বাংলারজমিন
চিকিৎসকের অবহেলায় নার্সিং সুপারভাইজারের মৃত্যুর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারযশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসানের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন খন্দকার মাসুদুল হক। গত ২০শে এপ্রিল তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে অভিযোগের অনুলিপি জমা দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে খন্দকার মাসুদুল হক জানান, তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রাক্তন নার্সিং সুপারভাইজার। তিনি গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় গত ৪ঠা এপ্রিল সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বাসা থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়া অবস্থায় রোগীকে চিকিৎসার জন্য নেয় পরিবারের সদস্যরা। এ সময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার হাসিব। তখন পালস অক্সিমিটারে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮৫% ছিল। জরুরি বিভাগে নেয়ার পর হাসপাতালের মেশিনে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পাওয়া যায় ২৭%, রোগীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও অস্থিরতা বেড়ে যায়। জরুরি বিভাগে ডাক্তারকে না পেয়ে রোগীরা স্বজনরা ডাকাডাকি শুরু করলেও ডাক্তার হাসিব আসেননি। পরে ডাকাডাকির একপর্যায়ে ডাক্তার বিরক্ত হন। জরুরি বিভাগের ব্রাদার ও ওয়ার্ডবয়কে চিকিৎসা দিতে বলেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা এখানে আছো তাহলে আমাকে কেন বারবার ডাকাডাকি করছো। তিনি রোগীকে দীর্ঘসময় না দেখেই তার ডেস্কে বসে থাকেন। স্বজনদের অনুরোধে একপর্যায়ে তিনি রোগীর কাছে আসেন কিন্তু কোনো ব্যবস্থাপত্র না দিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। রোগীকে না দেখে চলে যান। তিনি রোগীকে রেখে আবারো নিজের ডেস্কে বসে থাকেন। রোগী সদর হাসপাতালের একজন প্রাক্তন নার্সিং সুপারভাইজার ছিলেন বলার পরও হাসিব রোগীর চিকিৎসা দেননি। ডাক্তার ইছাকৃতভাবে সময় অতিবাহিত করেন। ফলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রোগীর স্বজনরা রোগীর অবস্থা আরও অবনতি ও সংকটপূর্ণ হওয়ায় আইসিইউতে নেন।
আইসিইউতে নেয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু ঘটে। এর আগেও হাসিবের বিরুদ্ধে রোগী ও তার স্বজনদের সঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। ডাক্তারের অবহেলার কারণে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তিনি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।