ঢাকা, ১২ মে ২০২৫, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

বহির্বিশ্বে সীমিত হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য

অনলাইন ডেস্ক

(১৯ ঘন্টা আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

বণিক বার্তা

‘বহির্বিশ্বে সীমিত হয়ে আসছে বাংলাদেশীদের গন্তব্য’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছর বাংলাদেশী পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছিল ভিয়েতনাম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশীদের কেউ কেউ প্রতিবেশী কম্বোডিয়া বা লাওসেও যেতেন। তবে ভিয়েতনামে পর্যটক হিসেবে ঘুরতে যাওয়া বাংলাদেশীদের অনেকে আর দেশে ফেরেননি। কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে তাদের অনেকেই অবৈধ পথে ভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন; আবার কেউ সেখানেই ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছোটখাটো কাজে যুক্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে ভিয়েতনাম।

যদিও কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশীদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। এক্ষেত্রে অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ইমিগ্রেশন অ্যাপ্রুভাল নিয়েই দেশ দুটি ভ্রমণ করা যেত। বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও। এ তিন দেশের অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। যারা বেশ কয়েকবার এসব দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের ভিসা আবেদনও অনুমোদন হচ্ছে না। বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যুর জন্য নতুন অনেক শর্তও জুড়ে দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও অভিবাসী শ্রমিকের পাশাপাশি পর্যটন ভিসাও বন্ধ করে দেয় দেশটি। সম্প্রতি বাংলাদেশীদের জন্য সীমিত পরিসরে ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে আমিরাত। তবে এক্ষেত্রে দিনে ভিসা দেয়া হচ্ছে মাত্র ৩০ থেকে ৫০টি।

মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সবচেয়ে বড় গন্তব্য ছিল ভারত। প্রতিবেশী দেশ ভারত ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী স্থলপথে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণেও যেতেন। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট এ দুটি দেশে ভ্রমণ করতে বাংলাদেশীদের ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের পক্ষ থেকে ভিসা ইস্যু প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজনে বৈধ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাত্রা বন্ধ রয়েছে। ভারতের ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশীদের নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও সীমিত হয়ে গেছে।

গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে পাকিস্তান। ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছিল। বাংলাদেশী পর্যটকদের অনেকে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহীও হয়েছিলেন। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যুদ্ধ ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশীদের সে আগ্রহেও ভাটা পড়ছে।

অভিবাসন ও পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা না বেড়ে উল্টো কমছে। আন্তর্জাতিক সূচকে (হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স) বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান এখন উত্তর কোরিয়া কিংবা লিবিয়ার পর্যায়ে। এ কারণে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসার শর্ত ও জটিলতা বাড়ছে। গত কয়েক বছর পর্যটক হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরতে গিয়ে অনেক বাংলাদেশী আর ফেরেননি। অবৈধভাবে তারা গন্তব্যের দেশে থেকে গেছেন কিংবা চোরাই পথে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছেন। এসব কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোয় বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ হচ্ছে কিংবা জটিলতা বাড়ছে।

দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ না বাড়লে বাংলাদেশীদের অবৈধ বিদেশ যাত্রা থামবে না বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তরুণরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত থাকে। দেশে কর্মসংস্থান না হলে তারা যেকোনো উপায়ে বিদেশ পাড়ি দিতে চাইবে, এটিই স্বাভাবিক। পর্যটক হিসেবে গিয়ে কাজ করা কিংবা অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রার কারণেই বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু নিয়ে জটিলতা ও নিষেধাজ্ঞা বাড়ছে। আর বিদেশে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে।’

এম হুমায়ুন কবির আরো বলেন, ‘প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে, দেশে তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন। আমরা ধরেই নিচ্ছি কিছু মানুষ বিদেশ চলে যাবে। সেক্ষেত্রে সরকারের এটি দেখা দরকার যে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শিক্ষিত ও দক্ষ হয়। আর ভুয়া ভিসা কিংবা ভুয়া তথ্য দিয়ে কেউ যেন বিদেশ যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রতি বছর বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট ও ২২৭টি ভ্রমণ গন্তব্য নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত সর্বশেষ সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৫তম। বাংলাদেশের ওপরে ৯৪তম স্থানে আছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা উত্তর কোরিয়া। আর বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একই অবস্থানে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার নাম।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের বিশ্লেষণে বৈশ্বিক পাসপোর্ট শক্তিমত্তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম। ভিসামুক্ত ভ্রমণ, কর ব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা—এ পাঁচ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা নোমাডের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮ বলে জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি। এ সূচকে কোনো দেশের স্কোর ৫০-এর নিচে থাকলে সে দেশের নাগরিক বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণ করলে সেখানকার মানুষ তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করে না।

অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি শেয়ার ট্রিপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা একেএম মাহফুজুল আলম পলাশ বণিক বার্তাকে জানান, বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা আগে পর্যটক হিসেবে ভারত, নেপাল কিংবা ভুটান যেতেন। পাসপোর্টে এক-দুটি দেশের সিল পড়ার পর তারা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতেন। কিন্তু ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় এখন এ পর্যটকরা সরাসরি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করছেন। আবেদনকারীদের চাপ বেশি হওয়ায় থাইল্যান্ড পর্যাপ্ত ভিসা দিতে পারছে না। এ কারণে তারা যাচাই-বাছাই করে কিছু ভিসা ইস্যু করছে। আর নতুন পাসপোর্ট হলে সিঙ্গাপুরের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।’

মাহফুজুল আলম আরো জানান, গত কয়েক বছরে ভিয়েতনামে যাওয়া বাংলাদেশীদের ৬০-৭০ শতাংশ দেশে ফেরেননি বলে অভিযোগ আছে। তাদের বেশির ভাগ ভিয়েতনাম থেকে অবৈধ পথে অন্য কোনো দেশে চলে গেছেন। এ কারণে ভিয়েতনামের মতো দেশও বাংলাদেশীদের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এখন বাংলাদেশীদের জন্য চীনের ভিসা খুবই সহজ। আর অনঅ্যারাইভাল হওয়ার কারণে খুব সহজে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা যাওয়া যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশীদের গন্তব্য সীমিত হয়ে আসার বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট একজন জানিয়েছেন, ভিন্ন প্রেক্ষাপট ও সমস্যার কারণে কিছু দেশ বাংলাদেশীদের ভিসা দিচ্ছে না কিংবা ভিসা প্রক্রিয়া জটিল করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’। খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে; যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন।

গতকাল শনিবার রাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই বিশেষ সভা হয়। পরে যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্ত জানান আইনবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। লিখিত বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন।

যুগান্তর

‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ: লুঙ্গি গেঞ্জি মাস্ক পরে যান বিমানবন্দরে’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জনরোষ এড়িয়ে নির্বিঘ্নে দেশত্যাগ করতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে যান অনেকটা ছদ্মবেশে। বুধবার মধ্যরাতে তিনি লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মুখে মাস্ক পরে শাহজালালের ভিআইপি টার্মিনালে হাজির হন। এরপর কঠোর গোপনীয়তায় তাকে বিমানবন্দরের ভেতরে ঢোকানো হয়। এক পর্যায়ে সব ধরনের নিরাপত্তা তল্লাশি এড়িয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাকে নির্বিঘ্নে বিমানে তুলে দেন। এ সময় ইমিগ্রেশনে তিনি কূটনৈতিক সুবিধার বিশেষ লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।

সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১টায় আবদুল হামিদের ব্যক্তিগত গাড়িটি বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছায়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তার গাড়ি আটকে দেন। তারা আরোহীদের পরিচয় জানতে চান। গাড়িচালক জানালার কাচ নামিয়ে বলেন, গাড়িতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পরিবারবর্গ রয়েছেন। এ কথা শোনার পর গাড়িটিকে সেখানেই অপেক্ষা করতে বলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি বাইরে অপেক্ষমাণ রেখে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্সের খোঁজ চলাকালে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হন্তদন্ত হয়ে গাড়ির সামনে এসে হাজির হন। সাবেক রাষ্ট্রপতির বহির্গমন অনুমোদন রয়েছে বলে জানান তিনি। এক পর্যায়ে আবদুল হামিদসহ তার সফরসঙ্গীদের বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার হয়। এ সময় আবদুল হামিদ গাড়িতে বসেই পোশাক বদল করেন। পরনে থাকা লুঙ্গি গেঞ্জি পরিবর্তন করে প্যান্ট ও শার্ট পরে নেন।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, মধ্যস্থতায় ট্রাম্প’। খবরে বলা হয়, পাক-ভারতের সৃষ্ট উত্তেজনা বেশ খানিকটা থিতিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। শুভবুদ্ধির ব্যবহার করে দুই পক্ষ এ সিদ্ধান্তে আসায় তাদের অভিনন্দন।’

যুদ্ধবিরতি চালুর পর গতকাল রাতেই ভারত ও পাকিস্তান একে অন্যের বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘ঘোষণা অনুসারে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাস্তবায়নে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিছু ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তি লঙ্ঘন সত্ত্বেও আমাদের বাহিনী দায়িত্বশীলতা ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।’

অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দিল্লিতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতির সমঝোতা হয়েছে, তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান বারে বারে লঙ্ঘন করেছে।

সমকাল

‘অর্থনীতির উল্টো পথে পুঁজিবাজার’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন ধরে সংকটে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সংকট উত্তরণের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। বাজারে ঘন ঘন দর পতন হচ্ছে। লেনদেনের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি দৃশ্যমান হলেও শেয়ারবাজার যেন উল্টো পথে হাঁটছে। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হচ্ছে না।

ক্রমাগত লোকসানের কারণে গত ৯ মাসে ৩০ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে কেনাবেচার অ্যাকাউন্ট (বিও) বন্ধ করে দিয়েছেন। ৫৭ হাজার বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। এই সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক এক হাজার পয়েন্টের বেশি কমেছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নেতৃত্ব নিয়ে বাজার-সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলছেন।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় আজ রোববার এ বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠকে আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারে প্রণোদনার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এবং বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ উপস্থিত থাকতে পারেন।  

নয়া দিগন্ত

‘লুকানো খেলাপি ঋণের বিস্ফোরণ’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, নামে বেনামে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়া সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

আবার এসব খেলাপি ঋণ নানা কৌশলে নিয়মিত ঋণ হিসেবে দেখানো হতো। ফলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য ঢাকা পড়ে যেত। এভাবে কয়েকটি ব্যাংকের মূলধনে ঘুন ধরে গিয়েছিল।

৩ থেকে ৫ শতাংশ খেলাপি ঋণ দেখানো ব্যাংকগুলো এখন গ্রাহকের টাকাই ফেরত দিতে পারছে না। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশে উঠেছে কোনো কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ।

বেশিরভাগ অর্থই মাফিয়ারা বের করে নেয়ায় অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে কিছু ব্যাংক। এদিকে আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি দেশের ২৮টি ব্যাংক। অথচ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে খেলাপি ঋণের বাস্তবচিত্র প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এমনি পরিস্থিতিতে বিশাল অঙ্কের মূলধন ঘাটতিতে সোসাইটি’র সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘পোশাকের পর অস্ত্র প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত এডিরা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের (এডি) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্ধারিত পোশাকে অভিযানে যাচ্ছেন। তাঁরা অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের জন্যও মনোনীত হয়েছেন। অধিদপ্তরের বিধিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য এমন সুযোগ না থাকায় এ নিয়ে প্রশ্ন ও আপত্তি তুলেছেন অন্য কর্মকর্তারা।

সূত্র বলেছে, পরিদর্শকদের পাশ কাটিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এডির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ায় অধিদপ্তরে অসন্তোষ রয়েছে। বর্তমানে ১৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এডির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন।

আপত্তি তোলা কর্মকর্তারা বলছেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকেরা (ডিজি) এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যত অন্ধকারে রেখেছেন। প্রশাসনিক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এডির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পাওয়ার পর দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে কেউ কখনো কিছু বলেনি। যদি সত্যিই এমন হয়ে থাকে, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়া তাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন, তাহলে সেটা ঠিক হয়নি। আমাকে না জানালে আমার পক্ষে সবকিছু জানা সম্ভব নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করব।’

দেশ রূপান্তর

‘গাজীপুরে বাড়তি ১২০০ পুলিশ’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ও সেখানকার হাইওয়ে পুলিশ অতিরিক্ত ১২০০ সদস্য মোতায়েন করেছে ঢাকার প্রবেশমুখে। এ দুই ইউনিটের কাজের চাপের কথা বিবেচনা করে অতিরিক্ত সদস্য দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর জিএমপিতে ৫০০ ও হাইওয়ে পুলিশে ৭০০ সদস্য। রেঞ্জ, ইউনিট ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গাজীপুর আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। তাই এখানে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার ঘটনাকে মাথায় রেখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া কোরবানির সময় এ অঞ্চলের রাস্তাঘাটে পশুর হাটে ও ঈদকেন্দ্রিক যানবাহনের চলাচলে অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্যও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখা থেকে গত ২৩ এপ্রিল জিএমপি ও হাইওয়ে পুলিশে অতিরিক্ত ১২০০ পুলিশ মোতায়েনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশে ফোর্সের যে মজুরি তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তারপরও এ দুই ইউনিটের ওপর কাজের চাপ বিবেচনায় অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন প্রয়োজন। তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এসআই থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত ১২০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে গণহত্যাকারী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে যদি অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন অথবা কোনো আদালত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই।

তা ছাড়া জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ এবং পতিত শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে যেসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে-এর পরে আর কোনো প্রমাণেরও প্রয়োজন হয় না বলে উল্লেখ করা হয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছা করলেই আওয়ামী লীগ নামের দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে যে কোনো সময়, সেই এখতিয়ার সরকারের আছে বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

‘দ্য উইক’ ম্যাগাজিনে তারেক রহমানকে নিয়ে কাভার স্টোরি/ ‘নিয়তির সন্তান’

বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশ/ ডিএমপির দুঃখ প্রকাশ, এসআই ক্লোজড

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status