খেলা
ইউরোপে আরেকবার পেনাল্টি বিতর্ক
স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারচ্যাম্পিয়নস লীগে ফের তুঙ্গে পেনাল্টি বিতর্ক। কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছে আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে গানাররা জিতেছে ৫-১ ব্যবধানে। তবে সফরকারীদের একটি পেনাল্টি নিয়ে পরে আক্ষেপ অল হোয়াইটদের কোচ কার্লো আনচেলোত্তির। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নবম মিনিটে কর্নার পায় গানাররা। রিয়ালের বক্সের ভেতর রাউল আসেনসিওর চ্যালেঞ্জে পড়ে যান মিকেল মেরিনো। এরপর কিছুক্ষণ খেলা চালিয়ে গেলেও বাধ সাধে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)। মাঠের রেফারি লেতেক্সিয়েরকে ভিএআর-এর দায়িত্বে থাকা জোরেমে বিসার্দ সম্ভাব্য পেনাল্টি যাচাই করতে বলেন। স্ক্রিনে দেখা যায়, চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা মেরিনোকে ধরে রাখেন আসেনসিও। সহজ সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। যদিও বুকায়ো সাকার পানেককা শট রুখে দেন রিয়ালের বেলজিয়ান গোলকিপার থিবো কর্তোয়া। তবে পরের পেনাল্টির ঘটনাটা এত সহজেই নিষ্পত্তি হয়নি। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে লুকাস ভাসকেজের শট ভেসে যায় আর্সেনালের ডি বক্সে। হেড করে বলটা কিলিয়ান এমবাপ্পের সামনে ফেলেন আসেনসিও। বলের দিকে ছুটতে গিয়েও পড়ে যান রিয়ালের ফরাসি ফরোয়ার্ড। দাবি করেন যে, ডেকলান রাইসের বাঁধায় পড়ে গেছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান আগের লেগের জোড়া গোলের নায়ক রাইসকে। পরে এই সিদ্ধান্ত সঠিক কি না সেটি পরীক্ষা করে ভিএআর। সেটি বাতিলের সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগে পাঁচ মিনিটেরও বেশি। স্ক্রিনে দেখা যায়, এমবাপ্পেকে হাত দিয়ে আটকে রাখেন রাইস। তবে শরীরের উপরের অংশে আর নিচের অংশের পাওয়া বাঁধাকে একভাবে দেখা হয় না। এমবাপ্পে ওই অবস্থায় যদি পায়ে ট্যাকেলের শিকার হতেন তাহলে হয়তো মাঠের সিদ্ধান্ত বহাল থাকত। পেনাল্টি বাতিলের পর রাইসের হলুদ কার্ডটিও প্রত্যাহার করা হয়। সিদ্ধান্তে আসতে এত সময় লাগার কারণ, ফাউলের পাশাপাশি কেউ অফসাইডে ছিলেন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছিল ভিএআর। যদিও টিভি গ্রাফিক্সে ভুল দেখানো হয়। বলা হয় যে, অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়েছে। তবে পেনাল্টি বাতিলের পর খেলা শুরু হয় গানার কিপার ডেভিড রায়ার বল কিকের মাধ্যমে। অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হলে ফ্রি কি পেত ইংলিশ জায়ান্টরা। ম্যাচের পর এ নিয়ে আক্ষেপ ঝড়ে রিয়াল বস কার্লো আনচেলোত্তির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। পরিস্থিতি বদলানোর জন্য ইতিবাচক একটি মুহূর্তের প্রয়োজন ছিল। সেটি হতে পারত সেই পেনাল্টি, যেটির বাঁশি তিনি (রেফারি) বাজিয়েছিলেন, তবে পরে বাতিল করে দেন। ওই পেনাল্টি হলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত।’