বাংলারজমিন
১৩ লাখ টাকায় ল্যাব সহকারী নিয়োগ
টাকা ভাগাভাগির তালিকা ফাঁস হওয়ায় তোলপাড়
নীলফামারী প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবারঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারার তালিকা জনসম্মুখে ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই। ওই উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ল্যাব সহাকারী পদে নিয়োগ প্রদান এবং ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই মাদ্রাসার সহ-সুপার ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষের সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮শ’ টাকার ভাগবাটোয়ারার একটি হিসাব ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক গোপনে পত্রিকায় সহকারী সুপার ও ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অধ্যক্ষ ওই দুই পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য সহ-সুপার আব্দুল মজিদ ও ল্যাব সহকারী নুর আলমের কাছে একটি ডায়েরির পাতায় সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৮শ’ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। ডায়েরির পাতায় দেখা যায়, অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক ওই দুই পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ কমিটির সদস্য, ডিজি’র প্রতিনিধি, গভর্নিং বর্ডির সভাপতিসহ সকলের নামে ঘুষের টাকা আদায় করেন।
এ বিষয়ে মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এনটিআরসি’র মাধ্যমে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে এখানে যোগদান করেছি। ওই মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী নুর আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি ঘুষের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা জানান। মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডায়েরির পাতায় যে স্বাক্ষর ও সিল রয়েছে তা আমার নয়।
তিনি আরও বলেন, গত বছর নিয়োগসম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ওই দুই প্রার্থী মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসাইন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।