খেলা
ক্রিকইনফো’র আসর সেরা একাদশের নেতৃত্বে তামিম
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার
পর্দা নেমেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ঘটনাবহুল একাদশ আসরের। শুক্রবার ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় ফরচুন বরিশাল। মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের সংগ্রহ ছিল ১৯৪/৩। জবাবে ৩ বল ও তিন উইকেট বাকি রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে বরিশাল। আসরে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখানো ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরা একাদশ তৈরি করেছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। অধিনায়ক চ্যাম্পিয়ন দলের তামিম ইকবাল খান। আসর সেরা দলে আছেন তিনজন পাকিস্তানি ও একজন ইংলিশ ক্রিকেটার।
১. মোহাম্মদ নাঈম: ওপেনার হিসাবে জায়গা করেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ নাঈম শেখ। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ৫১১ রান করেন নাঈম। এক মৌসুমে দেশীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান এটি। একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি নাঈমের। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৫১৬ রান করে তালিকার শীর্ষে নাজমুল হাসান শান্ত। বিপিএলের আগে জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে ৩১৬ রান করে সে টুর্নামেন্টেরও সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন নাঈম।
২. তামিম ইকবাল: ফাইনালে চিটাগংয়ের দেয়া ১৯৪ রান তাড়ায় ২৯ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তামিম। এ দিন ২৪ বলে করা ফিফটি ছিল বরিশাল অধিনায়কের আসরের চতুর্থ। ১২৯.০৬ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ৪১৩ রান।
৩. জাকির হোসেন: আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে শুধুমাত্র জাকিরের ব্যাটেই আলো দেখা যায়। খুলনার বিপক্ষে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে হাঁকান আধডজন ছক্কা। পরের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও তুলে নেন ফিফটি। ১৪০.৪৩ স্ট্রাইক রেটে বাঁহাতি এই ব্যাটারের মোট সংগ্রহ ৩৮৯ রান।
৪. গ্রাহাম ক্লার্ক: ১৫৩.৩৮ স্ট্রাইক রেটে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান চিটাগং কিংসের গ্রাহাম ক্লার্কের। ফাইনালে ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ক্লার্ক। টুর্নামেন্টে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ৪৩১ রান সংগ্রহ ডারহামের এই ক্রিকেটারের।
৫. খুশদিল শাহ: অলরাউন্ডার হিসাবে একাদশের মিডল অর্ডারে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের খুশদিল শাহ। ১০ ইনিংস ব্যাট করে ১৭৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে ২৯৮ রান করেন খুশদিল। বল হাতে ৯.৯৪ গড়ে নেন ১৭ উইকেট। আসরে স্পিনারদের মধ্যে সর্বাধিক শিকার ১৭ উইকেট। খুলনার বিপক্ষে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
৬. মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন: উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে একাদশে রয়েছেন খুলনার অঙ্কন। ব্যাট হাতে আসরে মোট ৩১৬ রান সংগ্রহ তার । উইকেটের পেছন থেকে গ্লাভস হাতে সাতটি ডিসমিসাল। চিটাগংয়ের বিপক্ষে খুলনার প্রথম ম্যাচে ২২ বলে ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন অঙ্কন। আরও দুইটি ম্যাচে দুইশ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি।
৭. ফাহিম আশরাফ: ১৩.৯০ গড়ে মোট ২০ উইকেট নিয়ে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বরিশালের ফাহিম আশরাফ। সিলেটের বিপক্ষে ফাইফার নেয়ার দিন মাত্র ৭ রান খরচ করেন ফাহিম। চিটাগং এবং ঢাকার বিপক্ষে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন এই পাকিস্তানি পেসার।
৮. আলিস আল ইসলাম: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে মিস্ট্রি বোলার হিসাবে খ্যাত আলিস ওভারপ্রতি ৬.৩২ রান খরচে তুলে নেন ১৫ উইকেট। আসরে চিটাগংয়ের প্রথম জয়ের দিন ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন এই ডানহাতি স্পিনার। ব্যাট হাতেও দারুণ পারফর্মেন্স দেখান আলিস। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনাকে বিদায় জানানোর দিন চোট থেকে ফিরে জয়সূচক বাউন্ডারিটি আসে আলিসের ব্যাট থেকেই।
৯. তাসকিন আহমেদ: ২৫ উইকেট নিয়ে শুধু এবারের নয়, বিপিএলের যেকোনো আসরের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তাসকিন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সাকিব আল হাসানের ২৩ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে দেন দুর্বার রাজশাহী পেসার। আসরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়বারের মতো তুলে নেন ৭ উইকেট।
১০. খালেদ আহমেদ: ২০ উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকায় আকিফ জাভেদ ও ফাহিম আশরাফের সঙ্গে দুইয়ে আছেন চিটাগংয়ের খালেদ আহমেদ। খাতা-কলমে রানার্সআপ দলের সেরা বোলার এই ডানহাতিই। ফাইনালে কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও এর আগে ঢাকা ও সিলেটের বিপক্ষে নেন তিনটি ও চারটি উইকেট।
১১. আকিফ জাভেদ: বিপিএলে এবারের আসর ছিল আকিফ জাভেদের দ্বিতীয়তম। মোট ২০ উইকেট নেয়া আকিফ খুলনা (৩-২৯), চিটাগং (৪-৩২) এবং রাজশাহীর (৩-২৩) বিপক্ষেই তুলে নেন ১০ উইকেট।