বাংলারজমিন
শৈলকুপায় উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুট
শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ এলাকায় এসব প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান নয়। কোথাও কাজ শুরু হলে তা অত্যন্ত নিম্নমানের বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মির্জাপুর ইউনিয়নের চরগোলক নগর গ্রামের ব্রিজের পাশে কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে পরমন্দপুর অভিমুখে কাজের ৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও রাস্তায় ঢুকতে কোনো কাজ চোখে পড়েনি। স্থানীয় জানান, কয়েকদিন আগে কাবিটা প্রকল্পের কাজে ভেকু এনে দু’দিন মাটি কাটিয়ে মৌরি ভাঙা নামক স্থানে রাস্তা বাঁধা হয়। যা ঘণ্টায় ১৮শ’ টাকা ঠিক করে। দু’দিন কাজ করার পর সেই রাস্তা আবারো খারাপ হয়। আর বাকি জায়গাগুলোয় আর কোনো কাজ হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম রায়হান উদ্দিন বলেন, কাজ অফিস থেকে করাচ্ছে। অফিসে সে দেখার পরে লাগলে আবার কাজ করবে। অথচ ওই রাস্তায় অনেক জায়গা খারাপ রয়েছে এখনো। এছাড়া অনেক স্থানে টিআর, কাবিটা ও কাবিখা প্রকল্পের অধীনে কোনো কাজই শুরু হয়নি। আবার যেখানে সামান্য কাজ চোখে পড়ছে, সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী।
যুগীপাড়ায় নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজের তদারকি না করায় ঠিকাদাররা নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো কাজ করছেন। ফলে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অনেক প্রকল্পের বরাদ্দ লোপাট করা হয়েছে। কাগজে-কলমে কাজ দেখানো হলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার কেনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। এছাড়া ৩ নম্বর ডিগনগর ইউনিয়নে সিসি ক্যামেরা বসানোসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আবার কিছু প্রকল্পে দায়সারাভাবে কাজ করা হয়েছে, যা অল্পদিনেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল্লাহিল মাসুম খান জানান, সবগুলো প্রকল্পের কাজ আমরা এক এক করে দেখছি। দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।