খেলা
কী ঘটেছিল তামিমের সঙ্গে!
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
মোহামেডান অধিনায়ক তামিম ইকবাল বিকেএসপি’র-৩ নম্বর মাঠে টস করলেন। এরপর চলে গেলেন ড্রেসিংরুমে। কিছুক্ষণ পরই ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কাছে কল করেন দলটির ফিজিও এনাম আহমেদ। জানালেন তামিম বুকে ব্যাথা অনুভব করছেন তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। এরপর ঘটে যায় একের পর এক ঘটনা। যার প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন দেবব্রত। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি তার বর্ণনা করেছেন। জানিয়েছেন প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে শঙ্কা আর ভয়ে ভয়ে। ঠিক কি হয়েছিল সেই সময়? তিনি বলেন, ‘আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি, ব্যাপারটা কিন্তু অকল্পনীয়। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কাজ করি, নিজেও ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু আজকের ঘটনা ক্যারিয়ারে এরকম হয়নি। সকালে টস করলাম, তামিম আসলো দুই দলের অধিনায়ক। টস করে অধিনায়করা চলে যায়, কিন্তু গতকাল আমাদের একটা মিটিং ছিল। সে প্রেক্ষিতে আমি আর তামিম ৩/৪ মিনিট কথা বলি। কথা বলার পর ও ড্রেসিংরুমে চলে যায়, আমিও আমার দায়িত্বে চলে যাই। ম্যাচও শুরু হয়। ম্যাচ শুরুর আনুমানিক ৪০ মিনিট পর ফিজিও এনাম আমাকে ফোন দিল, তামিম চেস্টে ব্যথা অনুভব করছে আমরা তাকে হাসপাতালে নিতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ছিল, তামিমের গাড়িটাও ছিল। আমি দেখলাম যে তামিম গাড়িতে উঠে চলে গেল। আমিও সঙ্গে সঙ্গে এলাউ করলাম। চলে আসার পর খবর নিলাম কি অবস্থা, বলল আসার পর ডাক্তার ইসিজি করাল। ডাক্তারের কাছে যেটা শুনলাম, ডাক্তার কিছুক্ষণ থাকতে বলছে, কিন্তু তামিম বলছে যে ঢাকায় যেতে চায়। এরই মধ্যে সে তার পরিবারের সদস্য এবং হেলিকপ্টারের সঙ্গেও কথা বলেছে।
নিজে থেকে হেলিকপ্টার ঠিক করে বিকেএসপিতে ফেরে সেখানে আর উঠা হয়নি। এ নিয়ে দেবব্রত বলেন, ওই সময় আমি মাঠে, আমাদের বিকেএসপিতে যে ডাক্তার ছিলেন এবং ট্রেইনার ডালিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। পরে যখন হেলিকপ্টার আসছে শুনলাম, মোহামেডানের ম্যানেজার ইনফর্ম করল। আমি আমার যে গাড়ি ছিল ওটা নিয়ে আসলাম ১ নম্বর মাঠের দিকে, ওখানে যে রানিং ট্র্যাক থাকে ওখানে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করল।
আমরা যখন কাছে গেলাম, তামিম কোনো কথা তো নেই, অচেতন অবস্থায়। তখন আমরা ভয় পেয়ে গেছি। আমরা কি হেলিকপ্টারে তুলব বা গাড়িতে রেখে কি করব! ডাক্তারকে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম। ডালিম পাঞ্চ করছে ওকে, মুখ দিয়ে ফেনা পড়ছে, পালস নেই এমন একটা অবস্থা। ডাক্তার বলল হেলিকপ্টারে নিলে সে চিকিৎসা বঞ্চিত হতে পারে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই সে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, জ্যামও ছিল না। ৪/৫মিনিটের মধ্যে এলাম। এসে দেখলাম ডাক্তারদের পুরো একটা গ্রুপ রেডি আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং সাভারের কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকদের পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতায় সফল এনজিওগ্রাম ও প্রাইমারি পিসিআই (স্টেন্টিং) সম্পন্ন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
May Allah keep Tamim safe!