খেলা
নিষেধাজ্ঞা বাড়লো হৃদয়ের, যোগ হয়েছে আর্থিক জরিমানা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
এমনিতেই মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন। সেটার রেশ কাটতে না কাটতেই সংবাদমাধ্যমে আম্পায়ারদের নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেন। প্রথম দফার অন্যায়ে শনিবারই মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। আর মাঠের বাইরের মন্তব্যের জন্য গতকাল শাস্তি আরও বাড়ানো হয়েছে তার। এখন সুপার লীগে প্রথম দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছে হৃদয়কে। এর সঙ্গে গুনতে হবে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা। এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু। ঘটনার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের শেষ রাউন্ডের এই ম্যাচে শুরুর দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ডেলিভারি পায়ে লাগে আবাহনীর ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের। এরপর মিরাজসহ বাকিরা জোড়ালো আবেদন করলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে বিন সৈকত। তখন তার সঙ্গে তর্কে জড়ান হৃদয়। এরপর সপ্তম ওভারে ইবাদত হোসেন মোহাম্মদ মিঠুনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন। এবার তাতে সাড়া দেননি আরেক আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। এবারও তার সঙ্গে তর্কে জড়ান ক্রিকেটাররা। একপর্যায়ে সৈকতের সঙ্গে রীতিমতো হৃদয়ের তর্কে উত্তপ্ত তৈরী হয়। মোহামেডানের মিরাজ-মুশফিক থেকে শুরু করে আবাহনীর ব্যাটিংয়ে থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও হিমশিম খাচ্ছিলেন হৃদয়কে সামলাতে। এরপর ম্যাচ শেষে আবার সৈকতকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করেন হৃদয়। হৃদয় সৈকতের উদ্দেশে বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। হৃদয় এও হুমকি দেন, ‘ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশা আল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের দোষ দিলে হবে না। আপনারা দেখেন আমাদের আম্পায়ার তাদের ডিপার্টমেন্ট দেখেন তারাও ২-১ জন বাদে যে খুব ভালো করে এমন নয়। জাস্টিফাই করলে আমার কাছে মনে হয় দুই পাশ থেকেই দেখা উচিত।’ বিসিবি’র আচরণবিধি অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মাঠের কোনো ঘটনায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ডিমেরিট পয়েন্ট ও অর্থ জরিমানা করতে পারেন ম্যাচ রেফারি। ম্যাচের ঘটনার জন্য ৪ ডিমেরিট পয়েন্টের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে আম্পায়ারদের সমালোচনা করায় তার নামের পাশে আরও তিন ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। নিয়মানুযায়ী কোনো ক্রিকেটারের নামের পাশে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলে সেই ক্রিকেটার দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন। এরই অংশ হিসেবে হৃদয়কে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৭ ডিমেরিট পয়েন্টের পাশাপাশি তাকে ৮০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল হৃদয়ের শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করেছিল মোহামেডান। কিন্তু শাস্তি কমেনি, উলটো বেড়েছে।