ভারত
আমেরিকাকে ছাপিয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন ভারতে: খরচ প্রায় ১.৩৫ লাখ কোটি টাকা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১১ মাস আগে) ২ জুন ২০২৪, রবিবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

পূর্ববর্তী রেকর্ডগুলোকে ভেঙে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচনী ইভেন্ট হিসেবে শিরোনামে জায়গা করে নিলো ভারতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ অনুসারে, প্রতি ভোট সংগ্রহের খরচ ছিল ১,৪০০ টাকা। খরচের বহরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে চলতি লোকসভা ভোট। ২০২০ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ১.২০ লাখ কোটি টাকা। ক্ষমতাসীন বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধী কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি পর্যন্ত প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের মন জয় করতে হাত খুলে খরচ করেছে।
সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে খরচ হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এবার তা ১ লাখ কোটি ছাপিয়ে ১.৩৫ লাখ কোটিতে পৌঁছে গেছে। ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) প্রার্থীদের জন্য ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করেছে। প্রতিটি সংসদ সদস্য (এমপি) আইনত ৯৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন, যেখানে বিধানসভার সদস্যরা (এমএলএ) রাজ্যের উপর নির্ভর করে ২৮ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকার মধ্যে খরচ করতে পারেন। অরুণাচল প্রদেশের মতো ছোট রাজ্যে, সাংসদের জন্য সীমা ৭৫ লাখ টাকা এবং বিধায়কদের জন্য ২৮ লাখ টাকা।
২০২২ সালে মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে এই সীমাগুলো সংশোধন করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব ব্যয়ের কোনো সীমা নেই। খরচের সীমা শুধুমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য হবে যখন তারা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করবে, প্রচারণার খরচের মধ্যে রয়েছে - জনসভা, সমাবেশ, বিজ্ঞাপন এবং পরিবহন। ঐতিহাসিকভাবে দেখা হলে ব্যয়ের সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি খুবই স্পষ্ট। ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সময়, প্রার্থীরা ২৫,০০০ টাকা খরচ করতে পারতেন। এই সীমা এখন বেড়ে হয়েছে ৭৫-৯৫ লাখ টাকা, যা ৩০০ গুণ বেড়েছে। সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যয়ও বেড়েছে। ১৯৯৮ সালে ৯,০০০ কোটি টাকা থেকে ২০১৯ সালে প্রায় ৫৫,০০০ কোটি টাকায় অর্থাৎ ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যয় নিরীক্ষণের ব্যবস্থা সত্ত্বেও, অনেক নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নেই। ইসিআই ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করলেও ভোটারদের পছন্দকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে উপহার, নগদ এবং সোনা সহ টেবিলের নিচে দেয়া উপহারগুলো প্রতিটি নির্বাচনের সাথে বাড়তে থাকে। স্বচ্ছতা আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের কাছে বাৎসরিক অনুদান সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হয়। সেখানে ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদানের তথ্য জানায় তারা। সেই সঙ্গে প্রতি বছরের হিসাব (অ্যানুয়াল অডিটেড অ্যাকাউন্টস) ও ভোটের ৭৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী খরচের হিসেব পেশ করে দলগুলো। তা প্রকাশিত হয় কমিশনের ওয়েবসাইটে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে