ভারত
‘আফস্পা’ প্রত্যাহারের দাবি, রাজ্য পুলিশেই আস্থা মনিপুরের বিজেপি সরকারের
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ২:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
মণিপুর সরকার রাজ্যের ছয়টি থানার আওতাধীন এলাকাগুলি থেকে আফস্পা পর্যালোচনা এবং প্রত্যাহার করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে দরবার করেছে। গত ১৪ নভেম্বর নতুন করে মণিপুরের ছ’টি থানায় আফস্পা কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই ও লামসাং, পূর্ব ইম্ফলের লামলাই, বিষ্ণুপুরের মইরাং, কাংপোকপির লেইমাখং এবং জিরিবাম থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা চালু করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক ডেপুটি সেক্রেটারি দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সরকার জানিয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভা চায় আফস্পা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হোক। এই মুহূর্তে হিংসায় জর্জরিত জিরিবাম-সহ রাজ্যের ছয়টি থানা এলাকায় আফস্পা বলবৎ আছে। ওই আইনে সেনা বাহিনী স্বাধীনভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পারে এবং পুলিশের থেকেও কিছু ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা বেশি। আফস্পা জারি থাকলে, সেনা সম্পূর্ণরূপে নিজেদের মতো কাজ করতে পারে। রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না সেনাবাহিনীর উপর। যা নিয়ে মণিপুরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। বীরেন সিংয়ের সরকার মনে করছে, নতুন করে যে হিংসা ছড়িয়েছে, সেটার নেপথ্যে এই নতুন করে আফস্পা জারিও একটা কারণ হতে পারে। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবাক করার মতোই। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের মৈতেই সম্প্রদায়ের সেনাবাহিনীর তুলনায় রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা বেশি। নানা সময়ে ওই সম্প্রদায় অভিযোগ তোলে সেনা ও আধা সেনা কুকিদের স্বার্থ দেখছে। অন্যদিকে, কুকিদের আবার রাজ্য পুলিশেই অনাস্থা। মণিপুর প্রশাসনে মৈতেইদের আধিপত্য অনেক বেশি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বীরেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ। তার উপর স্বজাতির চাপ আছে। মনে করা হচ্ছে, সেই চাপের মুখে বিশেষ সেনা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে রাজ্যের ৬টি থানাকে আফস্পার অধীনে আনা হয়। কিন্তু শনিবার জিরিবাম থেকে অপহৃত ৬ মেইতেই নাগরিকের মৃত্যুর খবর আসার পর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। শনিবার বিকালের পরই গোটা ইম্ফলে কারফিউ জারি করা হয়।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
খাইছে, অরাও 'আফা' রে চায় না?