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেন, শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবো। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোন ভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেবো।
কোরবানির ঈদের দিন ঢাকা দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করবেন বলেও ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ঈদের দিন বিকালের মধ্যে ‘স্বস্তিদায়ক’ পরিবেশ তৈরির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো। দক্ষিণ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে আমি নিজেও থাকবো।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে গত ২৭শে মার্চ ধানের শীষের প্রার্থী ও প্রয়াত বিএনপি নেতা অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। পরে ২৭শে এপ্রিল আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি’র নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওদিন রাতেই এ সংক্রান্ত গেজেট সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে সরকারের জারি করা গেজেটও বাতিল করা হয়েছে। পরে ২০২০ সালের ৩রা মার্চ নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলেন ইশরাক। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এবং ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট ৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছিল।
ওদিকে ইশরাককে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ই মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়ে নগর ভবন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ওই রিট মামলা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন।
পাঠকের মতামত
আপনার নিজ মানবিক উদ্যোগের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কত দেখলাম গত তিপ্পান্ন বছরে। ক্ষমতা পেলে পীরের চেহারাও কালো হয়ে যায়।