বাংলারজমিন
চিলমারীতে বন্যায় ভেসে গেছে মৎস্যচাষিদের স্বপ্ন
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবারটানা বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢলে প্লাবিত হয় চিলমারী। বৃষ্টির সঙ্গে বন্যার পানিতে ঢুবে যায় একে একে সব পুকুর। ভেসে যায় মাছ ও পোনা। সেইসঙ্গে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার মৎস্যচাষিদের স্বপ্ন। সকল আশা, স্বপ্ন আর লাভের আশায় বন্যা হানা দেয়ায় দিশাহারা এখন চাষিরা। মাছ ভেসে যাওয়ায় উপজেলা মৎস্যচাষিদের মাথায় এখন হাত। এতে উপজেলার ৪ শতাধিক পুকুর পানিতে ডুবে যাওয়ায় প্রায় ১৭ লাখ টাকার পুঁজি হারিয়ে বিপাকে মৎস্যচাষিরা। জানা গেছে, টানা বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেলে প্লাবিত হয় একের পর এক এলাকা। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার ৪১১টি পুকুর স্থতিগ্রস্ত হয়। ৪১১টি পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় ৩৯৫ জন মৎস্যচাষির প্রায় ৯ টন মাছ ও প্রায় ৩ টন পোনা ভেসে প্রায় ১৮ লাখ টাকার ক্ষতিতে পড়েছে উপজেলার মৎস্যচাষিরা। মৎস্যচাষিরা জানান, একদিকে বন্যার পানি আর সঙ্গে টানা বৃষ্টির কারণে পুকুর তলিয়ে যায় এবং পাড়ও ভেঙে যায়। চেষ্টা করেও রক্ষা করা যায়নি মাছ ও পোনা। আমাদের পুঁজিসহ আশা আর স্বপ্ন ভেসে নিয়ে গেছে বন্যা। এখন কীভাবে চলবো ভাবতে পারছি না। বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি জানিয়ে মৎস্যচাষিরা আরও বলেন, প্রতিবছর বন্যা আর বৃষ্টিতে বিপুল পরিমাণ পুঁজি হারাতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এ সময় মৎস্যচাষি কাজিমুদ্দিন, আ. রশিদ, লালা মিয়াসহ অনেকে বলেন, কৃষকরা, পশু পালনকারীরা সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা পেয়ে থাকলেও আমরা মৎস্যচাষিরা বঞ্চিত থাকছি।
সরকারি সহযোগিতা ও প্রণোদনা পান না স্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বদরুজ্জামান মিঞা বলেন, শুধু এবারে বন্যায় নয় প্রতিবছর বন্যা ও বৃষ্টিতে মৎস্যচাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আমরা চেষ্টা করছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের সহযোগিতা করার জন্য।