বাংলারজমিন
নবীগঞ্জে অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবারনবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও শিক্ষক নাজমুল হুদার অপসারণ চেয়ে তাদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তহবিল থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম, কলেজ পরিচালনায় অতিরিক্ত খরচের খাত দেখিয়ে ভুয়া ভাউচার তৈরী করে অবাধ দুর্নীতির অভিযোগে তাদের অপসারণ চেয়ে প্রায় এক মাস ধরে ক্লাস বর্জন, মানববন্ধন, বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে বেলা ৩ ঘণ্টাব্যাপী অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও প্রভাষক নাজমুল হুদার অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থার পাশাপাশি ধ্বংসের পথে যাচ্ছে কলেজটি। এ নিয়ে গত এক মাস ধরে কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনের পরও প্রশাসনের নীরব ভূমিকাকে রহস্যজনক হিসেবে অভিহিত করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজটির যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। সেই সুনাম দুর্নীবাজ শিক্ষকদের কারনে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কলেজকে দুর্নীতিমুক্ত করতে যা প্রয়োজন, তাই করা হবে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রভাষকের অপসারণের দাবি করেন। অন্যথায় আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেনা। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ৪ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ থেকেই আন্দোলনের সূচনা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হতে থাকে। এ সব ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেন রায় ও শিক্ষক নাজমুল হুদার সিন্ডিকেট প্রতিরোধ এবং তাদের অপসারণ দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন অভিভাবকসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আন্দোলনে শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ে। প্রতিদনই কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করলেও নীরব রয়েছে কলেজ গভর্নিং কমিটি। আন্দোলনের কারনে গত ৪ঠা জুনের এইচএসসি ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা স্থগিত হয়। এনিয়ে প্রশাসন ও কলেজ কমিটির রহস্যজনক ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।