অনলাইন
বিচার বিভাগ স্বাধীন না হলে কোনো সেক্টরের সংস্কার কার্যক্রমই স্থায়িত্ব পাবে না: প্রধান বিচারপতি
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ ঘন্টা আগে) ৪ মে ২০২৫, রবিবার, ৮:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৩ অপরাহ্ন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি অপরিহার্য বিষয়। যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন না হয়, কোনো সেক্টরের সংস্কার কার্যক্রমই স্থায়িত্ব পাবে না। বিচার বিভাগে সংস্কারের ওপর ভিত্তি করে আরও বৃহত্তর সংস্কারের কাঠামো নির্মিত হতে পারে।
রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অডিটরিয়ামে এ কে খান ফাউন্ডেশন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘৭ম এ কে খান মেমোরিয়াল ল লেকচার-২০২৫’-এ ‘রিমেইনিং দ্য ফিউচার অব জাস্টিস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমবিকাশ বিচারপ্রক্রিয়ায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। যার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই প্রযুক্তিনির্ভর নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতার ওপর। প্রযুক্তিগত এই পরিবর্তনগুলোকে কেবল বাধা হিসেবে দেখলে চলবে না, সেগুলোকে উদ্ভাবনের অনুঘটক হিসেবেও বিবেচনা করা প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আধুনিক জীবনব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং বিচারব্যবস্থা এ পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়।ৃএখন অপরাধের প্রকৃতিতে এক মৌলিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। আগে যেখানে অপরাধ হতো বাস্তব জগতে, এখন তা ক্রমে স্থানান্তরিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের মতো ভার্চ্যুয়াল জগতে। তিনি বলেন, ডিজিটাল জগৎ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে অনেক সময়ই মৌলিক অধিকার, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের শঙ্কা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে এমন একটি পরিশীলিত ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা তৈরি করা, যা একদিকে ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা করবে, অন্যদিকে সাইবার অপরাধ, হয়রানি এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম জাফরুল্লাহ্ তালুকদার। সেমিনারে চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, আইনজ্ঞ, আইনজীবী, অন্যান্য পেশাজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।