খেলা
ছিটকে গিয়ে চোটকে বড় করে দেখছেন বায়ার্ন কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারইন্টার মিলানের মাঠে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য। তবে পরের সময়টা ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। এক পর্যায়ে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেলে লাগাম টেনে ধরে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোল পায়নি জার্মান জায়ান্টরা। বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ শেষ হয় ২-২ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে সেমিফাইনালে পৌঁছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। ম্যাচ শেষে নয়্যার-মুসিয়ালাদের চোট নিয়ে আক্ষেপ ঝড়ে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির গলায়। সান সিরোতে গোলের দিকে ১৫টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা। বিপরীতে পুরো ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা বায়ার্নের ২০টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ৬টি শট। বিরতির বাঁশি বাজার আগে টমাস মুলারের একটি নিচু শট ছাড়া আক্রমণে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বায়ার্ন। মাঠে ফিরে সপ্তম মিনিটে সফরকারীদের এগিয়ে নেন হ্যারি কেইন। চলতি মৌসুমে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১১টি। যদিও সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি বাভারিয়ানদের। ৫৮ থেকে ৬১তম মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন লাউতারো মার্টিনেজ ও বেঞ্জামিন পাভার্ড। কর্নার থেকে মার্টিনেজ প্রথমে হেডে জালের দিকে বল ছুঁড়ে দিলে তা এক প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাধা পায়। ফিরতি বলে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এ নিয়ে টানা ৫ চ্যাম্পিয়নস লীগ ম্যাচে গোল করলেন এই বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। এমন কীর্তি নেই ইন্টারের আর কোনো খেলোয়াড়ের। পরের গোলটি কর্নার থেকে হেডে করেন পাভার্ড। সাধারণত সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করলে খেলোয়াড়দের তেমন একটা উদযাপন করতে দেখা যায় না। অনেক সময় তো দু’হাত তুলে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায়। তবে দলের মূল্যবান গোলটি করে নিজের সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে বুনো উল্লাসে মাতেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। ইন্টারের জার্সিতে এটিই তার প্রথম গোল। ৭৮তম মিনিটে এরিক ডায়ারের গোলে সমতা আসে ২-২ গোলে। দুই লেগ মিলে বায়ার্ন তখন পিছিয়ে ৪-৩ গোলে। এক গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মান জায়ান্টরা। শেষ দিকের খেলাটা স্বাগতিকদের অর্ধেই হয়। যোগ করা সময়ে বায়ার্ন দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করলেও কাজের কাজটা হয়নি। শেষ পর্যন্ত জয়ের
উল্লাসে মাতে ইন্টার। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা। ম্যাচের পর প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ায় প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়দের চোটকে দায়ী করেন কোম্পানি। বায়ার্ন বস বলেন, ‘আমার মতে ইন্টারের চেয়ে বড় সমস্যা ছিল চোট। (হিরোকি) ইতো, (জামাল) মুসিয়ালা, ম্যানুয়েল (নয়্যার), (আলফুস) ডেভিস, (কিংসলে) কোম্যান, (আলেক্সান্দার) পাভলোভিচদের ছাড়াই আমাদের খেলতে
হয়েছে।’ চ্যাম্পিয়নস লীগের এবারের আসরের ফাইনাল হবে আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায়। নিজেদের ঘরের মাঠে ফাইনাল না খেলতে পারার যন্ত্রণা ফুটে উঠলো কোম্পানির মুখে। ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমার অনুভূতি মিশ্র। কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল আমরা খেলতে পারব না।
আমরা এটি পাল্টাতে পারব না।’