বাংলারজমিন
মধ্যরাতে বিএনপি কার্যালয়ে ডিবির অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০২৪, বুধবারমঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রহনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ সাতজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও এ সময় ডিবি পুলিশ দাবি করেছে, অভিযানের সময় বিএনপি কার্যালয় থেকে ককটেল, পেট্টোল, বাঁশের লাঠি ও অস্ত্র উদ্ধারের।
অভিযান শেষে ডিবিপ্রধান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযানে ১০০টির বেশি ককটেল, ৫/৬ বোতল পেট্টোল, ৫০০টি বাঁশের লাঠি, সাতটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় বসে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, রেলের স্লিপার খুলে ফেলছে, মেট্রোরেল বন্ধ করে দিচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশ অবজারভেশনে জানতে পেরেছে যে, কেউ কেউ আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে, এমনকি অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান।
মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে মাঝরাতে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান: রিজভী
মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে মাঝরাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবি পুলিশ প্রধানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক ভার্চ্যুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই অভিযানের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, গুলি ফোটানো হয়েছে। একটি বাহানা তৈরি করে এরপর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক লাঠিসোটাসহ নানা কিছু জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায়।
তিনি বলেন, ডিবি পুলিশের এটা করা মানে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা বার্তা দেয়া যে, তারা যেন ভয় পেয়ে যায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন শূন্য, নেতাকর্মীরা যখন ঘুমাচ্ছিল, তাহলে মাঝরাতে কেন এই অভিযান? কারণ শূন্য কার্যালয়ে যেকোনো চক্রান্ত আঁটা যায়। এর আগেও ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে, পুলিশ বিস্ফোরক নিয়ে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেছিল।
পাঠকের মতামত
হারুন সাহেব তার গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
খালি জোকস আর জোকস.............. পাবলিক বোকা।
সে কি কোটায় চাকরি পেয়েছে? পুরাতন নাটক আর কত! তার সম্পদের হিসাব আসে না কেন?