ঢাকা, ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া: আপিল বিভাগে তথ্য দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার

(৪ ঘন্টা আগে) ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ৬:৩৫ অপরাহ্ন

mzamin

আলোচিত আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ কখনো ডক্টরেট ডিগ্রি (পিএইচডি) সম্পন্ন করেননি এমনটাই লিখিতভাবে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। তাদের বক্তব্য, তুরিন আফরোজ নামে কারও পিএইচডি ডিগ্রির কোনো রেকর্ড তাদের কাছে নেই; এমনকি এই নামে কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও কোনো তথ্য মিলেনি। সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া। আজ আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় এই তথ্য দাখিল করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, তুরিন আফরোজের নামে পিএইচডি ডিগ্রির কোনো রেকর্ড নেই তাদের কাছে। এমনকি এই নামে কেউ কখনো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও কোনো তথ্য নেই। 

আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার সাংবাদিকদের জানান, আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই তথ্য সংবলিত চিঠি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চিঠি পাঠিয়ে তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রির নথি চাওয়া হয়েছিল। জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনো নথি তাদের কাছে নেই এবং তুরিন আফরোজ নামে কোনো শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেননি।

উল্লেখ্য, বিচারিক আদালতের মামলার আরজিতে তুরিন আফরোজ দাবি করেছেন, তুরিনের মা শামসুন্নাহার ১৯৯১ সালে ক্রয়সূত্রে উত্তরার সম্পত্তির মালিক হন। পরের বছর ১৯৯২ সালে শামসুন্নাহার তার স্বামী তসলিম উদ্দিনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত করেন। পরে ১৯৯৪ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর তসলিম উদ্দিন মেয়ে তুরিন আফরোজকে হেবা (দানপত্র) করেন। তবে শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাব দিয়ে বলেছেন, তসলিম উদ্দিন কখনো তার মেয়ে তুরিন আফরোজকে উত্তরার সম্পত্তি দান করেননি। বরং শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে উত্তরার সম্পত্তি ১৯৯৭ সালে হেবা করে দেন। পরে ওই জমি শাহনেওয়াজের নামে নামজারি করে ১৯৯৯ সালে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয় এবং রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা বাড়িতে তারা ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন।

পাঠকের মতামত

দেশটা সব টাউটের খপ্পরে ছিল ১৭ বছর, এরকম টাউটগুলো এখনো প্রশাসনের আরো বিভিন্ন পদে বসে আছে। দেশটা পুরো টাউট বাটপারদের কাছে বন্দি ছিল। একটা ব্যারিস্টারও টাউট! আরো কত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, মহামান্য আদালত।

সোহাগ
৪ মে ২০২৫, রবিবার, ৭:৪৫ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status