খেলা
হাইব্রিড মডেলে এবার বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান, দুশ্চিন্তায় ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

বাছাইপর্বে টানা ৪ জয়ে আসন্ন নারী বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৭৮ রানে হারিয়ে সবার আগে মূল পর্বে জায়গা করেছে স্বাগতিকরা। তবে এরই সঙ্গে আলোচনায় সামনে এসেছে অন্য একটি বিষয়। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান যেতে বেঁকে বসায় টুর্নামেন্ট হয় হাইব্রিড মডেলে। একইভাবে আগামী নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বসছে ভারতের মাটিতে। দুই দেশের বোর্ডের সবশেষ চুক্তি অনুযায়ী, এবার ভারতে খেলতে যাচ্ছেনা পাকিস্তানের মেয়েরা।
চলতি বছরে পাকিস্তানে আয়োজিত হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর। সেখানে খেলতে যায় বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। নিরাপত্তার শঙ্কার কথা বলে পার্শ্ববর্তী দেশে দল পাঠাতে অনুমতি দেয়নি ভারত সরকার। নানা নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) শর্ত মেনে নিয়ে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে রাজি হয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত নিজেদের সবগুলো ম্যাচ খেলে দুবাইয়ে। এমনকি আয়োজক দেশ হওয়া স্বত্বেও দুবাই গিয়ে রোহিতদের সঙ্গে খেলতে হয় বাবরদের। ভারতীয়রা ফাইনালে ওঠায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিও গড়ায় সেখানেই। সেবার ভেন্যু নিয়ে একমত না হতে পেরে যদি ভারত অথবা পাকিস্তান কোনো দল যদি টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াত, তবে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে মেলে নিষ্পত্তি।
গত ডিসেম্বরে বিসিসিআই ও পিসিবির মধ্যকার সেই চুক্তিপত্রে বলা আছে, ভারত যেহেতু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তান আসছে না, তেমনি ২০২৭ সাল পর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক আসরেই পাকিস্তানের নারী বা পুরুষ কোনো দলই ভারত ভ্রমণ করবে না। উল্লেখ্য, ২০২৭ পর্যন্ত ভারতে দু’টি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হবে। প্রথমটি ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও অন্যটি ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অর্থাৎ, এবার পাকিস্তানের মেয়েরাও হাইব্রিড মডেলে ২০২৫ নারী বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। অবশ্য ২০২৬-এর সীমিত ওভারের বিশ্বকাপে যৌথ আয়োজক হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাই সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ছেলেরা নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। তবে এবার নারী বিশ্বকাপে একক আয়োজক হওয়ায় পাকিস্তানি মেয়েদের সবগুলো ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে হবে বিসিসিআইকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্যমতে, বিশ্বকাপের মূল পর্বে পাকিস্তান জায়গা করে নেয়াতে এরই মধ্যে লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আয়োজক দেশটির বোর্ড। কেননা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা আয়োজন করতে হলে যাতায়াত, আবাসন সুবিধা, নিরাপত্তাব্যবস্থা, সম্প্রচারসহ আরও অনেক কিছুতেই বাড়তি পকেট খসাতে হবে বিসিসিআইকে। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৮ দলের সবাই একবার করে খেলবে সবার সঙ্গে। অর্থাৎ, নকআউট পর্বের আগে দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের।
চুক্তি অনুযায়ী, সে ম্যাচটি দেশের বাইরে গিয়ে খেলে আসতে হবে স্মৃতি মান্ধানাদের। কোনো কারণে বিসিসিআই যদি চুক্তি মানতে ব্যর্থ হয়, তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে বিসিসিআইয়ের বিপক্ষে চুক্তিভঙ্গের মামলা করতে পারবে পিসিবি।