ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে পৈতৃক সম্পত্তির ভোগ দখল থেকে বঞ্চিত রাখার অভিযোগ

বড় ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে পৈতৃক সম্পত্তির ভোগ দখল থেকে বঞ্চিত যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ রকিব হায়দার রুহেলসহ অন্য ভাইবোনেরা। এ ঘটনায় বিচার চাইতে গিয়ে বড় ভাই ও তার শ্যালকের রোষানলে পড়ে হয়রানি ও অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন সৈয়দ রুহেল। সোমবার সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মরহুম সৈয়দ ইলিয়াস আলীর পুত্র সৈয়দ রুহেল জানান, তারা ৫ ভাই ও  ১ বোন সবাই বৃটিশ নাগরিক। তাদের পৈতৃক সম্পত্তির অবস্থান দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের মোহাম্মাদ পুর ও নগরীর ৪৭ পায়রা দর্শন দেউড়ীতে। তার পিতা-মাতা জীবদ্দশায় সম্পত্তি ওয়াক্ফ রেজিস্ট্রি করে গেছেন। তার বড় ভাই সৈয়দ রফিজ হায়দার সুহেলকে পারিবারিক ওয়াক্ফ ‘র মুতাওয়াল্লী’ নিযুক্ত করেন। এই ওয়াক্ফ সম্পত্তির মধ্যে দর্শন দেউড়ীর চার তলা বাসার একতলার ভাড়া মসজিদে দান করার অসিয়ত করেন। বাসার বাকি ৩ তলার মধ্যে একটি ফ্ল্যাটে পরিবারের সবাই বসবাসের জন্য এবং বাকি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় চারটি ফ্ল্যাটের ভাড়া সবাই সমভাগে বণ্টন করে ভোগ করার অসিয়ত করেন। সৈয়দ রুহেল অভিযোগ করে বলেন, তার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর বড় ভাই সৈয়দ সুহেল, সৈয়দ রহিম হায়দার জুবেল তার অন্যান্য ভাইবোনদের ফ্ল্যাটে বসবাসের কোনো সুযোগ দিচ্ছেন না এবং ফ্ল্যাটের ভাড়া পাওয়া থেকেও বঞ্চিত করে রেখেছেন। বড় ভাই সৈয়দ রফিজ হায়দার আপন ভাইবোনদের বাদ দিয়ে তার শ্যালক হাসান কবির চৌধুরীকে বাসার কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন। এই সুযোগে হাসান কবির তাদের ওয়াক্ফকৃত সম্পত্তির বাসাটি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পত্রিকায় জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ১০ই মার্চ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত সৈয়দ রফিজ হায়দার সুহেল, সৈয়দ রহিম হায়দার জুবেল ও বড় ভাইয়ের শ্যালক বাসার কেয়ারটেকার হাসান কবির চৌধুরীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 
সেইসঙ্গে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।